ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অনেক কলেজ পাবলিক ভার্সিটির চেয়ে ভাল করছে

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪

অনেক কলেজ পাবলিক ভার্সিটির চেয়ে ভাল করছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনেক কলেজ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ভাল করছে বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ। উপাচার্য বলেছেন, প্রযুক্তি ও টেকনিক্যাল দিক বিবেচনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় হবে সম্পূর্ণ সেশনজট মুক্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্যরা সরকারী কলেজকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেয়ার উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, সরকারী কলেজ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেয়ার প্রস্তাব একটি উদ্ভট চিন্তা, যা শিক্ষানীতিতেও নেই। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সিনেট অধিবেশনে তাঁরা এসব কথা বলেন। তবে একদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী দাবি করেছিলেন, সরকারী কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত করার সিদ্ধান্তই ছিল ভুল। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) পুরকৌশল বিষয়ে তিন দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুক্রবার ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেছেন, ১৯৯২ সালে সরকারী কলেজগুলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে একদিকে কলেজগুলোতে সেশনজট আরও বেড়েছে অন্যদিকে শিক্ষার মান কমতে শুরু করেছে। ২০ লাখ শিক্ষার্থী নিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। তাই সেশনজট কমিয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই সরকারী কলেজগুলোকে আবারও বিভাগীয় পর্যায়ের পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধীনে নেয়া হচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারী কলেজগুলোকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তোড়জোড়ের মধ্যেই শনিবার বসেছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সিনেট অধিবেশন। অধিবেশনে সিনেট সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহিদ এমপি, পিএসসি সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আসলাম ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর ও ট্রেজারার অধ্যাপক মোঃ নোমান উর রশীদ, সাবেক সচিব সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, ইউআইটি এস এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এমএ মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এম. অহিদুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আল-মাসুদ হাসানউজ্জামান, তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ প্রমুখ। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় মুনাফা অর্জনের সোপান ॥ এদিকে রাজধানীতে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে শিক্ষাবিদসহ বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ করেছেন, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এখন হচ্ছে মুনাফা অর্জনের সোপান মাত্র। শিক্ষা ব্যবস্থাকে মানসম্পন্ন করতে হলে সরকার প্রণীত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইনের শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে। দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত ‘বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় : সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এসব কথা বলেন। ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজামের সঞ্চালনায় এ গোলটেবিল বৈঠক হয়।
×