ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যশোর পতিতালয়ে বিক্রির দু’মাস পর তরুণী উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ২১ ডিসেম্বর ২০১৪

যশোর পতিতালয়ে বিক্রির দু’মাস পর তরুণী উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে নিয়ে আসা এক তরুণীকে (২০) যশোর মাড়োয়ারি মন্দির পতিতালয়ে বিক্রির পর তিনি পালিয়ে এসেছেন। পরে তাকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়। পতিতালয়ে দু’মাস অবস্থানকালে পরিচয়ের সূত্র ধরে অপর এক যুবক তাকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিল বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। পালিয়ে আসা তরুণী জানিয়েছেন, পতিতালয়ে আরও এক নারীকে আটকে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি করানো হচ্ছে। তরুণীটি জানান, তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলায়। তার পিতা নেই। মা ও এক ভাই রয়েছেন। মা গার্মেন্টসে চাকরি করেন। প্রায় দু’মাস আগে তিনি ঢাকার মিরপুরের এক মাজারে আসলে সোনিয়া নামে এক নারীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই নারী গার্মেন্টসকর্মী পরিচয় দিয়ে তাকে চাকরি পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে যশোরে নিয়ে আসে। এখানে মোমিন নামে এক যুবকের কাছে হস্তান্তর করার পর সে তরুণীকে মাড়োয়ারি মন্দির পতিতালয়ে বিক্রি করে চলে যায়। এখানে এক নম্বর গলির সর্দারনী মিলির অধীনে তাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়। তিনি আরও জানান, এই দু’মাস তাকে শারীরিকভাবেও নির্যাতন করা হয়েছে এবং তাকে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেয়া হয়নি। পুলিশ মাঝেমধ্যে অভিযান চালালে সর্দারনী সোনিয়া তাকেসহ জোর করে আটকে রাখা অন্য নারীদের গোপন করে রাখত। এরই মধ্যে আলী হোসেন নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই নারী। আলী হোসেন তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে ওই তরুণী বৃহস্পতিবার সকালে পতিতালয় থেকে পালিয়ে আসেন। কিন্তু আলী হোসেন তাকে বাড়ি পৌঁছে না দিয়ে বেজপাড়ায় এক নারীর বাড়িতে রেখে যায়। ওই নারী শুক্রবার ভোরে তাকে যশোর কোতোয়ালি থানায় পৌঁছে দিয়ে জানান, আলী হোসেন তাকে ভারতে পাচারের পরিকল্পনা করছিল। প্রতারণার শিকার তরুণী জানিয়েছেন, পতিতালয়ের ১ নম্বর গলিতে মিলি নামে আরও এক নারীকে আটকে রেখেছে ঘর মালিক সোনিয়া। তাকে উদ্ধারের জন্য তিনি পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন। কোতোয়ালি থানার ওসি ইনামুল হক জানান, এটি একটি পাচারের ঘটনা। এ বিষয়ে মেয়েটিকে বাদী করে একটি মামলা করা হবে। একই সঙ্গে তাকে সকল প্রকার সহযোগিতা দেয়া হবে।
×