ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪

সম্পাদক সমীপে

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনদরদী শেখ হাসিনা আপনি দেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি সীমাহীন দরদী ও আন্তরিক। যতটুকু জানি ও বাস্তবে দেখি, যেখানে অনিয়ম, যেখানে কোন ব্যক্তি বা পক্ষ বা পেশাজীবী তার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত- বিষয়টি আপনার নজরে এলে আপনি তা সঠিক সমাধানের নির্দেশ দেন। সেই অভিজ্ঞতায় বলছি, বাংলাদেশের বেসরকারী স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজগুলোর শিক্ষক তাদের সংসার চালাতে শুধুমাত্র মাসিক বেতনটুকু সম্বল করে কোন রকমে মাস পাড়ি দেন। মাস শেষে তাদের হতে উদ্বৃত্ত বলে কিছুই থাকে না। সরকারী স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ শিক্ষক ও অন্যান্য বিভাগীয় কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ তাদের চাকরি শেষে নিজ নামে ও স্ত্রীর নামে পেনশন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পরও চাকরির মেয়াদ ২ বছর বৃদ্ধি করায় তারা আপনার কৃতকর্মে অত্যন্ত খুশি ও আন্তরিক। তাদের চাকরিকাল যখন ৫৭ বছর তখন বেসরকারী শিক্ষকগণের চাকরিকাল ছিল ৬০ বছর। এই বাড়িত ৩ বছরে বেসরকারী শিক্ষকগণ অন্তত নিজ শ্রমটুকু খাটিয়ে এই সমাজে একই বাজারে নিজের পরিবার-পরিজন নিয়ে কোন রকমে তাল মিলিয়ে চলতে পারত। আজ সরকারীদের চাকরিকাল ৫৯ বছর করা হয়েছে। সে হিসেবে স্বাভাবিকভাবে বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিকাল বাড়ানো হয়নি। ইহা স্বাভাবিক নিয়মের ব্যত্যয়। অধিকন্তু শিক্ষকদের আলাদা পে-স্কেল এবং বেসরকারী কলেজসমূহে ‘সহযোগী অধ্যাপক’ পদ সৃষ্টি আপনার সরকারের শিক্ষাবান্ধব ঘোষণা। ইতোমধ্যে বিনা আন্দোলনে বেসরকারী শিক্ষক, কর্মচারীদের ঈদ বোনাস ও নতুন পে-স্কেলে অন্তর্ভুক্তি করে আপনি মহানুভবতার ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তই ন্যায়-নীতির জন্য বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিকাল পূর্ববৎ অনুসারে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরূপ ৬৫ বছরে উন্নীত এবং ‘সহযোগী অধ্যাপক’ পদ সৃষ্টি ঘোষণা বাস্তবায়নসহ শিক্ষকদের আলাদা পে-স্কেলে অন্তর্ভুক্তি করার জন্য আপনার কৃপা দৃষ্টি আকর্ষণ করি। মোঃ মনির উদ্দিন সহকারী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ নাগেশ্বরী ডিগ্রী কলেজ, কুড়িগ্রাম ফুটপাথ নেই ফুটপাথে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলা সদরের ফুটপাথগুলো বেদখল হয়ে গেছে। বিশেষ করে পোস্ট অফিসের মোড় থেকে থানা মোড় পর্যন্ত পায়ে হেঁটে চলাচল করা দুষ্কর। ফুটপাথগুলোয় এখন জমে উঠেছে নানারকম ব্যবসা-বাণিজ্য। ওইসব দোকানে কমলালেবু, আপেলসহ বিভিন্ন ধরনের ফল, পান-সিগারেট, কলা, জুতা, পুরাতন কাপড়, ইউরিয়া সার, পেঁয়াজু ও পাঁপড় ভাজা এবং আখের (কুশার) আটি সারিবদ্ধভাবে সাজানো। কেউ কেউ আবার চায়ের দোকানগুলোর সামনে বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল বাঁকা করে দাঁড় করিয়ে রাখে। পাশে দাঁড়িয়ে দু’চারজন আবার আরামে বিড়ি-সিগারেট টানে আর দীর্ঘ সময় গল্প করতে থাকে। পথচারীদের কেউ স্থান দিতে চায় না। এরই মধ্যে পথচারী নারী-পুরুষ হাতে ব্যাগ নিয়ে ঠেলাঠেলি