ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পংকজ বসুর এগিয়ে চলা

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ৮ জানুয়ারি ২০১৫

পংকজ বসুর এগিয়ে চলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সঙ্গীত জগতে কিছু ঘারানার সঙ্গে শ্রোতারা কম বেশি সবাই পরিচিত। তেমনি একটি ঘারানা হচ্ছে বীণকার ঘারান। বাংলাদেশে এই ঘারানার এখন পর্যন্ত একমাত্র সাধক এবং শিক্ষক হচ্ছেন খেয়ালী পংকজ বসু। যিনি দীর্ঘ ১৮ বছর ভারতের আচার্য জয়ন্ত বোসের কাছ থেকে তালিম নিয়েছেন। সেখানে তিনি বীণকার ঘারানার পাশাপাশি ভয়েস ট্রেনিং করে থাকেন। ভয়েস ট্রেনিং সঙ্গীত জগতের একটি আধুনিক সংযোজন। যা সঙ্গীতকে অন্য এক মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। বাংলাদেশে এ ভয়েস ট্রেনিং একমাত্র পংকজ বসুই করে থাকেন। এ ব্যাপারে পংকজ বসু বলেন, ভয়েস ট্রেনিং এক কণ্ঠ শিল্পীর জন্য অনেকটাই উপকারী। এ ভয়েস ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার গলার স্বাভাবিকতা ফিরে পাবেন, ঠা-া বা সাইনাস জাতীয় সমস্য কখনই আপনার গলার ক্ষতি করতে পারবে না। সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক একটি উপায় কিন্তু সুরের মাধ্যমেই পরিচালিত। এক কথায় বলা যায় ভোকাল এক্সারসাইজ। প্রত্যেক কণ্ঠ শিল্পীরই ভয়েস ট্রেনিং নিয়ে রাখা উচিত। নিজের মিউজিক্যাল একাডেমি বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে পংকজ বসু জানান, তার হাতে গড়া বীণকার মিউজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ একটি ট্রাস্ট বোর্ডের অধীনে পরিচালিত অর্থাৎ এখান থেকে কোন লভ্যাংশ কেউ কথনও ভোগ করতে পারবে না সম্পূর্ণটাই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ব্যয় হবে। আর আমার এখানে কোর্স পদ্ধতিও একটু ভিন্ন। শুধু শেখার জন্য শিখতে এখানে আসা নয় মন থেকে শিখতে হলেই তবেই সেই সব ছাত্রছাত্রীদের এখানে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে সুযোগ দেয়া হয়। পাঁচ বছরের কোর্স শেষে দেয়া হয় সার্টিফিকেট এবং সেই সঙ্গে বাংলাদেশে এই প্রথম আমরা মিউজিক লাইসেন্স দিয়ে থাকি। যা প্রতি ৩ বছর অন্তর অন্তর রিনিউ করা হয়। যাতে করে এক শিক্ষার্থী তার গুণগতমান ধরে রাখতে পারে। তিন বছর পর যদি সে আবার পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না দেখাতে পারে সেক্ষেত্রে লাইসেন্স রিনিউ করা হয় না। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমার একাডেমির শিক্ষার্থীদের নিয়ে কিছু পারফর্মেন্স করেছি দেশের জনপ্রিয় অডিটোরিয়ামগুলোতে। আমার শিক্ষার্থীদের পারফর্মেন্সের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি উপস্থাপনা হচ্ছে ভোকাল সিম্ফনি। কোন রকম বাদ্য যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই এক ধরনের সুরের আবহ তৈরি করা হয় কিন্তু দর্শক বাদ্য যন্ত্রের অভাব বুঝতে পারে না।
×