ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বন্ধ করা নিয়ে দুই মন্ত্রণালয়ের দু’মত

সুন্দরবনে নৌপথ

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪

সুন্দরবনে নৌপথ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে স্থায়ীভাবে নৌপথ বন্ধের দাবি মানতে নারাজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এতবড় বিপর্যয়ের পরও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বলছে স্থায়ীভাবে এই রুট বন্ধ করা সম্ভব নয়। আপাতত এই রুটে নৌচলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে পরিবেশ এবং বন মন্ত্রণালয় অপর এক বৈঠকে তেল সংগ্রহের আওতা বৃদ্ধি এবং দ্রুত বিদেশীদের সহায়তা নিতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর মন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, স্থায়ীভাবে এখনই রুটটি বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই রুটে নৌ চলাচল স্থগিত থাকবে। এর আগে সকালে পরিবেশ এবং বন মন্ত্রণালয় অপর এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে নৌযান চলাচল বন্ধের দাবি জানায়। সম্প্রতি সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যালা নদীতে ডুবে যাওয়া অয়েল ট্যাঙ্কার থেকে নির্গত ফার্নেস অয়েলে ভয়ঙ্কর পরিবেশ দূষণ রোধে সরকার গৃহীত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে পৃথক ওই দুই সভার আয়োজন করা হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বৈঠক সূত্র জানায়, যেভাবে সাধারণ মানুষ নিজের উদ্যোগে তেল সংগ্রহ করছে তা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) আগে ৩০ টাকা লিটার দরে এই তেল কিনছিল এখন ৪০ টাকা লিটার দরে কিনবে। এছাড়া আগে তিনটি কেন্দ্র থেকে তেল কেনা হচ্ছিল এখন তা প্রয়োজন অনুসারে বৃদ্ধি করা হবে। সুন্দরবনের পরিবেশ বিপর্যয় সভায় সার্বিক প্রস্তুতি তদারকির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব আবুল কালাম আজাদকে আহ্বায়ক করে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অতিরিক্ত সচিবরা কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। এছাড়া সভায় সিদ্ধান্ত হয় ক্ষতিগ্রস্ত কাঁকড়া, ঝিনুক ও মাছ আহরণকারীদের দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এক মাসের আপৎকালীন ত্রাণ সহায়তা দেবে। বৈঠর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, যেভাবে সাধারণ মানুষ তেল অপসারণের কাজ করছে তা অব্যাহত থাকবে। যেসব গাছে তেল লেগে গেছে তা স্প্রে করে অথবা চেঁছে তোলা হবে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় চারটি জাহাজ ক্রয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। মংলা এবং চট্টগ্রামে এসব জাহাজ রাখা হবে; যাতে কখনও দুর্যোগ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে কাজে লাগানো যায়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে কোন ব্যর্থতা বা উদাসীনতা নেই, এটা হচ্ছে বাস্তবতা। তিনি বলেন, সুন্দরবন ছাড়া বিকল্প রুট মংলা-ঘষিয়াখালি চ্যানেলের খনন কাজ চলছে। আগামী বছর থেকে চ্যানেলটি পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে। মন্ত্রী দাবি করেন, চ্যানেলটির ছয় কিলোমিটার এখন পর্যন্ত পুনর্খনন করা হয়েছে।
×