ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নেই কোন মঙ্গার ছোঁয়া

গাইবান্ধায় মরিচ চাষে ব্যাপক সফলতা

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ৩ জানুয়ারি ২০১৫

গাইবান্ধায় মরিচ  চাষে ব্যাপক  সফলতা

আবু জাফর সাবু, গাইবান্ধা ॥ গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে মরিচের এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে এই অঞ্চলে চিরায়ত মঙ্গার প্রভাব আর নেই। অনুর্বর বালুময় ভূমিতে মরিচ চাষ করে অসংখ্য পরিবার ইতোমধ্যে আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়ে উঠেছে। অথচ এসব জমিতে ফসলের চাষ হবে কেউ তা আগে ভাবেনি। প্রথমে বালুময় এসব ভূমিতে ভুট্টা চাষ করে কৃষকরা ব্যাপকভাবে সাফল্য লাভ করায় ক্রমে ক্রমে তারা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি মরিচ চাষ শুরু করে। চলতি বছর গাইবান্ধা জেলার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদী বেষ্টিত ২২টি চর ইউনিয়নের শতাধিক চরে প্রায় দু’হাজার হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। এর মধ্যে একমাত্র ফুলছড়িতেই ১ হাজার ২শ’ ৭৫ হেক্টর জমিতে এবার মরিচের চাষ করা হয়। কোন কোন কৃষক ৪০ থেকে ৫০ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছে। প্রচুর ফলন হওয়ায় কৃষকরা খুবই খুশি। মৌসুমের শুরুতে কাঁচামরিচ বিক্রি করে তারা প্রচুর লাভবান হয়েছে। গত কয়েক বছর থেকে বালুকাময় পলি মাটিতে মরিচ উৎপাদন করে চরাঞ্চলের মঙ্গাকবলিত মানুষ তাদের সেই দিন পাল্টে ফেলার সুযোগ পেয়েছে। তারা ক্রমান্বয়ে সচ্ছল হয়ে উঠছে। আর এই বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে ব্রহ্মপুত্র নদীর কোল ঘেঁষে চরাঞ্চলের সবচেয়ে বড়হাট ফুলছড়ি এখন মরিচেরহাট নামে খ্যাতি অর্জন করেছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এক সময় এ জেলায় মরিচের চাষ হতো অনেক কম। ফলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মরিচ দিয়ে জেলার চাহিদা পূরণ হতো না। ফলে পার্শ্ববর্তী বগুড়া, জয়পুরহাট ও নওগাঁ থেকে মরিচ আমদানি করে চাহিদা মেটানো হতো। আর এখন এখান থেকেই মরিচ অন্য জেলায় রফতানি হচ্ছে। কম খরচ ও শ্রমে অধিক লাভবান হওয়ায় জেলার ১শ’ ২২টি চরের মানুষের কাছে মরিচ একটি লাভজনক ফসল হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
×