করে নিত্যদিন যাতায়াত করে। মাঝে মধ্যে ধাককাও খেতে হয়। অন্যদিকে পাকা রাস্তায় দু’পার্শ্বে রিকশা ও অটোবাইক দাঁড়িয়ে থাকে। মাঝখান দিয়ে কোনরকমে বাস, ট্রাক, কোচ, ভ্যানগাড়ি, সাইকেল ইত্যাদি যাতায়াত করে। ফলে মাঝে মাঝে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাই পাকা রাস্তা দিয়ে চলাচল করাও অসুবিধাজনক। রাস্তা পারাপারের জন্য জেব্রা ক্রসিং না থাকায় পথচারীরা যত্রতত্র যানবাহনের ধাক্কার শিকার হন। বিশেষত: মহিলা ও শিশুরা। এখানে ট্রাফিক আইনের বাস্তবায়ন নেই। বাজারের রাস্তাগুলোয় প্রায়ই যানজট সৃষ্টি হয়। জনসাধারণের অবাধ চলাচলের সুবিধার্থে স্থানীয় প্রশাসন বেদখল ফুটপাথগুলো উদ্ধারের ব্যবস্থা করবেন কবে আর? মনোরঞ্জন রায় জয়নাল আবেদীন ও আব্দুল কাইয়ুম মিঞা উলিপুর, কুড়িগ্রাম। ভূয়া শিক্ষকের ভিড় যশোরের এক ডিগ্রী কলেজে ২২ শিক্ষকের নিবন্ধন সনদ জালের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অডিটে ধরা পড়ায় তাদের কর্তৃপক্ষ চাকরিচ্যুত করেছে। সারা বাংলাদেশে ঠিক ওই রকম হাজার হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেসব শিক্ষক ভুয়া নিবন্ধন সনদ নিয়ে এমপিওভুক্ত হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সারা বাংলাদেশে ঠিক ওই রকম ভুয়া নিবন্ধনধারী হাজার হাজার শিক্ষক এমপিও ভুক্ত হয়েছেন। তাই আগামী কতদিনে কত জন ভুয়া নিবন্ধনধারী এমপিও ভুক্ত শিক্ষকের শিক্ষা বিভাগে চাকরিচ্যুত করেন। তা দেখার অপেক্ষায় রাইলাম। আনন্দ সীমা দত্ত ইটনা ডিগ্রী কলেজ, কিশোরগঞ্জ। স্কুল কম্পিউটার অপারেটরের যুক্তি শিক্ষার আলো সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে প্রধান ভূমিকা রেখে চলেছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী। আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাণ হলো একজন অফিস সহকারী কম্পিউটার অপারেটর। একজন অফিস সহকারীর বিদ্যালয়ের সবার আগে আসতে হয় এবং যেতে হয় সবার পরে এবং কোন কোন দিন তার ও পরে। তাকে অফিসের কাজের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের অন্য সবদিক দেখতে হয়। যেহেতু অধিকাংশ অফিস সহকারী ডিগ্রী পাসের নিচে নয় তাই অফিসের পাশাপাশি তাকে শিক্ষক স্বল্পতার কারণে ক্লাসও নিতে হয়। ছুটি তাদের নেই বললেই চলে। রমজানের ছুটি, শীত ও গ্রীষ্মকালীন এবং অন্যান্য ছুটির দিনের সময়ও অফিস খোলা রাখতে হয়। তাই পরিশ্রম অনেক বেশি। অথচ বেতন স্কেল একজন অষ্টম শ্রেণীর কর্মচারীর সমতুল্য প্রায়। একজন শিক্ষক যদি তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী থেকে ৪-৫ হাজার টাকা বেশি পায় তবে কেন একজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী থেকে ৪-৫ হাজার টাকা বেশি পাবে না। সবচেয়ে দুঃখ ও বেদনাদায়ক হলো আট বছর পর কর্মচারীদের টাইমস্কেল দেয়া হয় ২০০ টাকা। পৃথিবীর কোন সভ্য সমাজে এই ব্যবস্থা চালু আছে কিনা আমার জানা নেই। আসলে সমাজের ওপর শ্রেণীর কর্তাব্যক্তিরা ভুলে যান নিচের শ্রেণীর কর্মচারীদের কথা। তাই শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনস্কেল বণ্টনকারী সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, একজন অফিস সহকারীর পরিশ্রমের প্রতি নজর রেখে বেতনস্কেল এবং যে সকল তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী