ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কেশবপুরে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ২১ ডিসেম্বর ২০১৪

কেশবপুরে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, ২০ ডিসেম্বর ॥ শুক্রবার রাতে কেশবপুরে স্ত্রী আকলিমাকে (৪০) কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামী ওহাব আলী গাজী (৬০) গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। হত্যার কোন কারণ জানা যায়নি। উপজেলার কাস্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে কাস্তা গ্রামের আব্দুল ওহাব তার স্ত্রী আকলিমার সঙ্গে ঝগড়ার সময় স্ত্রীর মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। রাতেই ছেলে আব্দুল কুদ্দুস তার মাকে প্রথমে কেশবপুর ও পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে নিলে কিছুক্ষণ পর আকলিমা মারা যায়। এ খবর শুনে ঘাতক স্বামী ওহাব ওই রাতেই বাড়ির পাশে কাস্তা মাঠে খেজুর গাছের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। সকালে গ্রামবাসী গাছে লাশ ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। এলাকবাসী জানান, আব্দুল ওহাব তিনটি বিয়ে করেছে। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথেও ছাড়াছাড়ি করে। পরে আকলিমার সাথে সংসার করছিল। থানার ওসি আব্দুল জলিল জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আজ নাটোর মুক্ত দিবস সংবাদদাতা, নাটোর, ২০ ডিসেম্বর ॥ রবিবার নাটোর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকা হানাদার মুক্ত হলেও নাটোর মুক্ত হয় ২১ ডিসেম্বর। মুক্তিযুদ্ধের সময় নাটোর ছিল পাকসেনাদের ২নং সামরিক হেডকোয়ার্টার। তৎকালীন সিও অফিসে পাকসেনাদের হেডকোয়ার্টার স্থাপন করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর থেকেই নাটোর উপজেলা চত্বর, পিটিআই স্কুল, আনসার হল, রিক্রিয়েশন ক্লাব, এনএস কলেজ, নাটোর রাজবাড়ি, দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি চত্বরের ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নেয়া পাকসেনারা মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করলেও নাটোরের রাজবাড়ি চত্বরে চূড়ান্ত আত্মসমর্পণের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় ২১ ডিসেম্বর। ফলে এদিনই নাটোর মুক্ত দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। পাকসেনা বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার নওয়াব আহমেদ আশরাফ মিত্রবাহিনীর ১৬৫ মাউনটেন ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার রঘুবীর সিং পান্নুর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র সমর্পণ করেন। এদিন পাকিস্তানী বাহিনীর ১৫১ অফিসার, ১৯৮ জন জেসিও, ৫৫০০ সেনা, ১৮৫৬ জন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য এবং ৯টি ট্যাঙ্ক, ২৫টি কামান ও ১০ হাজার ৭৭৩টি ছোট অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করে।
×