ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ, ম্যানসিটির রক্ষা ল্যাম্পার্ডের গোলে

জয়ে ফিরল চেলসি ও আর্সেনাল

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪

জয়ে ফিরল চেলসি ও আর্সেনাল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জয়ের ধারায় ফিরেছে চেলসি ও আর্সেনাল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে শনিবার নিজ নিজ ম্যাচে সহজ জয় পায় দল দুটি। ঘরের মাঠ স্টামফোর্ড ব্রিজে চেলসি ২-০ গোলে হারায় হাল সিটিকে। দ্য ব্লুজদের হয়ে গোল করেন ইডেন হাজার্ড ও দিয়াগো কোস্তা। নিজেদের মাঠ লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে আর্সেনাল ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে। গানার্সদের হয়ে দুটি করে গোল করেন অলিভিয়ের জিরাউড ও শান্তি ক্যাজোরলা। ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের একমাত্র গোলে রক্ষা পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। এ্যাওয়ে ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা ১-০ গোলে হারায় স্বাগতিক লিচেস্টার সিটিকে। পরশুর অন্য ম্যাচে বার্নলি ১-০ গোলে সাউদাম্পটনকে ও ওয়েস্টব্রুমউইচ একই ব্যবধানে পরাজিত করে এ্যাস্টন ভিলাকে। ক্রিস্টাল প্যালেস-স্টোক সিটি ও সান্ডারল্যান্ড-ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডের মধ্যকার ম্যাচ দুটি ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকে। এই জয়ে শীর্ষে থাকা চেলসির পয়েন্ট ১৬ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩৯। সমান ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ম্যানচেস্টার সিটি। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আর্সেনাল। আগের ম্যাচে হারের ফলে জয়ের লক্ষে মাঠে নেমেছিল চেলসি। বেলজিয়ামের তারকা ইডেন হ্যাজার্ডের চোখ ধাঁধানো নৈপুণ্যে জয় পায় জোশে মরিনহোর দল। হ্যাজার্ড নিজে একটি গোল করার পাশাপাশি কোস্তাকে দিয়ে অপর গোলটিও করান। নিজেদের মাঠে ম্যাচের সপ্তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন হ্যাজার্ড। বিরতির পর ৬০ মিনিটে ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডার টম হাডলস্টোন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেয়ে লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে গেলে দশজনের দলে পরিণত হয় হালসিটি। দ্বিতীয় গোল পেতে লম্বা সময় অপেক্ষা করা চেলসি এরপর আট মিনিট পর গোল পায়। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে হ্যাজার্ডের পাস থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড দিয়াগো কোস্তা। পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকে লিচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে জয় পেতে ঘাম ঝরাতে হয় ম্যানচেস্টার সিটিকে। চোটের কারণে তুখোড় ফর্মে থাকা আর্জেন্টাইন তারকা সার্জিও এ্যাগুয়েরোকে ছাড়াই মাঠে নামে ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির দল। লিচেস্টাররের মাঠে গোল পেতে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় সিটিকে। প্রথম ৩০ মিনিটে তেমন কোন সুযোগই সৃষ্টি করতে পারেনি তারা। অবশেষে প্রথমার্ধের পাঁচ মিনিটে আগে কাক্সিক্ষত গোলের দেখা পায় চ্যাম্পিয়নরা। ৪০ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে থেকে বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান এই মৌসুমে ধারে সিটিতে আসা সাবেক চেলসি প্রাণভোমরা ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। অবশ্য এই গোলের কৃতিত্ব সামির নাসরির। একজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বাঁ দিক থেকে দারুণ পাস দিয়েছিলেন ফরাসী এই মিডফিল্ডার। এই গোলেই শেষ পর্যন্ত স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিটি। ঘটনাবহুল ম্যাচে স্টোক সিটির কাছে ৩-২ গোলে হার মানা আর্সেনালও জয়ে ফিরেছে। নিউক্যাসেলকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল। এমিরেটস স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হওয়ার আগে আর্সেনাল ও নিউক্যাসলের পয়েন্ট ছিল সমান ২৩। এ কারণে অনেকেই ধারণা করেছিলেন, ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। কিন্তু জিরাউড ও ক্যাজোরলার নৈপুণ্যে সহজ জয় পায় গানার্সরা। নিজেদের মাঠে শুরু থেকেই অতিথিদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে আর্সেনাল। সুফল পেতেও বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ১৫ মিনিটে আলেক্সিজ সানচেজে দারুণ ক্রসে অসাধারণ হেডে দলকে এগিয়ে নেন ফরাসী স্ট্রাইকার জিরাউড। প্রথমার্ধে অবশ্য আর গোল পায়নি স্বাগতিকরা। বিরতির পর ৫৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্যাজোরলা। এক ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে সানচেজ বল পাঠিয়ে দেন ফাঁকায় দাঁড়ানো ক্যাজোরলাকে। সহজেই গোল করেন তিনি। ৫৮ মিনিটে দারুণ দক্ষতায় নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন জিরাউড। ডি বক্সে বল পেয়ে আলতো টোকায় সামনে বাড়ান তিনি, নিজেও ডিফেন্ডারদের জটলা থেকে বেরিয়ে যান। এরপর গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালে। ৬৩ মিনিটে পেরেজের গোলে ব্যবধান কমায় নিউক্যাসল। কিন্তু ৮৮ মিনিটে ক্যাজোরলা পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চার নম্বর গোল করলে বড় জয় নিশ্চিত হয় আর্সেনালের।
×