শিক্ষকতার যোগ্যতা অর্জন করছে এবং করবে তাদের যেন নিজ প্রতিষ্ঠানে শূন্যতার পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ নিতে পারেন তার কোটাব্যবস্থা চালু করা জরুরী দরকার। মো. শাহজাহান তালুকদার নন্দনপুর রাবীরানী পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় দূর্নীতিকে ‘না’ বলূন কেউ দুর্নীতি করবেন না। দুর্নীতি শুধু অন্যকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, আসলে যে দুর্নীতি করে সে নিজেও দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই কেউ অন্যের ক্ষতি করবেন না। আসলে যে অন্যের ক্ষতি করে সে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে যারা সেলসম্যানের চাকরি করেন দেশে কিংবা বিদেশে, ঢাকায় কিংবা নিউইয়র্কে, বাংলাদেশে কিংবা আমেরিকায়, তাঁরা লোভে পরে কেউ কখনও কোন টাকা বা ডলার অথবা কোন প্রকার পণ্যসামগ্রী চুরি করবেন না। আর সবসময় খেয়াল রাখবেন, কোন ক্রেতাও যেন কোন প্রকার দুর্নীতি করার সুযোগ না পায়। ভবিষ্যতে যেন হিসেবে আর কোন প্রকার গরমিল না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। আসুন প্রত্যেকে আমরা মনে মনে প্রতিজ্ঞা করি কেউ কখনও কোন প্রকার দুর্নীতি করব না, সবসময় সুনীতিতে অটল থাকব। দেশ ও পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের সব মানুষের কল্যাণে। মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম নবাবগঞ্জ, ঢাকা প্রসঙ্গ : মুক্তিযুদ্ধের ছবি মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের ঘটনা নিয়ে ‘বাঘা বাঙালী’ ছবিটি নির্মিত হয় স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে। এই ছবিতে স্বাধীনতা সংগ্রামের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছিল। ‘বাঘা বাঙালী’ ছবির পরিচালক নায়ক ছিলেন আনন্দ। ‘বাঘা বাঙালী’ দেখার সেই স্মৃতি আজও যে ভুলিনি- সেই ১৯৭২ সালে তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ‘বাঘা বাঙালী’ ছবিতে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ; স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন ছাড়াও এই ছবিতে প্রচার করা হয়েছিল- ‘জয় বাংলা’; ‘জয় বঙ্গবন্ধু’; ‘তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব-শেখ মুজিব’; ‘বীর বাঙালী অস্ত্র ধরো বাংলা মাকে মুক্ত করো’ প্রভৃতি স্লোগান। মুক্তিযুদ্ধের গান-‘জয় বাংলা বাংলার জয়’; ‘তীর হারা ওই ঢেউয়ের সাগর’; ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে’; ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলবো না’ প্রভৃতি ছিল এই ছবির প্রধান গান-যা ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে আমরা নিয়মিত শুনতাম। ‘বাঘা বাঙালী’ ছবিতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী, রাজাকার, আলবদর আর আলশামস মিলে স্বাধীনতাকামী বাঙালী ও নিরীহ মানুষের ওপর কী নির্মম নির্যাতন করেছিল; কুমারী মেয়ে, গৃহ বধূÑ এদের ধরে এনে জোরপূর্বক পালাক্রমে চালিয়েছিল বর্বরভাবে ধর্ষণÑ এসব ঘটনাও উহ্য থাকেনি। তাই বলা যায়, মুক্তিযুদ্ধের একটি পূর্ণাঙ্গ ছবি ছিল ‘বাঘা বাঙালী’। অথচ এ যুগের বিনোদন রিপোর্টাররা এই ছবিটি উহ্য রেখে মুক্তিযুদ্ধের ১০টি ছবি নিয়ে লেখেন। অথচ ওই ১০টি ছবির মধ্যে কোন কোনটি আবার বঙ্গবন্ধুকে পাশ কাটিয়ে; জয় বাংলা স্লোগান; জয় বাংলা বাংলার জয় গানকে উহ্য রেখে নির্মিত হয়েছিল। স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আর তাঁকে বাদ দিয়ে তথাকথিত যেসব মুক্তিযুদ্ধ নামে ছবি হয়েছে তা আদৌ মুক্তিযুদ্ধের ছবি হতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধ মানেÑ ১. জয় বাংলা (স্লোগান), ২. ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, ৩. স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন, ৪. জয় বাংলা বাংলার জয় (গান)। রূপালি পর্দায় এসব উহ্য মানেই ইতিহাস বিকৃত করা এবং তা মুক্তিযুদ্ধের ছবি হতে পারে না। লিয়াকত হোসেন খোকন রূপনগর, ঢাকা জাতীয় নির্বাচন দিবস বাংলাদেশে একটি নির্দিষ্ট দিনে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার প্রস্তাব করি। সেটি মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই হওয়া বাঞ্ছনীয়। এজন্য সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। সংবিধান মানুষের তৈরি এবং মানুষের স্বার্থেই তা পরিবর্তন করতে হবে। সংসদ সদস্যদের মেয়াদকাল পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে চার বছরও করা যেতে পারে। মেয়াদ শেষ হলে চার অথবা পাঁচ বছর পর পর মার্চ মাসের একটি নির্দিষ্ট দিনে নির্বাচন হবে। এতে কোনক্রমেই পরিবর্তন করা যাবে না। কোনক্রমেই মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে না। বার বার নির্বাচন দেশ ও জাতির জন্য অকল্যাণকর। রাজনীতিবিদদের নিঃস্বার্থ মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। কোনক্রমেই দুর্নীতি করা চলবে না। তাদের শিল্পপতি কোটিপতি হওয়ার আশা ত্যাগ করতে হবে। দুর্নীতিই হলো দেশের উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। কোন ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিনষ্ট করা চলবে না। ‘ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার’Ñ এই নীতিতে বিশ্বাসী হতে হবে। তাহলে দেশে শান্তি ফিরে আসবে। সকল রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানই প্রতিবছর হাজার কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে। এর একমাত্র কারণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সীমাহীন দুর্নীতি। সংসদ সদস্য, মন্ত্রীদের অর্থ ও সম্পদের হিসাব প্রতিবছর জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ করতে হবে। কোনক্রমেই ছাড় দেয়া চলবে না। এক্ষেত্রে তাদের নিকট আত্মীয়দের হিসাব দাখিল করতে হবে। শর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে সেই শর্ষ দিয়ে ভূত তাড়ানো যায় না। সেই কথাটিই মনে পড়ে, ‘সাধু হও সাধু সেজোনা।’ আশা করি দেশের বিবেকমানরা এ বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি দেবেন। আবদুল জলিল মোড়ল কেশবপুর, যশোর বিশ্বায়ন, পুঁজিবাদ এবং উন্নয়নশীল বিশ্ব ‘বিশ্বায়ন’ বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি বিষয়। বিশ্বের ধনী এবং দরিদ্র রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক এবং সাহায্য সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবেÑ এ প্রত্যয় এবং আশা নিয়ে বিশ্বায়নের প্রসার ঘটলেও বাস্তবে তা ফলপ্রসূ হয় নি। এর মূল কারণ পুঁজিবাদ। অবাধ নীতির কারণে পূঁজিবাদের প্রসার