ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিলেটে ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ১০ জানুয়ারি ২০১৫

সিলেটে ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন  সবজি চাষ

স্টাফ রিপোটার সিলেট, অফিস ॥ সিলেটে শীতকালীন সবজি চাষের আশানুরূপ উন্নতি সাধন হয়েছে। গতবছরের চেয়ে এবার প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষাবাদ হচ্ছে। প্রায় ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে ৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৯ মেট্রিক টন শীতকালীন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মৌসুম শেষে উৎপাদিত সবজির বাজারমূল্য দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত বছর সিলেট বিভাগে প্রায় ৭ লাখ ৮৭ হাজার মেট্রিক টন শীতকালীন সবজি উৎপন্ন হয়েছিল। গত বছরের চেয়ে এ বছর উৎপাদনের মাত্রা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের কর্মকর্তারা। সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরেই শীত মৌসুমে সিলেটে প্রচুর পরিমাণে সবজি উৎপাদন হচ্ছে। দেশের অপেক্ষাকৃত উঁচু অঞ্চল হওয়ায় আগেভাগে পানি নেমে যাওয়ার ফলে সিলেটে সবজির চাষও শুরু হয়ে যায় অনেকটা আগেভাগেই। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এ অঞ্চলে শীতকালীন সবজির চাষ হয়ে থাকে। সিলেট অঞ্চলে শীতকালীন সবজির মধ্যে এবছর সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে শিম। এছাড়া মূলা, লাউ, বেগুন, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, লাল শাক এবং বাঁধাকপিও চাষ হচ্ছে প্রচুর পরিমানে। ৯ নভেম্বর পর্যন্ত সিলেটের চার জেলায় ৯ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে। ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত চাষাবাদ চলবে। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জানান, সিলেটে সবজি উৎপাদনের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। আরেকটু বৃষ্টিপাত হলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। তিনি বলেন, সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা একদিকে আমন ধান কাটছেন অন্যদিকে সবজি চাষ করছেন। ধানকাটা প্রায় শেষ হয়ে গেলে ডিসেম্বর মাসেই সবচেয়ে বেশি সবজি চাষ হবে। এবার সবজি চাষের জমির পরিমাণ বেড়েছে ফলে সবজির উৎপাদন গতবছর থেকে বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। সিলেটে সবজি উৎপাদন শুরু হয় জানুয়ারি থেকে। এবছর প্রতি হেক্টরে ২০ মেট্রিক টন করে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সে হিসেবে চাষ হওয়া ৪০ হাজার ৮২২ হেক্টর জমিতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৯ মেট্রিক টন। কৃষি কর্মকর্তা বলেন, সিলেটে কৃষিক্ষেত্রে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। সিলেটের প্রকৃতি ও আবহাওয়া ফসল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। কিন্তু বিভিন্ন এলাকায় সেচ সমস্যার কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। শুধু শীতকালীন সবজি নয়, আমন চাষাবাদেও সমস্যা তৈরি হয়ে থাকে। প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ জমি অনাবাদি পড়ে থাকে। এছাড়া উজান থেকে পাহাড়ী ঢলের সাথে নেমে আসা পলিতে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ গোয়াইনঘাট উপজেলার বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছ্।ে কোম্পানীগঞ্জের উপর দিয়ে প্রবাহিত পিয়াইন নদী সম্পূর্ণ রূপে ভরাট হয়ে গেছে। উজান থেকে নেমে আসা পলিতে কৃষি জমি ছাড়াও এই অঞ্চলের উন্মুক্ত জলমহালগুলোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
×