ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে ৩৩ বসতঘর পুড়ে ছাই

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪

নীলফামারীতে ৩৩ বসতঘর পুড়ে  ছাই

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২টি পরিবারের ৩৩টি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মির্জাগঞ্জ গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। ডোমার ফায়ার সার্ভিস তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করলেও একটি বারের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্তদের খবর নেননি ও এলাকা পরিদর্শন না করায় সেখানে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, গ্রামের আবদুল গফুরের রান্না ঘরের চুলার আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলে মুহূর্তের মধ্যে আশপাশ ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে ৩৩টি বসতঘর ছাড়াও নগদ টাকা, ধান, চাল, আসবাব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ রাত সাড়ে ১০টায় অগ্নিকা-ে ১২টি পরিবারের ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হলেও ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন যেমন করেননি তেমনি সেখানকার কোন খোঁজখবর নেননি। এ ব্যাপারে জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন ডিপজলের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানান অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি শুনেছেন কিন্তু ঘটনার সময় থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত ঘটনাস্থলে যেতে পারেননি ভিজিডির চাল বিতরণে তিনি ব্যস্ত থাকার কারণে। দৌলতপুরে ৮ বাড়ি নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর থেকে জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অগ্নিকাণ্ডে ৮টি বাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে। এ সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছে আমেনা খাতুন (৫২) নামে এক নারী। শনিবার রাত ১টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউপির ময়রামপুর গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানায়, ওই গ্রামের আবুল হোসেনের রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে প্রতিবেশী মিরাজ, বাবুল, সাবুল, সাহাজুল, বেগম, আমেনা খাতুন ও কালুর ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
×