ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করলেন চার বাঙালী বিজ্ঞানী

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ৭ জানুয়ারি ২০১৫

ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করলেন চার বাঙালী বিজ্ঞানী

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই মহামারীর আকার নেবে ক্যান্সার। তখন প্রায় প্রতিঘরে ছড়িয়ে পড়বে রোগটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (্ডব্লিউএইচও) এ সতর্কতা জানিয়েছে। সারাবিশ্বে ক্যান্সার রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার প্রেক্ষাপটে একদল বাঙালী বিজ্ঞানী কম খরচে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন নতুন এক ওষুধের সন্ধান দিলেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনের। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির মেডিক্যাল এ্যাঙ্কোলজি বিভাগের সুজিত বসু, প্যাথলোজি বিভাগের চন্দ্রানী সরকার ও দেবাঞ্জন চক্রবর্তী এবং কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের এমেরিটাস বিজ্ঞানী পার্থসারথি দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে এমন একটি রাসায়নিক তৈরি হয় মানুষের মস্তিষ্কেই। রাসায়নিকটির নাম ‘ডোপামিন’। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ক্যান্সার’-এ চারজন বাঙালী বিজ্ঞানীর সাম্প্রতিক গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। মানবদেহে নতুন রক্তজালিকার (ক্যাপিলারি) সৃষ্টিকে বলে এ্যাঞ্জিওজেনেসিস। এ থেকে ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের জন্ম হতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের বৃদ্ধির হারও বাড়িয়ে দেয় এই প্রক্রিয়া। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় যার নাম ভাস্কুলার এন্ডোথেলিয়াল গ্রোথ ফ্যাক্টর। বাঙালী বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, ডোপামিন ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করে ক্যান্সারের টিউমারের বৃদ্ধি দ্রুত আটকে দেয়া যায় আর খরচও অনেক কম। বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, অনেক সময় ক্যান্সার রোগীদের স্বেতকণিকার পরিমাণ অস্বাভাবিক কমে যায়। ডোপামিন ব্যবহারে সেটাও রোধ করা সম্ভব। ডোপামিন হলো এক ধরনের নিউরোট্র্রান্সমিটার। অর্থাৎ বিভিন্ন স্নায়ুর মধ্যে সংযোগ তৈরি করতে সাহায্য করে এই রাসায়নিক। পার্কিনসন্স ডিজিজের ক্ষেত্রে এই নিউরোট্র্রান্সমিটার কমে যায়। আবার সিজোফ্রেনিয়ার ক্ষেত্রে বেড়ে যায়। বহু দিন ধরেই পার্কিনসন্স, কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজের চিকিৎসায় ডোপামিনের ব্যবহার চালু রয়েছে।
×