ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পরিবর্তন চাই’

প্রকাশিত: ০৫:০২, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪

পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার  প্রত্যয়ে স্বেচ্ছাসেবী  সংগঠন ‘পরিবর্তন চাই’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নতুন বছরে হবে পরিচ্ছন্ন এক বাংলাদেশ। যে দেশের পরিবেশ হবে পরিচ্ছন্ন। মানুষের মনগুলো হবে পরিচ্ছন্ন, রাজনীতি হবে পরিচ্ছন্ন, সমাজ হবে পরিচ্ছন্ন। সমাজে এ ধরনের মূল্যবোধ তৈরির জন্যে কর্মসূচী হাতে নিয়েছে ‘পরিবর্তন চাই’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আর তাই বছরের শেষ দিনটিকে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘দেশটাকে পরিষ্কার করি দিবস’ হিসেবে। শুধু পরিবেশের পরিষ্কার নয়, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ব্যক্তি জীবনে মনকেও পরিষ্কার করার সংকল্প রয়েছে এ দিবসের কর্মসূচীতে। রবিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচীর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ‘পরিবর্তন চাই’-এর চেয়ারম্যান ফিদা হক। তিনি জানান, ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সবাই নিজ নিজ বাসা, পাড়া, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে আশপাশের রাস্তা, পার্ক, মাঠ খাল, নদী বা সাগরের পাড় বা অন্য যে কোন উন্মুক্ত স্থানের অবর্জনা সংগ্রহ করে নিকটস্থ ডাস্টবিনে ফেলবেন। তিনি জানান, এ দিনটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করা যে, আর কখনও রাস্তায় বা উন্মুক্ত জায়গায় ময়লা না ফেলা এবং অন্যকেও না ফেলার জন্যে উৎসাহিত করা। ৩১ ডিসেম্বরের আয়োজন হিসেবে তিনি বলেন, ঢাকার নগর ভবন, উত্তর সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর, মিরপুর ২ নাম্বার স্টেডিয়াম, উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাব, মহাখালীর সাততলা বস্তিসহ ৬টি স্থানকে কেন্দ্র করে পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা তৈরির অভিযান চলবে। ঢাকার এ অভিযানে অন্তত ৫০০০ স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন বলেও জানান তিনি। আয়োজকরা জানান, ঢাকার বাইরে অন্তত ৪০টি জেলায় একাধিক স্থানে এ অভিযান পরিচালনা হবে। সব মিলিয়ে ৭০০০ স্বেচ্ছাসেবক একযোগে কাজ করবেন। সারাদেশেই অভিযানটি এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে যাতে, অভিযানগুলো সিটি কর্পোরেশন বা ওয়ার্ড কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। অভিযানের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ৫০টি ছোট ডাস্টবিন বানানো হয়েছে। যেগুলো নগরভবনের সামনের রাস্তা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাস্তায় ইলেকট্রিক ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু, তাহসান, অভিনয় শিল্পী বিপাশা হায়াত, তৌকির আহমেদসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার অনুসরণীয় মানুষরা এ কর্মসূচীতে অংশ নেবেন। অভিযানের কথা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্যে একটি সংক্ষিপ্ত চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, ব্রতীর চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার শারমিন মুর্শিদ, পরিবেশবিদ কামরুল হাসান খান, পাঞ্জেরি পাবলিকেশন্সের পরিচালক কামরুল হাসান শায়খ, পরিবর্তন চাই- এর নির্বাহী পরিচালক নাহিদ সুলতানা, স্থপতি ইকবাল হাবিব প্রমুখ। বক্তারা বলেন, দেশবাসীর মধ্যে যদি কেবল যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলার প্রবণতা কমিয়ে আনা যায়, তাহলে অল্পদিনেই বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হতে পারে। কর্মসূচীর সহযোগিতায় রয়েছে, বাংলা ট্র্যাক, ওয়াটার এইড, কিউবি, সূর্যমুখী এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন।
×