ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুন্সীগঞ্জে পুলিশ নানামুখী সঙ্কটে ॥ ঘুমাতে হয় পালাক্রমে

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪

মুন্সীগঞ্জে পুলিশ নানামুখী সঙ্কটে ॥ ঘুমাতে হয় পালাক্রমে

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জ পুলিশের যান সঙ্কট এখন প্রকট। লক্করঝক্কর মার্কা গাড়িতেই চলছে টহলসহ নানা অভিযান। সন্ত্রাসী ও মাদকের চালান ধরতে গিয়ে প্রায়ই বিকল হচ্ছে পুলিশের পিকাপ। নদীপথেও একই অবস্থা। তাই শুধু যানবাহনের কারণে পুলিশের কর্মতৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। সহকারী পুলিশ সুপারদের যানেরও একই চিত্র। মাঝেপথেই গাড়ি নষ্ট হচ্ছে সদরের সহকারী পুলিশ সুপার ও ট্রাফিকের সহকারী পুলিশ সুপারের। তাঁরা চলছেন মান্ধাতা আমলের সিঙ্গেল কেবিনের কাভার্ডভ্যানে করে। পুলিশের বিশেষ শাখার কোন যান নেই। তাই গোয়েন্দা তৎপরতাও ব্যাহত হচ্ছে। এই জেলায় রয়েছে ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিদিনই পুলিশের ৮/৯টি ভিআইপির প্রটোকল ডিউটি করতে হচ্ছে। সেগুলোও হচ্ছে থানার পিকাপ দিয়েই। ভিআইপি ডিউটিতে অন্তত ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলে। কিন্তু এসব যান এতটা গতিতে চলতে পারে না। তাই ভিআইপিদের গাড়িও চলে ধীরগতিতে। পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, প্রায় সময় ভিআইপিদের ভর্ৎসনা শুনতে হয় এখানকার পুলিশকে। এছাড়া পদ্মা সেতুর কারণে এখন থেকেই মাওয়ায় নতুন থানা করার কার্যক্রম শুরু করা জরুরী। নতুবা পরবর্তীতে সেতুর কাছাকাছি থানার জন্য জমি পেতে সমস্যা হবে। ২০১৮ সালের মধ্যে সেতু চালু হলে তখন থেকে থানা এখানে অত্যাবশ্যক। এছাড়া অপরাধপ্রবণ এলাকা শ্রীনগর উপজেলার বাঘরা এবং শিল্প এলাকা গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দিতে তদন্ত কেন্দ্র হওয়া অতি জরুরী। সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগর এবং টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘিরপাড়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র অনুমোদন হলেও জমির অভাবে এখনও কাজ শুরু করা যায়নি। এছাড়া পুলিশের আবাসন সঙ্কট প্রকট। এই জেলায় পুলিশ সুপার থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত ৮২৯ পুলিশ সদস্যের পদ রয়েছে। তার মধ্যে বর্তমানে রয়েছেন ৮২৫ জন। থানাগুলোতে প্রয়োজনীয় ব্যারাক না থাকায় দিনরাত অমানবিক পরিশ্রম করেও পুলিশ বিশ্রাম নিতে পারে না। দেশের বিভিন্ন স্থানে মডেল থানা হলেও এখানে কোন থানাই মডেল থানায় উন্নীত হয়নি। কচুয়ায় নিহত নারীর পরিচয় মিলেছে, হত্যাকা-ের ঘটনায় গ্রেফতার এক নিজস্ব সংবাদদাতা, কচুয়া, চাঁদপুর, ২৭ ডিসেম্বর ॥ কচুয়ায় নিহত অজ্ঞাত মহিলার পরিচয় মিলেছে এবং হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত দুলাল (৫০) নামে একজনকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। মহিলার নাম শিউলি আক্তার নদী। সে ঢাকার পীর জঙ্গি মাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করত। তার বাবা হসমত পীর জঙ্গি মাজার এলাকায় জিলাপি বিক্রি করেন। জানা গেছে শনিবার ২১ ডিসেম্বর সকালে কচুয়া উপজেলার আইনগিরি রাস্তার ওপর থেকে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্বার করে থানা পুলিশ, নদীর সঙ্গে থাকা মোবাইল আনতে গেলে এলাকার স্থানীয় লোকজন দুলালকে সন্দেহ করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত কচুয়া উপজেলার উত্তর গোহট ইউনিয়নের খিলা মসজিদ বাড়ির মৃত কুদ্দস মিয়ার ছেলে দুলালকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে ওইদিন রাতে কচুয়া থানার এসআই এনামূল হক দুলালকে নিয়ে ঢাকা নদীর বাসায় গিয়ে নদীর পরিচয় নিশ্চিত করে। এ ঘটনায় দুলালের ছেলে শরীফ ও স্ত্রীর ভাই আইনগিরি গ্রমের তাজুল ইসলামকে শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে থানা পুলিশ। শনিবার গ্রেফতারকৃত দুলালকে চাঁদপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে দুলাল ১৬৪ ধারায় জবাববন্দীতে হত্যাকা-ের কথা স্বীকার করলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
×