ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কলাপাড়ায় এইচএসসি ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ৩ জানুয়ারি ২০১৫

কলাপাড়ায় এইচএসসি ফরম পূরণে  অতিরিক্ত ফি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২ জানুয়ারি ॥ কলাপাড়ায় এইচএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোন ধরনের নিয়ম-কানুন মানা হচ্ছে না। একেকজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তিন থেকে চার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থীর কলেজে গিয়ে কান্নাকাটি করেও বাড়তি টাকা দেয়া থেকে পরিত্রাণ জোটেনি। কারও কাছে এর প্রতিকার পাওয়ার উপায় নেই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণের কেউ নেই। সরকারীভাবে শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম অনুসারে বোর্ড ফিসহ সর্বোচ্চ ১৭শ’ টাকা খরচ হওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে নেয়া হচ্ছে চার হাজার টাকা পর্যন্ত। ফলে দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়া করাতে এখন সুদে-কর্জে টাকা সংগ্রহ করতে হচ্ছে। কলাপাড়ার মোজাহারউদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রী কলেজ, কলাপাড়া মহিলা কলেজ, ধানখালী ডিগ্রী কলেজ, আলহাজ জালালউদ্দিন কলেজ, কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজ, মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কলেজসহ সবক’টিতে এমন অবস্থা চলছে। এমনিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ক্লাসে নিয়মিত লেখাপড়া হয় না। নামকাওয়াস্তের লেখাপড়ার কারণে শিক্ষার্থীদের ১২ মাস প্রাইভেট পড়তে হয়। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ফি-মাসে বাড়তি গুনতে হচ্ছে কমপক্ষে পাঁচ থেকে আট হাজার টাকা করে। সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী ফরম পূরণে এমন দূরবস্থায় পড়েছে। বোর্ডের নিয়মানুসারে ফরম পূরণের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতি বিষয় বাবদ ৭৫ টাকা, ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য প্রতি বিষয় বাবদ ৪০ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট বাবদ ৫০ টাকা, পরীক্ষার সনদ ফি বাবদ ১০০ টাকা, এছাড়া রোভার্স রেঞ্জার ফি বাবদ ১৫ টাকা, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পাঁচ টাকা নেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্র ফি বাবদ ২৫০ টাকা ও ব্যবহারিক পরীক্ষা বাবদ আরও ২৫ টাকা করে নেয়ার কথা বলা রয়েছে। এভাবে সর্বোচ্চ ১৬শ’ থেকে ১৭শ’ টাকা নেয়ার কথা। কিন্তু টাকা নেয়া হচ্ছে তিন থেকে চার হাজার। এ ব্যাপারে একাধিক কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের কলেজে এসব হয় না, অন্য কলেজ করতে পারে বলে মন্তব্য করেন। তবে মোজাহারউদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন জানান, অতিরিক্ত কোন টাকা নেয়া হয়নি। বোর্ড নির্ধারিত নিয়মে সবকিছু করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সচিব মোতালেব হোসেন অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ দেন।
×