ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রায়ে আওয়ামী লীগের সন্তোষ

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪

রায়ে আওয়ামী লীগের সন্তোষ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের ফাঁসির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এ সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, যুদ্ধাপরাধী এটিএম আজহারুল ইসলামের ফাঁসির আদেশ হওয়ায় জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে, জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। আওয়ামী লীগ এ রায়কে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাচ্ছে। হাছান মাহমুদ বলেন, মানবতাবিরোধী বিচার কাজ যখন শুরু হয় তখন অনেকের মধ্যে সংশয় ছিল- আদৌ এই রায় শেষ পর্যন্ত কার্যক্রম হবে কিনা। কিন্তু সব রক্তচক্ষু উপক্ষো করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ শুরু হয়েছে। রায় হয়েছে। রায় কার্যকরও হচ্ছে। তিনি বলেন, হরতালে নোয়াখালীতে শিক্ষিকাকে হত্যার ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে দেশের জনগণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের হুকুমের আসামি হিসেবে দেখতে চায়। এদিকে এটিএম আজহারুল ইসলামের ফাঁসির রায়ে সন্তোষ করে রাজধানীর বিভিন্নস্থানে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ২০১৩ সালের মতো বিএনপি আবারও জনগণের ওপর বোমা এবং পেট্রোল বোমা হামলা শুরু করেছে। হরতাল পালন করার নামে এই অপশক্তি আবারও সাধারণ নিরীহ জনগণের ওপর হামলা চালাচ্ছে, একজন স্কুল শিক্ষিকাকে হত্যা করেছে, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মা ও তার পুত্র-কন্যাকে দগ্ধ করেছে। মূলত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তাঁর দল ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করার নামে পথ হারিয়ে দেশবাসীকে অন্ধকারের পথে ঠেলে দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ এখন পেট্রোল বোমা হামলাকারী, জনগণের ওপর হামলাকারী, দুষ্কৃতকারীদের নেতায় পরিণত হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ‘একজন ভদ্রবেশী সিরিয়াল মিথ্যাচারী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ মিরপুরে ককটেলও ফাটায়নি, শিক্ষিকাকে হত্যাও করেনি। অথচ এর জন্য মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, হরতালের আগের দিন অতীতের মতো যেভাবে পেট্রোল বোমা ছুড়ে জীবন্ত মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করা হয়েছে। এর দায়-দায়িত্ব শুধু ঘটনার সঙ্গে যারা সরাসরি যুক্ত ছিল, তাদের একার নয়। এর নির্দেশদাতা হিসেবে খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের ওপর বর্তায়। জনগণ এসব নৃশংস মানবতাবিরোধী কর্মকা-ের নির্দেশদাতাদেরও বিচার চায়। বিএনপি-জামায়াতের নেতিবাচক রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তারা রাজনৈতিক নেতা কিংবা রাজনৈতিক কর্মী নয়। তারা দেশ, জনগণ ও সমাজের শত্রু। তাদেরকে প্রতিহত করে দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে।
×