ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্ব এজতেমা সফল করতে প্রশাসনের প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ৪ জানুয়ারি ২০১৫

বিশ্ব এজতেমা সফল করতে প্রশাসনের প্রস্তুতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর ও টঙ্গী, ৩ জানুয়ারি ॥ টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আগামী ৯ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব এজতেমার প্রথম পর্ব। মুসল্লিদের সুবিধার্থে ৯ থেকে ১১ জানুয়ারি এবং ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি দুই পর্বে এবারও এজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ মুসলিম গণজমায়েত সফলভাবে সম্পন্ন করতে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। এ উপলক্ষে শনিবার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী অঞ্চল চত্বরে বিশ্ব এজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি ও পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিটি মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এজতেমা সফল করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য বিভাগ ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আশা করছি, গতবারের ন্যায় এবারও সফলভাবে এজতেমা সম্পন্ন হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এড. আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বিশ্ব এজতেমা আমাদের জন্য একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ আয়োজন। ইতোমধ্যে বিভাগ অনুযায়ী বণ্টন করা কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মুসল্লিদের সেবা দিতে পানি, টয়লেটসহ যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রায় ৫০টি ওষুধ কোম্পানি মুসল্লিদের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, গাজীপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। ৩৯টি রুটের গাড়ি এ রাস্তা দিয়ে চলে। তাই যে কোন সময় রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে গাজীপুর পুলিশ, এলজিইডি ও সড়ক বিভাগের জন্য কিছু রেকারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, টঙ্গীতে অতীতের সকল এজতেমা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি এবারও সফল হবে। আমরা সার্বিকভাবে মুসল্লিদের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছি। নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে চেকিং ব্যবস্থা থাকবে। সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে, টহল পুলিশ থাকবে, ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে, র‌্যাবের পাশাপাশি পুলিশেরও স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুমের অধীনে পাঁচটি সাব কন্ট্রোলরুম থাকবে। দুর্ঘটনা ও ভিআইপি বহনের জন্য ৩টি হেলিপ্যাড থাকবে। এজতেমার নিরাপত্তায় সর্বমোট ৯ হাজার ৫০০ পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। সভাপতির বক্তব্যে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ ধর্মীয় জামাতের আয়োজনে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি বরাবরের মতো এবারও মুসল্লিদের সেবা দিতে আমরা সফল হব।
×