ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শীর্ষস্থান নিয়ে প্রিমিয়ার ক্রিকেট সুপার লীগে আবাহনী

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪

শীর্ষস্থান নিয়ে প্রিমিয়ার ক্রিকেট সুপার লীগে আবাহনী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল সুপার লীগের ৬টি দল। তাই একাদশ রাউন্ডে সবার দৃষ্টি ছিল পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা দুটি দল আবাহনী লিমিটেড ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ম্যাচটির দিকে। আবাহনী জিতলেই শীর্ষস্থান নিয়ে শেষ করবে প্রাথমিক রাউন্ড। সেটাই করেছে ঐতিহ্যবাহী এ ক্লাবটি। সোমবার ফতুল্লায় শেষ রাউন্ডের ম্যাচে প্রাইম ব্যাংককে ৩৩ রানে হারিয়ে শীর্ষস্থান নিয়ে শেষ করেছে আবাহনী। ১১ ম্যাচে ৯ জয়ে সমান ১৮ পয়েন্ট থাকলেও প্রাইম ব্যাংকের চেয়ে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় শীর্ষস্থান তাদের। শেষ ম্যাচটাও জিততে পারেনি ওল্ড ডিওএইচএস। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়নের কাছে ৯৩ রানের বড় ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়েছে তারা। অপর ম্যাচে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমিকে (সিএ) ৪৮ রানে হারিয়ে দিলেও সুপার লীগে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব। অর্থাৎ সুপার লীগের ওঠা দলের লাইনআপে আছে আবাহনী, প্রাইম ব্যাংক, কলাবাগান সিএ, প্রাইম দোলেশ্বর, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। শীর্ষে থেকে শেষ আবাহনীর ॥ কুয়াশার কারণে এক ঘণ্টা পরে খেলা শুরু হলে ৪৩ ওভারের ম্যাচ হয়। প্রথম ব্যাট করে আবাহনী ৪১.১ ওভারে প্রাইম ব্যাংক পেসারদের দাপটে ১৬৯ রানেই গুটিয়ে যায়। আব্দুল মজিদ ১০২ বলে ৪ চারে ৫৮, জিম্বাবুইয়ের হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ২৬ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রান করেন। তিনটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও ফরহাদ রেজা। জবাবে খেলতে নেমে সাকলাইন সজীবের স্পিন আর আল আমিনের পেস আক্রমণে ৩৯.২ ওভারে মাত্র ১৩৬ রানেই গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৭৯ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ রান করেন। তিনটি করে উইকেট নেন সাকলাইন ও আল আমিন। স্কোর ॥ আবাহনী ইনিংস-৪১.১ ওভারে ১৬৯/১০ (মজিদ ৫৮, মাসাকাদজা ৩৩, জিয়া ৩০; তাসকিন ৩/২৯, ফরহাদ ৩/৩০, মাহমুদুল্লাহ ২/১৫, এনামুল জুনিয়র ২/৩৮)। প্রাইম ব্যাংক ইনিংস-৩৯.২ ওভারে ১৩৬/১০ (মাহমুদুল্লাহ ৫১, নুরুল ২৬; সাকলাইন ৩/১৫, আল আমিন ৩/২৫, শুভাশিষ ২/৯, নাজমুল ২/৩৯)। ফল ॥ আবাহনী ৩৩ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ আব্দুল মজিদ (আবাহনী)। শতভাগ পরাজয়ে শেষ ডিওএইচএসের ॥ টানা ১০ ম্যাচ হারা ওল্ড ডিওএইচএস লীগের শেষ ম্যাচেও ৯৩ রানে হেরে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করেছে। মিরপুরে আগে ব্যাট করে ব্রাদার্স ৪৯.৪ ওভারে ১৯৫ রানে গুটিয়ে যায়। সাদিকুর রহমান সর্বোচ্চ ৪২ ও রুম্মান আহমেদ ৩৬ রান করেন। রাইহানুদ্দিন ৩৮ রানে চারটি ও আবু জায়েদ তিনটি উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়া ডিওএইচএস ৩৬.৩ ওভারে ১০২ রানে মুখ থুবড়ে পড়ে। রাইহানুদ্দিন সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন। স্কোর ॥ ব্রাদার্স ইনিংস-৪৯.৪ ওভারে ১৯৫/১০ (সাদিকুর ৪২, রুম্মান ৩৬, ডেনলি ২৬; রাইহানুদ্দিন ৪/৩৮, জায়েদ ৩/৪০)। ডিওএইচএস ইনিংস-৩৬.৩ ওভারে ১০২/১০ (রাইহানুদ্দিন ২৮, কাফি ১৮; শাহজাদা ৩/২২)। ফল ॥ ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৯৩ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ মোহাম্মদ শাহজাদা (ব্রাদার্স)। কাজে আসেনি ভিক্টোরিয়ার জয় ॥ আগেই কলাবাগান সিএ নিশ্চিত করেছিল সুপার লীগ। তবে প্রাথমিক রাউন্ডের শেষ ম্যাচে তাদের ৪৮ রানে হারিয়ে দিলেও ব্যর্থ হয়েছে ভিক্টোরিয়া। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আগে ব্যাট করে মার্শাল আইয়ুবের ৭৪ বলে ৭ চারে ৫৪ ও এনামুল হকের ২৫ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় অপরাজিত ৪৪ রানে ৪৭ ওভারে ৬ উইকেটে ২৪৭ রান তোলে ভিক্টোরিয়া। জবাবে নাফিস ইকবাল ৪৮ রান করলেও বাকিদের ব্যর্থতায় ৪৪ ওভারে ১৮৯ রানে গুটিয়ে যায় কলাবাগান সিএ। স্কোর ॥ ভিক্টোরিয়া ইনিংস-৪৭ ওভারে ২৩৭/৬ (মার্শাল ৫৪, এনামুল ৪৪*, নাদিফ ৪১; মেহেদি ২/২৫, মাহমুদুল ২/৩২, শরীফ ২/৫৫)। কলাবাগান সিএ-৪৪ ওভারে ১৮৯/১০ (নাফিস ৪৮, মেহেদি ২৮; কামরুল ৩/৩৭, হায়দার ৩/৪৪)। ফল ॥ ভিক্টোরিয়া ৪৮ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ মার্শাল আইয়ুব (ভিক্টোরিয়া)।
×