ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দপুরে অপরাধীদের আড্ডা বস্তি-ক্যাম্প কলোনিতে

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ৭ জানুয়ারি ২০১৫

সৈয়দপুরে অপরাধীদের আড্ডা বস্তি-ক্যাম্প কলোনিতে

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের নিম্ন আয়ের মানুষসহ কর্মজীবীদের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বসবাস করছেন ৪১টি বস্তি, ক্যাম্প আর কলোনিতে। ৫টি ইউনিয়নের পাশাপাশি রয়েছে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। অভিযোগ উঠেছে সৈয়দপুরের ৪১টি বস্তি, ক্যাম্প আর কলোনিতে লেগে থাকছে নেতৃত্বের লড়াই। ফলে বাড়ছে অপরাধ। সূত্র মতে, এখানকার সবচেয়ে বড় উত্তরা আবাসন প্রকল্পে বসবাস করছেন ৯৯৩টি পরিবার, গোলাহাট সিনেমা হলো ক্যাম্পে ১৯২টি পরিবার, গোলাহাট পুলিশ ফাঁড়ি ক্যাম্পে ৬১টি পরিবার, গোলাহাট ক্যাম্পে ২৪০ পরিবার ও গোলাহাট ১ নম্বর ক্যাম্পে ৩১০টি পরিবার, পাওয়ার হাউস সুইপার কলোনি, রসুলপুর ক্যাম্পে মোট ৩৫১টি পরিবার, বালু রেস ক্যাম্পে ৫৯টি পরিবার, মুন্সীপাড়া রেলওয়ে কলোনিতে ৪৯৬ পরিবার, মুন্সীপাড়া ক্যাম্প, মোস্তফা ক্যাম্প, ৫নম্বর ক্যাম্প, ৭ নম্বর ক্যাম্প, উত্তর নিয়ামতপুর চামড়া গুদাম ও দক্ষিণ নিয়ামতপুর চামড়া গুদামে কাম্পে মোট ৫৩৭টি পরিবার, আউট হাউস ক্যাম্প ও টিনাবাড়ি ক্যাম্পে মোট ৫০৪টি পরিবার, নিচু কলোনি, হাতিখানা ভাঙ্গা বস্তি ও হাতিখানা ক্যাম্পে ১ হাজার ২৬২টি পরিবার, রেলওয়ে মেস ক্যাম্প, অফিসার্স কলোনি, হাতিখানা মৌ গাছতলা ও হাতিখানা মাছুয়াপাড়ায় মোট ৩৪০টি পরিবার, হাওয়ালদারপাড়া ১৫০টি পরিবার, দুর্গা মিল ক্যাম্প, নয়াবাজার ধর্মশালা ক্যাম্প ও সুড়কি মহল্লা ক্যাম্পে মোট ২৫৫টি পরিবার, নতুন বাবুপাড়া সুইপার কলোনি, গার্ডপাড়া রেল কলোনি ও গার্ডপাড়া নাজঘর ক্যাম্পে ২৭৫টি পরিবার, সাহেবপাড়া ও গফুর বস্তিতে মোট ৫২৬টি, বাঁশবাড়িতে ১৪২টি পরিবার, নবী নগর মিস্ত্রিপাড়া, কয়া মিস্ত্রিপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া ক্যাম্প ও বটগাছতলী বস্তিতে সর্বমোট ৩৩৭টি পরিবার বসবাস করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। স্বল্প আয়ের ওয়ার্ডভিত্তিক এসব বস্তি বা কলোনিতে নেতৃত্বের লড়াই লেগে রয়েছে। ভাল মানুষের পাশাপাশি খারাপ প্রকৃতির মানুষও বসবাসের পাশাপাশি একশ্রেণীর মানুষ অপরাধ সংঘটিত করে এসব বস্তিতে লুকিয়ে থাকছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে পুলিশ তাদের টিকিও ছুঁতে পারছে না। এই শহরে বস্তি, ক্যাম্প আর কলোনিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিশাল সিন্ডিকেট। এরা কলোনি বেচাকেনা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণসহ সব ধরনের কাজ করে থাকে। এলাকার সচেতন মহল বলছে, এসব অবাঙালী ক্যাম্প, বস্তি ও রেলওয়ে কলোনিগুলোর একটি করা প্রয়োজন। জরিপে কারা কি ভাবে বসবাস করছে, বসবাসকৃতদের মধ্যে গড় বয়স কত, তাদের আয়ের উৎস কি। কারা তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে। এসব প্রশ্নের জরিপ করা হলে এসব বস্তি, ক্যাম্প আর কলোনি অপরাধমুক্ত করা সম্ভব।
×