ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্বদেশ রায়

দু’ফোঁটা চোখের জল না হোক, একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলি

প্রকাশিত: ০৩:২৪, ১ জানুয়ারি ২০১৫

দু’ফোঁটা চোখের জল না হোক, একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলি

গভীর রাত। থানার সেন্ট্রির ভারি বুটের শব্দ ছাড়া আর সব শব্দ থেমে এসেছে। দীর্ঘ সময় পর পর রাতের নীরবতার বুক চিরে ট্রেনের হুইসেল শোনা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে দু’ একটা লরির ঘড় ঘড় শব্দ। এই সময়ে থানায় একটি রুমের মেঝেতে বসে আছেন একজন অতি সাধারণ মানুষ। যার ছেলে দুর্ঘটনায় পড়ে মৃত্যু পথযাত্রী না হলে কোনদিন তাকে তার দেশ, প্রশাসন, মিডিয়া কেউ চিনত না। যেমন নীরবে তিনি জন্মেছিলেন তেমনি নীরবে নিজের শারীরিক পরিশ্রমের ভেতর দিয়ে বাগানের বাইরের ঘাস অথবা ঘাসফুলের মতো শেষ হয়ে যেত তার জীবন। তিনি জীবনের এতদিনে জেনে গেছেন, তাঁর মতো মানুষের জীবনে স্বপ্ন দেখতে নেই, এমনকি রাস্তায় যতটুকু জায়গা পাওয়া যায় সেখান দিয়ে ছাড়া হাঁটতে নেই। কিন্তু তার শিশু সন্তানটি তখনও জানেনি, সে একটি বাগানের বাইরের ঘাসফুলের কলি। তাই তারও অন্য ফুলের মতো ফুটতে ইচ্ছে করে। নিষ্পাপ এই ফুলের কলিটি প্রজাপতি হয়ে উড়তে গিয়ে পড়ে গেছে শহরের উন্নয়নের একটি পাইপ লাইনের মধ্যে। রাজকাজে অনাসৃষ্টি, তাই ছুটে আসতে হয়েছে রাজ্যের যত সান্ত্রী-সেপাইকে। মিডিয়ার পর্দায়, পাতায়, সম্পাদকের টেবিলেও ততক্ষণে উড়ে এসেছে এই বনপুষ্পের কলিটি। রাজযন্ত্রকে বসতে হয়েছে নড়ে চড়ে। কিন্তু রাজযন্ত্রের যাঁরা সান্ত্রী-সেপাই তাঁদের তো আর কোন কিছু নিয়ে সহজভাবে ভাবলে চলবে না। রাজার জন্যই ভাবতে হবে। একটি বনফুল বা একটি নাম গোত্রহীন বাবা-মায়ের সন্তান মৃত্যুমুখে পড়েছে তাকে উদ্ধারে এসেছে সকলে রাজকাজ ফেলে। কিন্তু আর যাই হোক তারা তো রাজার লোক, সবাই যেভাবে দেখে সেভাবে দেখলে চলবে কি আর রাজকার্য! তাছাড়া রাজা আর রাজ্য নিয়ে ভাবার জন্যই তো রাজার যত সান্ত্রী-সেপাই! তাই কোথাকার কোন রাস্তার পাশের মানুষের একটি ছেলের জীবন উদ্ধারের আগে তাকে তো ভেবে দেখতে হবে, খুঁজে দেখতে হবে, এর ভিতরে রাজা ও রাজ্যের ক্ষতির উদ্দেশ্য আছে কিনা? রাজকাজে অবহেলা! না, এতো কখনও হতে পারে না? রাজার কাজের গভীরতর দায়িত্ব দেখাতে তাই তখন মহা-আয়োজন। নিজের বুকের ধন, সারাদিন কাজ শেষে ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে ছোট্ট ডেরায় ফিরলে যে দু’হাতে গলা জড়িয়ে ধরে। যার স্পর্শে, তাঁরও বুকে জেগে ওঠে একটি স্পন্দন। হয়ত তিনি জীবনানন্দ বা ইয়েটস পড়েননি বলে ওই সময় প্রকাশ করতে পারেন না, ‘জন্মে যে গভীরতর লাভ হলো।’ তিনি মন্ত্রী হবেন না, এমপি হবেন না, পুলিশের বড় কর্তা হবেন না। তার অর্থ, বিত্ত, বাড়িঘর কিছুই হবে না। তারপরেও একটি মানব জন্মে তারও লাভ আছে। সে লাভ অমনি দুটো কচি বাহুর বন্ধন। এই পরম সুন্দর সুখ স্পর্শ মানব জন্মের কত বড় পাওয়া সে যে যার অবস্থানে বসে নিশ্চয়ই জানে। পৃথিবীতে মনে হয় একটিই সম্পর্ক আছে তা এই পিতা-মাতা ও সন্তানের সম্পর্ক। যেখানে বাস্তবে কোন হিসাব নিকাশ নেই। হোক সে এই সম্পর্ক, ওই পিতার মন- তবু রাজকাজের কোন বাধা তো হতে পারে না। তাই তো যখন তার বুকের ধন মৃত্যুকে স্পর্শ করছে তখন তাকে বসতে হয়েছে রাজার সেপাইর কঠিন জেরার মুখে। এ না হলে রাজ-সেপাই! সেদিন গভীর নলকূপের প্রায় তিন শ’ ফুট নিচে যে শিশুটি পড়ে গিয়েছিল, সে এই পৃথিবীতে নেই। কিছুদিন পরে এই ব্যস্ত পৃথিবীতে আমরা সকলে তার নামও ভুলে যাব। হয়ত এখনও অনেকের মনে আছে ওই শিশুর নাম জিহাদ। সেদিন সে যখন দু’হাতে রাতে বাবার গলা জড়িয়ে ধরে ঘুমানোর বদলে দু’ হাতে পাইপের গায়ে জড়িয়ে ধরার ব্যর্থ চেষ্টা করে মৃত্যুর দিকে যাচ্ছিল- ওই সময়ে তার বাবা থানার একটি প্রকোষ্ঠের মেঝেতে বসে। তাকে তখন প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য একটিই, তাহলো রাজার সেপাই মহা-আবিষ্কার করতে চায়। সে গ্যালিলিওকেও ছাড়িয়ে যেতে চায় আবিষ্কারের দিক থেকে। আর কূটনীতিতে কৌটিল্য তো তার কাছে কোন্্ ছার! তাই জিহাদের বাবাকে র‌্যাবের ভয় দেখানো হচ্ছে, নানান কৌশলে মানসিকভাবে ঘায়েল করা হচ্ছে, যাতে তিনি বলেন, ছেলেটিকে লুকিয়ে রেখে রাজা ও রাজ্যের কী কী ক্ষতি করার কৌশল নিয়েছিলেন। আর এ পরিকল্পনা বের করে রাজার সেপাইরা ভেস্তে দিয়েছে রাজার ক্ষতি। রক্ষা পেয়েছে রাজ্য। রাজার সেপাইরা প্রায় সফলও হয়ে গিয়েছিল। কারণ, বিজ্ঞান চর্চার অন্যতম কেন্দ্র বুয়েট ততক্ষণে বলে দিয়েছে, না পাইপের ভিতর আরশোলা এবং টিকটিকি ছাড়া কিছু নেই। হাজার হোক বুয়েট! যন্ত্র নিয়ে, বিজ্ঞান নিয়ে তাদের কাজ। তাই তাদের ওপর তো আর কথা বলা যায় না এ সব বিষয়ে। রাস্তায় ঘোরা অর্ধ শিক্ষিত এই আমাদের মতো সাংবাদিকরা আমরা তো জানি, বুয়েটে এখন আর বিজ্ঞান চর্চা হয় না। সেখানে ধর্ম চর্চা হয়। এখন যারা বুয়েটে আছে তাদের সকল সফলতা দেখা যাবে বেহেশতে বা দোজখে। এই নশ্বর পৃথিবীতে নয়। আর সরকারের সিভিল ডিফেন্স, তারাও কি এখন বুয়েটের মতো পরকাল নিয়ে ব্যস্ত, তাই ইহ-জগত সম্পর্কে তাদের ভিতর একটা বৈরাগ্য এসে গেছে। বৈরাগ্য এসে গেছে মানুষকে বাঁচানোর কাজের প্রতি। হয়ত মহাযোগীর মতো তারাও উপলব্ধি করেছে, এই পাপ-তাপের সংসারে বেঁচে থাকাটাই যত কষ্টের। তার থেকে যে যত আগে স্র্রষ্টার কাছে ফিরে যেতে পারে সেই তত ভাগ্যবান। তাই তারাও জিহাদের চার বছর এই পাপ-তাপের পৃথিবীতে কাটানোর পর স্র্রষ্টার কাছে ফিরে যাবার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। এজন্য তারাও জানিয়ে দিল ওই কূপে জিহাদ পড়েনি। আমাদের মাননীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও তাদের কাছ থেকে জেনে তাঁর প্রিয়(!) দেশবাসীকে জানিয়ে দিলেন, ওখানে জিহাদ পড়েনি। যারা জিহাদকে ওখানে পড়ে যেতে দেখেছিল তারা কী ভেবেছিল ওই মুহূর্তে সেটা বড় কথা নয়। হাজার হোক তিনি তো বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী! তাকে তো এ দেশের ইতিহাসের ধারা মানতে হবে। কারণ, এ দেশে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকে যত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এসেছেন সকলেই পুলিশের ভাষায় কথা বলেছেন। কেউই পুলিশের ওপর রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব