স্টাফ রিপোর্টার ॥ শীতের হিমেল সন্ধ্যায় যেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মাধুর্যে আবৃত হলো ধানম-ির ছায়ানট ভবন। সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি উচ্চাঙ্গের সুর-তাল ও লয়ের বিভায় আলোড়িত হলো সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তন। আর এমন স্নিগ্ধ আনন্দময়তার উপলক্ষ ছিল ছায়ানটের শুদ্ধ সঙ্গীত উৎসব। উচ্চাঙ্গের গানে সাজানো দুই দিনের উৎসবের সূচনা হয় বৃহস্পতিবার। শুদ্ধ সঙ্গীতের সঙ্গে সাধারণ সঙ্গীতপিপাসুর সংযোগ সাধন এবং সঙ্গীত শিক্ষার্থীর সাধনা ও পরিবেশনে প্রাণিত করা ২০০৭ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ উৎসব। সেই সূত্রে এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে অষ্টম আসর।
সম্মেলক জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এর পর উৎসব উদ্বোধন করেন সঙ্গীতজ্ঞ আজাদ রহমান। স্বাগত কথনে অংশ নেন ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল।
উদ্বোধনী বক্তব্যে আজাদ রহমান বলেন, একজন সচেতন মানুষ সঙ্গীতের সকল ভাবনা কিংবা স্বপ্নের সন্ধান পেতে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের সুর আস্বাদনের মাধ্যমে। কারণ, এই সঙ্গীতের এই ধারায় কোন সীমাবদ্ধতা নেই। অনেক বেশি বিস্তৃত এর পরিসর। তিনি আরও বলেন, সঙ্গীত সব সময়ই মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে। আমার বেলায়ও তেমনটাই ঘটেছে। জীবনে যা কিছু পেয়েছি সবটাই পেয়েছি সঙ্গীত থেকে। ছায়ানটের সভাপতি সন্্জীদা খাতুনের দৃঢ় মনোভাবের কথা উল্লেখ করে বলেন, শত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও তিনি এই প্রতিষ্ঠানটির হাল ধরে রেখেছেন।
স্বাগত বক্তব্যে খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, এ প্রজন্মের সন্তানরা যেন অন্তরের গভীর থেকে উচ্চা ঙ্গসঙ্গীত উপলব্ধি করতে পারে সেই লক্ষ্যে ২০০৭ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এ উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। শিল্পীদের পরিবেশনার পাশাপাশি শ্রোতাদের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রতি ধাবিত করা অন্যতম লক্ষ্য।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: