ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যারিবীয় সংস্কৃতির পরিবর্তন চান মাইকেল হোল্ডিং

প্রকাশিত: ০৪:৫২, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪

ক্যারিবীয় সংস্কৃতির পরিবর্তন চান মাইকেল হোল্ডিং

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত অক্টোবরে বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি সংক্রান্ত জটিলতায় ভারতের বিপক্ষে সিরিজ শেষ না করেই দেশে ফিরে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। এরপর থেকেই ক্রিকেটবিশ্বে সমালোচিত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সম্পর্ক এখন তিক্ততায় পরিপূর্ণ। তবে এসব কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকেই দায়ী করছেন দেশটির কিংবদন্তি পেসার মাইকেল হোল্ডিং। শুধু তাই নয় তার মতে দেশের ক্রিকেটীয় প্রশাসন আরও শক্তিশালী হলে এমন ঘটনা কখনই সৃষ্টি হতো না। তাই সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার বললেন দেশের ক্রিকেটকে ভাল অবস্থানে ফেরানোর জন্য প্রথমে এমন নোংরা সংস্কৃতির পরিবর্তনের প্রয়োজন। এ বিষয়ে এক কলামে মাইকেল হোল্ডিং লেখেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড এমন আচরণ দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে। আর আমি মনে করি এমন সংস্কৃতি পরিবর্তনের জন্য এটাই সঠিক সময়। তবে এটাও খুব সুস্পষ্ট যে তা রাতারাতি পরিবর্তন করা যাবে না।’ ক্রিকেট বিশ্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য। কিন্তু বর্তমান সময়ে তা যেন বিলীন হওয়ার পথে। বোর্ড আর খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল দেখা যায় না। যে কারণে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা তারকা ক্রিস গেইলের মতো খেলোয়াড়ও দলে খেলার সুযোগ হারান। আর মাইকেল হোল্ডিং মনে করেন এসব কিছু সম্ভব হবে কেবল প্রশাসনিকভাবে শক্তিশালী হলে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সবকিছুই ঠিক হবে। যদি আমরা প্রশাসনিকভাবে সঠিক কার্যক্রম পাই। আমাদের দলে যথেষ্ট প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে। শুধুই প্রশাসনিকভাবে সঠিক দিক-নির্দেশনা প্রয়োজন আমাদের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য। আর এটা যদি সম্ভব হয় তাহলেই আমাদের ক্রিকেটাররা হারানো গৌরবকে ফিরিয়ে আনতে পারবে।’ মাঝপথে সিরিজ বাতিলের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভারত সফর নিষিদ্ধ করেছে বিসিসিআই। এ জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করে আইসিসির কাছে চিঠিও দিয়েছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড। ক্যারিবিয়ান বোর্ডের থেকে ক্ষতিপূরণ স্বরূপ ২৫৮ কোটি টাকা চেয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ডেভ ক্যামেরনকে ক্ষতিপূরণ চেয়ে চার পাতার চিঠি লিখে বিসিসিআই সচিব সঞ্জয় প্যাটেল। শুধু সিরিজ বাতিল হওয়ার জন্য আর্থিক ক্ষতি নয়, ক্ষতি হয়েছে বোর্ডের ভাবমূর্তিও। স্পনসরদের সামনে মাথা হেড হয়েছে বোর্ড কর্তাদের। সেইসঙ্গে ক্রিকেটেরও। এতে কষ্ট পেয়েছেন শচীন টেন্ডুলকরের মতো ক্রিকেটারও। এ বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘অবসর নেয়ার পর থেকে ক্রিকেটের খবর খুব বেশি রাখি না? তবে এটা ক্রিকেটের জন্য মোটেই ভাল বিজ্ঞাপন নয়।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানে তারা একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলছে। ইতোমধ্যেই তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে লজ্জাজনকভাবে হেরেছে তারা। এমন পরাজয়ে দারুণ হতাশ দেশের ভক্তÑঅনুরাগীসহ সাবেক ক্রিকেটাররাও। টেস্ট সিরিজের পর তিনটি টি২০ এবং পাঁচ ম্যাচের একদিনের সিরিজ খেলবে সফরকারীরা। আর আসন্ন বিশ্বকাপের আগে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজই হবে প্রস্তুতির শেষ পর্ব। আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ওডিআই সিরিজে খেরছেন না দেশটির নিয়মিত অধিনায়ক ডোয়াইন ব্রাভো। তার জায়গায় দলকে নেতৃত্ব দেবেন ফাস্ট বোলার জেসন হোল্ডার। আগামী বছর জানুয়ারির ১৬ তারিখ থেকে ওডিআই সিরিজ শুরু হবে। শুধু ব্র্র্যাভোই নন। ব্রাভো ছাড়াও ওডিআই সিরিজে দলে রাখা হয়নি সাবেক অধিনায়ক ড্যারেন সামি ও কাইরন পোলার্ড। এ নিয়েও ক্রিকেটে শুরু হয়েছে জোড় গুঞ্জন। অনেকেই মনে করেন বোর্ডের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণেই দলের গুরুত্বপূর্ণ এই তিন খেলোয়াড়কে রাখা হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একদিনের সিরিজে।
×