কী সেটা বোঝেনও না। এমনটি এ দেশে কেন ঘটেছে তাও কিন্তু অজানা কিছু নয়। একেই বলে সামরিক কালচার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী পুলিশের চিন্তা-চেতনার অধীনে থাকবেন, আরও অনেকে অন্যদের চিন্তা-চেতনার অধীনে থাকবেন, এমনকি বুদ্ধিজীবীরাও। এটাই সামরিক কালচারের বহির্প্রকাশ। এখন ঘটনা যদি ওখানেই শেষ হতো। অর্থাৎ বুয়েট, সিভিল ডিফেন্স আর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দিয়ে শেষ হতো তাহলে থানার একটি প্রকোষ্ঠের মেঝেতে বসা জিহাদের বাবার অবস্থা কী হতো? নিঃসন্দেহে আমাদের সান্ত্রীরা এর পরে অনেক বড় কাহিনী উপস্থিত করতেন। তাদের সে কাহিনী বেটা চানক্যকেও হার মানিয়ে দিত, তিনি যেভাবে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে বার বার বিপদ থেকে রক্ষা করেছিলেন, সে সব ঘটনা এ কাহিনীর কাছে ছার হয়ে যেত। আর জিহাদের দেহ পড়ে থাকত অন্ধকূপে, কারাপ্রকোষ্ঠে চলে যেতেন তার বাবা। তাই বুঝি রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, রাজশক্তি বজ্র সুকঠিন। রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, প্রেমিক রাজা শাহজাহানকে উদ্দেশ করে আমাদের মতো পুলিশী রাষ্ট্রের জন্যে নয়। তাহলে হয়ত শব্দ বদলে যেত। না, ঘটনা শেষ পর্যন্ত সবটুকু সেদিকে যেতে পারেনি। রাষ্ট্রের সকল আয়োজন শেষ হবার পাঁচ মিনিটের ভিতর সাধারণ মানুষ তুলে আনল জিহাদকে। আরেকবার প্রমাণ হলো রবীন্দ্রনাথের জুতো আবিষ্কার কবিতা কত সত্য। রাজার মন্ত্রী, সান্ত্রী-সেপাইরা যেখানে রাজার পা ধুলো থেকে বাঁচাতে দেশকে রসাতলে দিচ্ছিল তখন চর্র্মকার অতি সহজে সমাধান করে দেন সেটা। তখন মন্ত্রী বলেছিল, আমারও ছিল মনে, ব্যাটা কেমনে পেরেছে জানতে। সাধারণ মানুষ জিহাদকে উদ্ধার করার পর, সিভিল ডিফেন্স ডিজিও খানিকটা জুতো আবিষ্কারের ওই মন্ত্রীর আধুনিক ফর্ম হিসেবে বলেছেন, ‘আমরাও সাহায্য করেছি।’ এ ঘটনার পরের দৃশ্য আরও করুণ। এ যদি সত্য ঘটনা না হয়ে নাটক হতো, জানি না নাটকের স¤্রাট শেক্সপিয়রও এতটা নির্মমভাবে এই করুণ দৃশ্য লিখতে পারতেন কি না? জিহাদের বাবাকে বলতে হয়েছে, তাঁর ওপর কোন নির্যাতন হয়নি ওই রাতে। আমাদের মন্ত্রীরা কেউ পিতা না হয় কেউ মাতা। তাছাড়া এ দেশের কোটি কোটি পিতা-মাতা আমরা যারা আছি, আমরা সকলে একটি মিনিট সময় ব্যয় করি জিহাদের পিতার মতো একজন অতি সাধারণ মানুষের জন্য। আসুন না সবাই একবার চোখ বুজে চিন্তা করি, আমার চার বছরের শিশুটি বা আমার যত বড় সন্তান হোক, সে অন্ধকূপে মৃত্যুমুখে আর তখন আমাকে থানায় নিয়ে সারারাত জেরা করা হচ্ছে, আমি রাজার ক্ষতি করার জন্য সন্তান কোথায় লুকিয়েছি তা জানার জন্য। কল্পনা কখনও বাস্তবকে ছুতে পারে না তারপরেও কি ভাবতে পারি না , কী নির্মম সে রাত,কী ভয়ংকর সে রাত একজন পিতার জন্যে! এ নির্যাতনের থেকে একটি বুলেট যদি বুককে এফোঁড় ওফোঁড় করে মৃত্যু এনে দেয় তাও কি সহজ নয়! এরপরে রাষ্ট্রশক্তির কাছে পরাজিত পিতাকে বলতে হচ্ছে, তাকে কোন নির্যাতন করা হয়নি। পিতা-মাতা হিসেবে আমরা চিন্তা করলেও কি আমাদেরই মানসিক নির্যাতন হয় না, আমাদেরও কি চোখের কোনা ভেঙ্গে জল চলে