যেভাবে ঘটেছে তাতে বিশ্বের সকল রাষ্ট্র সমান সুবিধা ভোগ করতে পারছে না। বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থার সিংহভাগ সুফল ভোগ করছে পুঁজিবাদী উন্নত রাষ্ট্রগুলো। বিশ্বায়ন ধারণার সুযোগ নিয়ে পুঁজিবাদ বিজয়ী বেশে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এ সুবিধা থেকে দরিদ্র রাষ্ট্রগুলো বঞ্চিতই বলা যায়। উন্নয়নশীল দেশগুলোও এর সুফল পাচ্ছে না। বলতে গেলে পুঁজিবাদী ধনী রাষ্ট্রগুলো এর সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। এক দিকে মনে হচ্ছে পুঁজিবাদী ধনী রাষ্ট্রগুলো দরিদ্র এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য করছে। আসলে শিল্পোন্নত পুঁজিবাদী দেশগুলো সাহায্য-সহযোগিতার নামে দরিদ্র দেশগুলোর সহজপ্রাপ্য সস্তা শ্রমকে শোষণ করছে। প্রকৃতপক্ষে বিশ্বায়ন বিশ্বের লোকগুলোকে একই জাহাজে কিন্তু বিভিন্ন শ্রেণীর কেবিনে পৃথক করে রেখেছে। খুব অল্প সংখ্যক লোক আধুনিক বিলাহবহুল কক্ষে ভ্রমণ করছে। তাদের জন্য রয়েছে পুষ্টিকর খাদ্য এবং বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা। নিশ্চয়তা রয়েছে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং বিলাস বহুল জীবনের নিশ্চয়তা। কিন্তু বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রের বিপুল সংখ্যক জনগণ তৃতীয় শ্রেণীর কামরায় ভ্রমণ করছে এবং ক্ষুধা ও রোগে ভুগছে। দরিদ্র এবং উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলো কঠিন শর্তে ঋণ গ্রহণ করে ক্রমশ দরিদ্র হয়ে পড়ছে। তারা বিশ্বায়নের বাইরের আবরণের চাকচিক্য দেখছে কিন্তু ভেতরের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ধনী রাষ্ট্রগুলো গরিব রাষ্ট্রগুলোকে সাময়িকভাবে কিছু সুবিধা ভোগের ব্যবস্থা করে দিলেও স্থায়ীভাবে দারিদ্র্য দূরিকরণে কোন ভূমিকা রাখছে না। বিশ্ব বাণিজ্যের সুবিধা সকল রাষ্ট্র সমানভাবে ভোগ করতে পারলে বিশ্বের সুবিধা সবাই সমানভাবে ভোগ করতে পারবে। অর্থাৎ বিশ্বায়ন সবার জন্য সুখ আনতে পারবে তখনই যখন একই জাহাজের সকল যাত্রী একটি শ্রেণীর কেবিনে ঐক্য, সাম্য ও ন্যায়ের শর্তে ভ্রমণ করতে পারবে। কিন্তু পুঁজিবাদী ধনী রাষ্ট্রগুলো তা কি কখনো হতে দিবে? না দিবে না। দিবে না এজন্য যে, তাহলে তাদের প্রাধান্য বিশ্বে কমে যাবে। অথচ বিশ্বে সকল মানুষের নিরাপত্তা, সুখ ও শান্তিই বিশ্বায়নের মূল শ্লোগান হওয়া উচিৎ। এমএ হামিদ খান সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজী বিভাগ ধনবাড়ী কলেজ, টাঙ্গাইল। ঊ-সধরষ: ঝুলে আছে নিয়োগ সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের রেজি. বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১০ পদে গৃহীত লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জেলাভিত্তিক তালিকায় উত্তীর্ণ করে রাখা হয় এবং কিছুসংখ্যক নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু যারা তালিকায় আছে তাদের কাউকে বিগত বছরগুলোতে নিয়োগ দেয়া হয় নাই। তাদের অনেকেরই এই সময়ে বয়সসীমা পার হয়ে গেছে। এখন শুধু এই আশাটুকু নিয়ে সরকারি সিন্ধানেরর অপেক্ষায় চেয়ে আছে। কতৃপক্ষের কাছে আবেদন যে, এই অপেক্ষমাণ তালিকায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ দিয়ে এ পরিবারগুলোকে রক্ষার পদক্ষেপ নেয়া হয়। আফরোজ বেগম মোহনগঞ্জ নেত্রকোনা বাংলাদেশে কৃষির গুরুত্ব বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষি বলতে মানুষের জীবনের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর জন্য উদ্ভিদ ও প্রাণিজসম্পদ উৎপাদন করাকেই বোঝায়। তাই কৃষি হচ্ছে এক ধরনের কাজ যা শস্য উৎপাদন, পশু-পাখি পালন, মৎস্যচাষ, বনায়ন প্রভৃতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন মূলত কৃষির উপর নির্ভরশীল। কৃষির উন্নয়ন মানে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন। জীবিকা নির্বাহের জন্য দেশের প্রায় ৭৫ ভাগ লোক এই কৃষির পেশায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। মোট জাতীয় উৎপাদনের শতকরা প্রায় ২৫ শতাংশ আসে এই কৃষি খাত থেকে। কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদিত বিভিন্ন খাদ্যশস্য, ফলমূল, শাক-সবজিসহ মাছ, ডিম, দুধ প্রভৃতি ধরনের খাদ্য জনগণের খাদ্যসহ যাবতীয় চাহিদা পূরণ করা করে। শিক্ষা ছাড়া মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোও এই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। দেশের বেশিরভাগ শিল্পে উৎপাদিত দ্রব্যর কাঁচামাল সিংহভাগই আসে কৃষি থেকে। বিশেষ করে বস্ত্রশিল্প, পাটশিল্প ও কুটির শিল্পের কাঁচামাল। অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিভিন্ন প্রকার কৃষিজাত দ্রব্য রফতানি করে আয় করে এই দেশ। সরকারের আয়ের বিরাট অংশও কৃষি খাত থেকে আসে। তাই এদেশের কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। আর এই কৃষির মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি দেশের কৃষকরাই সম্পন্ন করে থাকে। ধান, ডাল, গম, তেলবীজ, যব, যব, আলু, মশলা, ভুট্টা, তামাক, শাক-সবজি, ফলমূল, চা, আখ, পাট, তুলা, রেশম, রবারসহ সব ধরনের কৃষিজাত দ্রব্য কৃষকরা উৎপাদন করে। তারা যুগের পর যুগ আত্মপোষণ ও বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য এ পেশায় নিয়োজিত রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই এ দেশের অধিবাসীরা পশুপালন করে আসছে। কৃষিকাজ পরিচালনা, পরিবহন, মাংস ও দুধ সরবরাহ, পশমি বস্ত্র তৈরির উদ্দেশ্যে আমাদের গ্রামাঞ্চলের লোকেরা গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া প্রভৃতি গবাদি পশুপালন করে থাকে। তবে বেশি শস্য উৎপাদনের জন্য জমি, শস্যাদির স্থানান্তর, দুধ ও মাংসের চাহিদা বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে গবাদি পশুর চাহিদা বর্তমানে যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য পশুপালন একটি লাভজনক পেশা হিসেবে গণ্য হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে দেশের অনেক বেকার লোক পশুপালনসহ হাঁস-মুরগি ও কোয়েল পালনও স্বকর্মসংস্থানের অন্যতম উপায় হিসেবে বেছে নিচ্ছে। সম-সাময়িক সময়ে প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চলে মাছ চাষ স্বকর্মসংস্থানের একটি অন্যতম উপায় হিসেবে গণ্য হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক এ পেশায় জড়িত হচ্ছে। তারা পুকুর, দীঘিতে মাছ চাষ করছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে মাছ চাষের কলাকৌশল অনেক উন্নত হয়েছে। দ্রুত বর্ধনশীল নতুন নতুন প্রজাতির মাছ এদেশে আনা হচ্ছে। প্রকৃতির উপর নির্ভর না করে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে পোনা উৎপাদন করা হচ্ছে। পোনা উৎপাদন বা হ্যাচারীর মাধ্যমেও অনেক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছে। এছাড়া বর্তমানে বনায়ন, নার্সারি, ফুলের বাগান করে আমাদের দেশের বহু মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছে। তাই এদেশের কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। মো. আউয়াল মিয়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ বাইপাস রেলপথ নির্মাণ রেলপথের মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার যোগাযোগ ব্রিটিশ আমলের। কিন্তু দুঃখের বিষয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা বা রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা ট্রেনটি কিছু দূরে এসে পুরোনো আমলের রেলপথের সিস্টেম থাকায় আমনুরা স্টেশনে ইঞ্জিন পাল্টাতে হয়। ফলে ট্রেনের বিলম্ব হয় এক থেকে দেড় ঘন্টা। ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রেলপথে রাজশাহীতে যাতায়াতের সময় লেগে যায় তিন ঘণ্টা। আমনুরা স্টেশনে বাইপাস রেলপথের মাধ্যমে সিকি মাইল রেলপথ লুপ লাইন করে দিলে আর ইঞ্জিন পাল্টানোর প্রয়োজন হবে না এবং সরাসরি ট্রেন চলাচল করতে পারবে। লুপ লাইন তৈরি হয়ে গেলে এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী রেলপথে যাতায়াত করা সম্ভব হবে আর ঢাকায় ট্রেনে যেতে সময় লাগবে মাত্র সাড়ে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা। এই অসুবিধার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বাংলাদেশের কোন স্থানে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষিনির্ভর অঞ্চল, আমসহ নানা প্রকার কৃষিপণ্য উৎপাদিত হয়ে থাকে এই এলাকায়। ট্রেন চলাচলের এই বিঘœতার কারণে কৃষির উৎপাদিত পণ্য সড়ক পথে রাজধানীসহ দেশের অন্য এলাকায় সরবরাহ করা হয়। সড়ক পথে পণ্য পরিবহন ব্যয় বহুল। যা প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের জন্য সম্ভব হয়ে উঠে না। ফলে এই অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকেরা উৎপাদিত পণ্য পাইকারের কাছে বিক্রি করে আর এভাবেই কৃষকের উৎপাদিত ফসলে মধ্যস্বত্বভোগীরা ভাগ বসায়। এতে কৃষক তার পণ্যের নায্য দাম পায় না। ট্রেনে পণ্যসহ যাত্রী পরিবহন অনেক সুলভ এবং নিরাপদ। তাছাড়া সরাসরি ট্রেন চলাচল না থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিল্প গড়ে উঠছে না। তাই রেল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি আমনুরায় বাইপাস রেলপথ স্থাপন করে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করার। হাসান মিয়াপাড়া সাধারণ গ্রন্থাগার, রাজশাহী একটা সেতুর জন্য বরিশাল ও খুলনা দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় অনেকটা বাণিজ্যিকভাবে পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশের অন্যতম নদীবহুল অঞ্চল বরিশাল। এ অঞ্চলের মানুষের আয়ের প্রধান উৎস হলো কৃষিকাজ আর কৃষি রফতানি। জন্য বরিশাল থেকে খুলনা, মংলা, যশোর, বেনাপোলে, যাতায়াতের একমাত্র মহাসড়কা বরিশাল-খুলনা মহাসড়ক। এ সড়কের মাঝে অবস্থিত সুপ্রসিদ্ধ কচানদী। যা পারাপার করা হয় বেকুটিয়া ছোট ছোট দুটি ফেরির মাধ্যমে। এ পথে এতো বাস, ট্রাক, পিকাপভ্যান এবং প্রাইভেট গাড়ি চলাচল করে যে, নদীর দুইপাড়ে সবসময়ই যানজট লেগেই থাকে। মাত্র ২ কি.