ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দেশ-বিদেশের পর্যটকের ঢল

প্রকাশিত: ০৫:০২, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪

দেশ-বিদেশের  পর্যটকের ঢল

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ থার্টি ফাস্ট নাইট উদ্যাপন ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত কক্সবাজার। এ উপলক্ষে পর্যটন শহরের তারকা হোটেল ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে চলছে নানা আয়োজন। আর পুরনো বছরের শেষ সূর্যাস্ত অবলোকন এবং স্মৃতির পাতায় নতুন বছরের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিভিন্ন আয়োজন চলছে। ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে। পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে সৈকতের বালিয়াড়ি ও জেলার দর্শণীয় স্পটগুলো। এ উপলক্ষে অগ্রিম বুকিংসহ কানায়কানায় ভর্তি হয়ে গেছে হোটেল মোটেল জোন থেকে শুরু করে শহরের প্রায় সব হোটেল, গেস্টহাউস ও কটেজগুলো। দেশী-বিদেশী পর্যটকরা সকল শঙ্কা কাটিয়ে নতুন বছরের শান্তির প্রত্যাশায় তিন দিন পর কক্সবাজার সমুদ্র তটে দাঁড়িয়ে বিদায় জানাবেন ২০১৪ সালকে। স্বচ্ছ আকাশে সমুদ্রে বিলীন হওয়ার পূর্বে সেই সূর্যটি জানান দিয়ে যাবে কল্যাণ ও সমৃদ্ধির। তাই এই পুরনো বছরকে বিদায় ও ২০১৫ নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস থাকবে সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে। পর্যটকদের হয়রানি রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। থার্টি ফাস্ট নাইট ও পর্যটকদের আগমনকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জোর দিয়ে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ। তিনি বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তায় স্পেশাল পুলিশের ব্যবস্থাও থাকছে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে সৈকতে লাখো মানুষের সমাগম সামাল দেয়া সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। পুলিশ সুপার জনকণ্ঠকে বলেন, প্রয়োজনে শহরের প্রবেশদ্বার এবং সৈকতে নামার ফটকে পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে। দর্শনীয় স্থান ও বিপণিকেন্দ্রগুলোতেও পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দেখা গেছে, থার্টি ফাস্ট নাইটের আগেই শহরে আনানুরূপ পর্যটকের আগমন ঘটেছে। এদের অনেকেই আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত হোটেলে রুম বুকিং রেখেছেন। এদিকে খ্রীস্টানদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বড় দিনের এবং শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে রেকর্ড পরিমাণ পর্যটক এসেছে। এতে কক্সবাজার পর্যটন শিল্প নিয়ে আশার সঞ্চার হয়েছে। জেলার দর্শনীয় স্থান ও বার্মিজ মার্কেটগুলোতে সর্বক্ষেত্রে সাজসাজ রব। নানা উদ্বেগ ও আশঙ্কাকে দূরে ঠেলে দিয়ে কক্সবাজারে জমে উঠছে পর্যটন ব্যবসা। বেড়ে গেছে পিকনিক স্পট ও দর্শনীয় স্থানসমূহে পর্যটকের আনাগোনা। আগত পর্যটকরা নিজেদের ভ্রমণকে আনন্দদায়ক ও ছুটে চলছেন বিভিন্ন পর্যটন স্পটে। পর্যটন নগরীতে ছোট-বড় ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস ও কটেজ রয়েছে। এ সব স্থানে রয়েছে প্রতিদিন দেড় লক্ষাধিক মানুষের থাকার ব্যবস্থা। সমুদ্র সৈকত, হিমছড়ি, ইনানী, দরিয়া নগরসহ ৭টি পর্যটন স্পটে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করকে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
×