আসে না? আর জিহাদের পিতাকে বলতে হচ্ছে, তার ওপর কোন নির্যাতন হয়নি। জিহাদের বাবার ওই রাত নিয়ে শেয়ার করেছিলাম, হার্টের ডাক্তার রাকিবুল হাসান লিটুর সঙ্গে। তিনি সন্তানের বাবা, আদর করে সন্তানদের নাম রেখেছেন রাজা, বাদশা ও স¤্রাট। সবটুকু শেয়ার করতে পারেনি, হাত দুটি ধরে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি যেভাবে সাধারণ মানুষকে জড়িয়ে ধরেন, তাদের শিশুকে আপন শিশুর মতো কোলে তুলে নেন আমরা অধিকাংশই তা পারি না। আর আপনার মতো মানুষের প্রতি এ মমতা না থাকলে যে রাজনীতি করা উচিত না এ সত্য বুঝি না বলে, সকলে রাজনীতি করতে চাই, সকলে মন্ত্রী হতে চাই। এটাও এ দেশের এক বড় অনাসৃষ্টি। তাই সব কিছু শেষ অবধি আপনার কাছে জানাতে হয়। আপনি এ দেশকে সরাসরি সামরিক শাসনমুক্ত করেছেন। সামরিক কালচারমুক্ত হয়নি। সামরিক কালচারমুক্ত হয়নি বলে দেশ পুলিশী রাষ্ট্র থেকে বের হতে পারছে না। ঘটছে জিহাদের বাবার ঘটনার মতো ঘটনা। দেশবাসী জানে, আপনার পাশে কেউ নেই, আপনি একা। বীরেরা সবদিন একা থাকে। তাই আপনাকে একাই এ দেশকে পুলিশী রাষ্ট্র থেকে জনগণের রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। যাতে আর কোন জিহাদের পিতার ঘটনার মতো ঘটনা না ঘটে। পুলিশী রাষ্ট্র বলাতে এখানে কেউ ভুল ব্যাখ্যা করতে পারেন। বলতে পারেন বিএনপিও এ রাষ্ট্রকে পুলিশী রাষ্ট্র বলছে। তাদের সঙ্গে গলা মিলে যাচ্ছে। বিএনপি’র জন্য বলা যায়, পুলিশী রাষ্ট্র আছে বলেই বিএনপি এখনও গাড়ি পোড়াতে পারছে। কারণ, তারা যখন গাড়ি পোড়ায় তখন পুলিশ তাদের পিছন দিক থেকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। কিন্তু যদি জনগণের পুলিশ হতো, পুলিশের ওপর শতভাগ জনগণের নেতৃত্ব থাকত তাহলে জনগণের সম্পদ নষ্ট করার সময় পুলিশ দুই দিক থেকে ঘিরে তাদের পায়ে গুলি করে সবগুলোকে কোর্টে পাঠিয়ে দিত। হাসপাতালেও পাঠাত না। জনগণের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এর ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে। ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে গণতন্ত্রের বৃহত দেশ আমেরিকা ও ভারতেও। আমেরিকার পুলিশ অবশ্য পায়ে গুলি করে না, সরাসরি বডি শুট করে। এমন দু’চারটে ব্যবস্থা নিলে তারা আর গাড়ি পোড়াতে সাহস পেত না। আর এ রাষ্ট্রে এখনও সামরিক কালচার আছে বলেই বেগম জিয়া জেলের বাইরে। কারণ, মানুষের মাংস পুড়িয়ে যিনি এক বছর ধরে কাবাব খেয়েছেন, যার দাঁতে মুনিরের মাংস লাগানো, যিনি আবার সেই মানুষের কাবাব খাওয়া শুরু করেছেন- তিনি কীভাবে জেলের বাইরে থাকেন? সামরিক কালচারের গণতন্ত্র ছাড়া কোন জনগণের গণতন্ত্র এ অধিকার দেয় যে, এই মানুষের কাবাব খেকো মানুষ বা ডাইনি যাই বলুন তিনি জেলের বাইরে থাকবেন? এ সামরিক কালচারের গণতন্ত্র ও পুলিশী রাষ্ট্র থেকে বের হতে হবে। নতুন বছরের প্রথম দিনে শিশু জিহাদের মৃত্যুর জন্য মাথা নত করে, তার বাবার জন্য দু’ ফোঁটা চোখের জল না হোক, অন্তত একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে-আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে চেষ্টা করি, দেশটা মানুষের হোক। [email protected]
×