ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাবেক প্রতিমন্ত্রী মান্নান খানের বিরুদ্ধে ২০ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন জমা

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪

সাবেক প্রতিমন্ত্রী মান্নান খানের বিরুদ্ধে ২০ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন জমা

কোর্ট রিপোর্টার ॥ মারধর, হত্যার চেষ্টা ও ভাংচুরের অভিযোগে দায়ের একটি মামলায় সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খানের বিরুদ্ধে ২০ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার নিপু দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ নির্দেশ দেন। এর আগে সোমবার সকালে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী মামলাটি দায়ের করেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার দোহার উপজেলার জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চে মান্নান খানের নেতৃত্বে হামলা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়। সূত্র মতে ওই দিন আবদুল মান্নান খান দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে একটি মিছিল নিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানস্থলে যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের একাংশের শতাধিক নেতাকর্মী হৈচৈ করে দ্রুত মঞ্চে উঠে পড়ে এবং পুরো মঞ্চ দখলে নিয়ে নেয়। এরপর মঞ্চে টানানো ব্যানারে ‘নেত্রীর ছবি ও নাম কেন নেই’- এমন প্রশ্ন করেন দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল করিম ভূঁইয়াকে। জবাবে ইউএনও তাঁদের জানান, এটি কোন দলীয় অনুষ্ঠান নয়, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান করার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেশের সব উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত যে পোস্টার সরবরাহ করা হয়েছে তাই ব্যানারে রাখা হয়েছে। বিদ্যমান আইন ও নিয়মানুযায়ী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু ইউএনওর এমন বক্তব্য ও যুক্তি তারা আমলে নেয়নি। উল্টো মান্নান খানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ইউএনওকে তারা গালিগালাজ করে। মঞ্চে যখন মান্নান খানের নেতৃত্বে এই নিন্দনীয় হামলা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার তা-ব চলছিল তখন সামনে উপস্থিত ৫ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার অনেকে যার যার অবস্থানে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য যেসব ফুল মঞ্চে রাখা হয়েছিল তাও মান্নান খানের ক্যাডাররা ছুড়ে ফেলে দেয়।
×