ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতেই বিএনপির আন্দোলন

প্রকাশিত: ০৬:১১, ৮ জানুয়ারি ২০১৫

দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতেই বিএনপির আন্দোলন

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও শূন্যতারোধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাজেই এখন নির্বাচন চেয়ে আন্দোলন করে কোন লাভ নেই। যথাসময়েই পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে বটতলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শিক্ষা উপকরণ ও শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের জন্যই বিএনপির এই আন্দোলন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনের উদ্দেশ্য নির্বাচনের জন্য নয়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল এবং বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতেই এ আন্দোলন। তিনি আরও বলেন, আজকে বিএনপি নির্বাচনের কথা বলছে। গত নির্বাচনের আগে জাতীয় স্বার্থে প্রকৃত অর্থে নতি স্বীকার করে শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি না করার স্বার্থে খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার দলকে সর্বদলীয় সরকারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় প্রদানের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি নির্বাচনে আসেননি। তাই বাধ্য হয়ে বিএনপিকে ছাড়াই নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হয়। শিল্পমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্দোলন করে সামরিক শাসকের কাছ থেকে বারবার গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম। কিন্তু আমরা কোন পেট্রোল বোমা মেরে ঘুমন্ত নারী-শিশুকে, বাস চালক ও ট্যাক্সি চালককে হত্যা করিনি। কিন্তু আজকে আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যাকারীরা একাত্তরে ইসলামের নামে মানুষ হত্যাকারীদের সহযোগী। হাজার হাজার গাছ কেটে পরিবেশ নষ্ট করেছে। তারা চায় না বাংলাদেশের উন্নতি হোক। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে এই ছাত্রলীগ গণমানুষকে উদ্বুদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল। এখন ছাত্রলীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ গড়ার লক্ষ্যে গণমানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছে, কোমলমতি শিশুদের পাঠ্যপুস্তক দিয়ে মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ করে দিচ্ছে। এই ছাত্রলীগ দেশের যে কোন সমস্যা মোকাবেলায় অবশ্যই সক্রিয় থাকবে। কর্মসূচীর আওতায় রাজধানীর ২০টি স্কুলের প্রায় দেড় হাজার দুস্থ ও অভাবী শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষা উপকরণ এবং শীতবস্ত্র তুলে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপকরণ ও শীতবস্ত্র বিতরণ উপ-কমিটির আহ্বায়ক জয়দেব নন্দী। তিনি জানান, ছাত্র সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময়ই জনগণের শিক্ষার্থীদের পাশে থাকে। ছাত্রলীগের সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে মেধাবী ও অস্বচ্ছল কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষা উপকরণ তুলে দেয়া হয়েছে। এতে উপকরণ বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সক্ষম হবে। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী ও লিয়াকত শিকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, শিক্ষা উপকরণ ও শীতবস্ত্র বিতরণ উপ-কমিটির আহ্বায়ক এবং সংগঠনের সহসভাপতি জয়দেব নন্দী, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির রাহাত, কেন্দ্রীয় সদস্য এনামুল হক প্রিন্স প্রমুখ।
×