ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েও চাকরি পায়নি সুস্মিতা তদ্বির না করায়

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েও চাকরি পায়নি সুস্মিতা  তদ্বির না করায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ১৬ ডিসেম্বর ॥ বিজয়ের মাসে এক অসহায় মুক্তিযোদ্ধার কন্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় কয়েক বার উত্তীর্ণ হয়েও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের ৩০ ভাগ সংরক্ষিত কোটায় চাকরি হয়নি। এবারেও উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি হতে বঞ্চিত হয়। এবারে তার সরকারী চাকরির বয়স সীমা শেষ হয়ে গেছ। তাই অসহায় পরিবারটি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। জানা গেছে, রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার বীরনারায়ণ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সানুরাম রায়ের মেয়ে সুম্মিতা রায়। কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় জেলার আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউপির মুসরত দৌজোড় গ্রামে। ২০১৩ সালের ৮ নবেম্বর অনুষ্ঠিত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলে উত্তীর্ণ হয়। তার রোল ১১৭৬১। সাধারণ নারী কোটা ৬০ ভাগ তার সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ ভাগ শতকরা ৯০ ভাগ কোটায় অগ্রাধিকার প্রার্থী হয়েও নিয়োগ বঞ্চিত হয়। এর আগেও সে কয়েক বার সরকারী প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ হয়েছিল। জেলার ৫টি উপজেলায় ৬২টি সৃষ্ট পদ ও অন্য জেলায় ৩টি পদে এই জেলার ৬৫ প্রার্থীর সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি হয়েছে। সুম্মিতা রায় জেলার আদিতমারী উপজেলার প্রার্থী ছিল। এই উপজেলায় ১৩টি সৃষ্ট পদে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কোটায় গাণিতিক হিসেবে ৪ দশমিক ৮ জন নিয়োগ পাবেন। গণিতের সূত্রমতে দশমিক ৫ সংখ্যার উপরে হলে এক ধরতে হয়। এতে দেখা আদিতমারী উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কোটা ৫ জন। সেখানে ৪ জনকে মুক্তিযোদ্ধার কোটায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বঞ্চিত হয়েছে মুক্তিযোদ্ধার কন্যা সুম্মিতা রায়। তিনি নারী কোটায় সাধারণ হিসেবে শতকরা ৬০ ভাগ ও মুক্তিযোদ্ধার কোটায় ৩০ ভাগ মোট শতকরা ৯০ ভাগ কোটা সংরক্ষিত থাকার পরেও নিয়োগ পায়নি। অসহায় এই দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধার কন্যা এর আগেও সে কয়েকবার প্রাথমিক সহকারী শিক্ষিকা পদে উত্তীর্ণ হয়েও শুধুমাত্র তদবিরের অভাবে তার চাকরি হয়নি বলে মুক্তিযোদ্ধা সানুরাম অভিযোগ করেন।
×