ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অভিজ্ঞতাকেই বড় করে দেখছেন ধোনি

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ২২ ডিসেম্বর ২০১৪

অভিজ্ঞতাকেই বড় করে দেখছেন ধোনি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগের সফরে (২০১১-১২) চার টেস্টের সিরিজে ‘হোয়াইটওয়াশ’র লজ্জায় ডুবেছিল ভারত। এবার প্রথম দুই ম্যাচে হেরে হয়ত সেদিকেই এগোচ্ছে ক্রিকেট-মোড়লরা! সিরিজে টিকে থাকতে ২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্নে ‘বক্সিং ডে’ টেস্টে জিততেই হবে সফরকারীদের। এমন কোণঠাসা অবস্থাতেও সতীর্থদের পাশে দাঁড়ালেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারত অধিনায়ক বললেন, সিরিজটি এক ঝাঁক তরুণ খেলোয়াড়ের জন্য এটা অভিজ্ঞতা অর্জনের মঞ্চ, যা ভবিষ্যতে সাফল্য পেতে সাহায্য করবে। শচীন টেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষণের মতো নির্ভরযোগ্য পারফর্মার অবসরে যাওয়ায় বর্তমান দলটি নবীন। অনেকেরই অস্ট্রেলিয়ার মতো বাউন্সি উইকেটে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। এই সঙ্গে তৃতীয় টেস্টেই ঘুরে দাঁড়াতে চান তিনি। ‘আমাদের এই দলের অনেকেরই অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তারপরও এ্যাডিলেড ও ব্রিসবেনের প্রথম দুই ইনিংসে যেভাবে ব্যাটিং করেছে, তা প্রশংসাযোগ্য। এখানে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও মন্দ ছিল না। কিন্তু চতুর্থদিনে স্রেফ ২০ মিনিটের জন্য খেই হারিয়ে ফেলি। এটা অনভিজ্ঞতার জন্য হয়েছে। বেশিরভাগ তরুণ। যত দিন যাবে এরা পরিণত হবে। তবে আগের সফরগুলোর কথা চিন্তা করলে ছেলেরা ভাল করছে, ওদের আগ্রাসী ভাবটা আমাদের জন্য ইতিবাচক।’ বলেন ভারতকে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ট্রফি উপহার দেয়া সেনাপতি ধোনি। ক্যাপ্টেন কুলের প্র্রতিটি বাক্য যথার্থ। শচীন, সৌরভ গাঙ্গুলী, দ্রাবিড়, অনিল কুম্বলের মতো সুপাস্টাদের নিয়েও অস্ট্রেলিয়া সফরে বার বার হোঁচট খেয়েছে তারা। দ্রুতগতির বাউন্সি উইকেটে স্বাগতিক পেসারদের কাছে মাথা নুইয়েছেন লিজেন্ড শচীন-দ্রাবিড়রা! সেখানে বর্তমান দলটির তরুণরা বুক চিতিয়ে লড়াই করছে। ধোনির অনুপস্থিতিতে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব দেন ক্রেজি কোহলি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অধিনায়কত্বের অভিষেকেই ব্যাটিংয়ে-নেতৃত্বে ক্রিকেটবিশ্বকে চমকে দেন। প্রথম ইনিংসে ১১৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন ১৪১ রানের ম্যারাথন ইনিংস। নাটকীয়তাপূর্ণ ম্যাচে মাত্র ৪৮ রানে হারে ভারত। ব্রিসবেনেও শুরুটা মন্দ ছিল না। গাব্বার ভয়ঙ্কর বাউন্সি পিচে স্বাগতিকদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়েছে ধোনি দল। ওপেনার মুরলি বিজয়ের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪০৮ রানের চ্যালেঞ্জও গড়ে সফরকারীরা। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৪Ñএ অলআউট হলে সব শেষ হয়ে যায়। আরও স্পষ্ট করে বললে, চতুর্থ দিন সকালে ১ উইকেটে ৭৬ থেকে দলের ভা-ারে ১০ রান যোগ করতেই ৪ উইকেট হারায় ভারত! ২০ মিনিটে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয় মোড়লদের লাইনআপ। এ প্রসঙ্গে অধিনায়ক ধোনির ব্যাখ্যা, ‘গাব্বার এই রকমের পরিস্থিতির মুখে পড়ার অভিজ্ঞতা ওদের নেই। প্র্যাকটিসে শিখর ধাওয়ান ইনজুরিতে পরায় আমরা বাধ্য হয়েই কোহলিকে নামিয়েছি। প্রয়োজন ছিল কেবল দাঁত-মুখ চেপে ২৫-৩০টি রান যোগ করা। এই পরীক্ষাতেই ফেল করতে হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে জোহানেসবার্গ, ওয়েলিংটন, লর্ডস বা গাব্বায় অনেক ম্যাচ খেলা ব্যাটসম্যান আপনি কখনই পাবেন না। ভাল লাগছে তবু ছেলেরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছে। আমরা আক্রমণাত্মক খেলা চালিয়ে যাব।’ টানা দুই ম্যাচে হারের পর অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের অতীত ব্যর্থতার ইঙ্গিত দেখছেন অনেকে। তবে ইতিবাচক ধোনি তাদের সঙ্গে একমত নন।
×