ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাঠ নিয়ে বাফুফে-এনএসসি বৈঠক সোমবার

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২১ ডিসেম্বর ২০১৪

মাঠ নিয়ে বাফুফে-এনএসসি বৈঠক সোমবার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সময়ের কাজ সময়ে না করলে কোন কাজই সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব নয়। বাফুফের হয়েছে এখন সেই দশা। যদিও অতীত অভিজ্ঞতায় তারা দাবি করতেই পারে স্বল্পসময়ে সব কিছু ‘ম্যানেজ’ করে ফেলার বিষয়টি। এখানে সবকিছু ম্যানেজ করা বলতে আসলে বোঝানো হয়েছে কোন টুর্নামেন্টের আগে অল্প সময়ের মধ্যে মাঠ প্রস্তুত করাটা। আগামী মাসেই অনুষ্ঠিত হবে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট।’ আন্তর্জাতিক মানের এই ফুটবল আসর অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা ও সিলেটে। সিলেট জেলা স্টেডিয়াম নিয়ে কোন সমস্যা না হলেও সমস্যা আছে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম নিয়ে। গত ১৮ ডিসেম্বর এ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ বনাম জাপান অনুর্ধ-২১ জাতীয় ফুটবল দলের ফিফা প্রীতি ম্যাচ। খেলা চলাকালে প্রেসবক্সে কর্মরত জাপানী ক্রীড়া সাংবাদিকরা জানিয়েছিলেন, এ মাঠ খেলার মতো সেভাবে উপযোগী নয়। শক্ত মাটি ও মাঠ অসমতল, ফলে প্লেয়ারদের বল নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়। ওই ম্যাচটি হওয়ার পর মাঠের কোন যতœ নেয়া হয়নি। জানুয়ারিতে আসন্ন বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের কিছু খেলা হবে এই স্টেডিয়ামের মাঠে। মাঠ প্রস্তুত করা নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সঙ্গে আগামী সোমবার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেবে বাফুফে। কাজী মোঃ সালাউদ্দিন বাফুফে সভাপতি হয়ে সারাবছর মাঠে ফুটবল রাখার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়ন করেছেন ঠিকই। কিন্তু মাঠ সমস্যার সমাধান করতে পারেননি। এক বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ওপর দিয়েই বয়ে যায় যত ঝড়। এখানে প্রিমিয়ার লীগ, ফেডারেশন কাপ, সুপার কাপ, স্বাধীনতা কাপ, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবলের ফাইনাল, অনুর্ধ-১৮ টুর্নামেন্ট হয়ে থাকে। তাছাড়া খেলা ছাড়াও এখানে হয়ে থাকে কনসার্টও। ফলে মাঠের বারোটা বেজে যায়। মাঠটির যে বেহাল দশা, এর জন্য অনায়াসেই দায়ী করা যায় এনএসসিকে। কারণ মাঠটি তাদের। নিয়ম অনুযায়ী তাদেরই মাঠ সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত। কিন্তু সেটি তারা করে না। আর বাফুফেও মাঠটিকে ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারছে না। একটা ম্যাচ শেষ হলে আরেকটা ম্যাচ শুরুর মাঝে মাঠকে যে বিশ্রাম দিতে হয় বা মাঠ খেলার উপযোগী করতে হলে যে সময় দরকার, সেটা না দিয়েই এখানে টানা খেলা চলে এ মাঠে। বর্ষাকালে বৃষ্টির মধ্যে মাঠে খেলায় মাঠের অবস্থা হয়ে পড়ে শোচনীয়। মাঠের ঘাসগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় চরমভাবে। নতুন ঘাস উঠতে, মাঠ খেলার উপযোগী করতে কমপক্ষে ২১ থেকে ২৮ দিন প্রয়োজন। অথচ এর আগেই এ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় একের পর এক ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্টের সূচী জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ॥ বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশ নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। চূড়ান্ত হয়ে গেছে দুটি ভেন্যুও। তবে স্বাগতিক বাংলাদেশের গ্রুপপর্বের খেলাগুলো সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হলেও, সর্বশেষ খবর অনুযায়ী সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে বাফুফের সরে আসার আভাস পাওয়া গেছে। তবে ঠিক হয়ে গেছে টুর্নামেন্টের ফরমেট। সে অনুযায়ী বাংলাদেশের দু-একটি ম্যাচ সিলেটের পাশাপাশি ঢাকায়ও অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৬ দল দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলবে। সূচী এখনও ঠিক হয়নি। তবে সূচী-ফরমেট মোতাবেক যে কোন একটি গ্রুপের সব ম্যাচই ঢাকায় অথবা সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে না। সূচী ঠিক হবে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার পর। টুর্নামেন্টের মোট ম্যাচ হবে ৯টি। ৫টি ঢাকায় এবং ৪টি হবে সিলেটে। ১৬, ১৭ এবং ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় ১৯, ২০, ২১ জানুয়ারির ম্যাচ সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে। ২২ তারিখ কোন খেলা নেই। এরপর ২৩ জানুয়ারি প্রথম সেমিফাইনাল সিলেট, ২৪ জানুয়ারি দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৭ জানুয়ারি ঢাকায়। এখন দেখার বিষয়, অ-১৮ টুর্নামেন্টের বাকি খেলাগুলোও বঙ্গবন্ধুতে হয় কি না এবং এএফসি অ-১৬ মহিলা টুর্নামেন্টের খেলা শুরুর আগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ কতটা প্রস্তুত করতে পারে বাফুফের গ্রাউন্ডস কমিটি।
×