ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সার্ক আন্তঃদেশীয় গ্রিড লাইন স্থাপনে মতৈক্য

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪

সার্ক আন্তঃদেশীয় গ্রিড লাইন স্থাপনে মতৈক্য

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সার্ক দেশের মধ্যে আন্তঃদেশীয় গ্রিড লাইন স্থাপনের বিষয়ে একমত হয়েছেন এ অঞ্চলের জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তারা। দুদিনব্যাপী বৈঠকের পর সোমবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সার্ক সচিবালয়ের পরিচালক গাফরি এম ইব্রাহিম বলেন, সার্ক এনার্জি রেগুলেটর্সের বৈঠকে একটি কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে; যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। বৈঠকটি খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে সার্কের এই পরিচালক জানান, দুইদিনব্যাপী বৈঠকে কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই অঞ্চলের বিদ্যুত এবং জ্বালানি খাতের উন্নয়নে যা বিশেষ ভূমিকা রাখবে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান (বিইআরসি) এ আর খান বলেন, সার্ক দেশের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে যা কাজে লাগাতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে। তিনি মনে করেন দক্ষিন এশিয়ায় যেমন বিদ্যুত ও জ্বালানির ঘাটতি রয়েছে তেমনি রয়েছে সম্ভাবনা। আমরা এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চাই। এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে সব দেশই লাভবান হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট দেশের মধ্যে বিদ্যুত ও জ্বালানি বিনিময় জরুরী। এজন্য আন্তঃদেশীয় গ্রিড লাইন স্থাপন দরকার। এ ক্ষেত্রে বাধাসমূহ চিহ্নিত করে দূর করা হবে। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো গ্যাস বিনিময়ে লাভবান হতে পারে। এক্ষেত্রে গ্রিড লাইন স্থাপন করে এই সম্পদ বিনিময় করা যেতে পারে। বৈঠকে এ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন জানিয়ে এ আর খান বলেন, সার্কভুক্ত দেশের এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নেপালে অনুষ্ঠিত সার্কের রাষ্ট্রপ্রধান পর্যায়ের বৈঠকে বিদ্যুত বিষয়ে যে চুক্তি হয়ে তার সূত্র ধরেই এসব কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বৈঠকে আলোচনা করেছি যে বিদ্যুতকে পণ্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে সরকার কেবল বিদ্যুতের একমাত্র বিক্রেতা হবে না। এর বাইরে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানও সরাসরি বিদ্যুত বিক্রি করবে। এ পদ্ধতি চালু হলে বিদ্যুত উৎপাদন করে সরাসরি গ্রাহকের কাছে বিক্রির সুযোগ পাবে। নতুন এই পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে বাণিজ্যিক বিদ্যুত উৎপাদন। এখন অনেক বেসরকারী কোম্পানি বিদ্যুত উৎপাদন করছে। কিন্তু তাদের সরাসরি বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই। উৎপাদিত বিদ্যুত সরকার কিনে নিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রিত কোম্পানির মাধ্যমে বিতরণ করছে। বাণিজ্যিক বিদ্যুত বিক্রয় পদ্ধতি চালু হলে বিদ্যুত উৎপাদন করে সরাসরি গ্রাহকের কাছে বিক্রির সুযোগ পাবে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। যদিও সরকার বাণিজ্যিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের প্রচেষ্টা চালিয়ে নানামুখী কারণে ব্যর্থ হয়েছে। আলোচনার প্রথমদিকে পাকিস্তান আন্তঃদেশীয় গ্রিড লাইন স্থাপনের বিষয়ে রাজি ছিল না। পরে তাদের বোঝানো হয় যে, ইরান থেকে ভারত পর্যন্ত পাইপ লাইন স্থাপন করা গেলে তা থেকে তারাও লাভবান হতে পারে। এরপর পাকিস্তান এ ব্যাপারে একমত হয়েছে।
×