মি. পার হতে সময় লাগে ২ ঘণ্টার বেশি। তাই দক্ষিণবঙ্গের লাখ লাখ মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে বেকুটিয়ায় একটি সেতু নির্মাণ করার জন্য কতৃপক্ষের কাছে জনগণের আকুল আবেদন যেন বৃথা না যায়। মো. রুহুল আমিন (দুলাল) জয়কুল- ৮৫১২ কাউখালী- পিরোজপুর রবিবার কীভাবে রোববার হলো! আমরা ছোটবেলা থেকে জেনে আসছি ও পড়ে আসছি সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনটি হচ্ছে রবিবার। কিন্তু আজকাল বেশকিছু পত্র-পত্রিকা, প্রচার ও গণমাধ্যম, পাঠ্যপুস্তকে রবিবারের স্থলে লেখা ও বলা হচ্ছে রোববার। প্রশ্ন হচ্ছে কোনটি সঠিক রবিবার নাকি রোববার? নাকি দুটিই সঠিক! আমার জানা মতেÑ এটি সাধু ও চলিত ভাষা রীতির কোন বিষয় নয়। আমাদের পার্শ¦বর্তী দেশ ভারতে কিন্তু এখনও রবিবার বলা হয় বা লেখা হয়। তাহলে আমাদের দেশে কেন বানানে ভিন্নরীতি। এমন কোন মহত ব্যক্তি আছেন কী এ বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা দেবেন? এই বিষয়টির স্বচ্ছ ধারণা পেলে আমার মতো অনেকেই উপকৃত হবেন এবং সঠিক বিষয়টি জানতে পারবেন। বিশেষ করে ভবিষ্যত প্রজন্মের কোমলমতি শিশুরা সঠিক বিষয়টি জানতে ও বুঝতে পারবে। মো. মোশতাক মেহেদী কুষ্টিয়া বিলম্বে বতন ভাতা আর নয় দেশের সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারী তথা এমপিওভুক্ত। অথচ এই এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাু সবচেয়ে অবহেলিত ও বেতনবৈষম্যের শিকার। উন্নতদেশগুলোতে শিক্ষকদের বেতন-ভাতাদি সবচেয়ে বেশি কিন্তু আমাদের দেশে শিক্ষকদের বেতন সরকারী অফিসের একজন পিয়নের চেয়েও কম। যা দিয়ে বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে চলা খুবই কষ্টকর। শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতন প্রতি মাসের ৭ তারিখে পাওয়ার কথা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো কয়েক মাস ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন বিলম্ব করে দেয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, নভেম্বর/২০১৪ মাসের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির সরকারী অংশের টাকার চেক ছাড় দেয়া হয় ৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে এবং বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের নিজ নিজ ব্যাংক এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করতে পারবেন। কিন্তু অধিকাংশ সোনালী ব্যাংক শাখা কর্তৃপক্ষ সরকারী এ নির্দেশ অমান্য করে সরকারের বেঁধে দেয়া সময়মীমার ৪-৫ দিন পর শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করে। প্রতিমাসেই এমনটি হয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি খুবই কম। তারপরও যদি সময়মতো পাওয়া না যায় তাহলে তারা কীভাবে দুর্মূল্যের বাজারে জীবনযাপন করবেন? বিষয়টি নিয়ে সমাজের বিবেকবানরা একটু ভাবুন তো! সুতরাং সবিনয়ে আবেদন শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করাসহ সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য বন্ধ করা হোক। ভুক্তভোগী এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের পক্ষেÑ মো. মাসুদ হোসেন কুমারখালী, কুষ্টিয়া
×