নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ১ জানুয়ারি ॥ শীত উপেক্ষা করে উত্তরাঞ্চলের আটটি জেলার কৃষক বোরো ধানের চারা জমিতে রোপণের ও ধান চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছে। রংপুর বিভাগে ৫৪ হাজার ৯৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজতলায় ধানের বোরো চারা উৎপাদন হয়েছে। তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘনকুয়াশা ও কনকনে ঠা-ার কবলে বীজতলার ধানের চারায় পচন রোগ দেখা দিয়েছে। ঘনকুয়াশা ও কনকনে ঠা-ার পচন রোগে আক্রান্ত হতে রক্ষা পেতে ধান চাষীরা বিশেষ পদ্ধতিতে ধানের চারায় মুক্তার মতো জমে থাকা শীতের কুয়াশা ( শিশির) কৃষক ম্যাজিক লাঠি দিয়ে নাড়াচাড়া করে ৩-৪ বার করে ফেলে দিচ্ছে। এই ভাবে ধানের চারা পচন রোগ হতে কৃষক রক্ষা করছে।
গত কয়েক দিন ধরে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোসহ সারাদেশে শীতের প্রভাব পড়েছে। শৈত্য প্রবাহ বইছে। এতে জনজীবন, পশু, পাখি ও বোরো ধানের বীজতলা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। শীতের কারণে মানুষ পশু পাখি কাহিল হয়ে পড়েছে। ধানের বীজতলায় সঠিক মাত্রায় সূর্যের কিরণ ও উষ্ণতা না পৌঁছায় দেখা দিয়েছে বীজতলায় পচন রোগ।
কয়েক দিন ধরে ঠা-া ও শীতের কারণে সঠিক মাত্রায় সূর্যের আলোর দেখা নেই। দিনের বেলাতেও যানবাহন চলাচলে সামনের লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। রংপুর বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের আট জেলায় ৫৪ হাজার ৯৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি হয়েছে।
এদিকে গত বছরের চেয়ে এবছর ধানের বীজের দাম কিছুটা কম। বিএডিসির সরকারী বীজ ব্যাগ (১০ কেজি পরিমাণ) প্রতিটি ৩৭৫ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। গত বছর একই বীজের ব্যাগ ৪১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এতে প্রতিকেজি ধানের বীজ ৩৭.৫০ টাকা দরে সরকারী মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে। গত বছর ছিল ৪১.১৫ টাকা।
তবে কৃষি বিভাগের কৃষি কর্মকর্তাগণ জানান, ধানের বীজতলা রাতে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেও পচনরোধ করা সম্ভব। এছাড়াও বীজতলার পাশে যদি খাল, বিল, নদী ও নালা থাকে। সেখান হতে পানি তুলে রাতের বেলা ধানের বীজতলায় সেচ দিয়ে চারা বরাবর পানি জমিয়ে রেখেও পচন রোধ করা সম্ভব।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: