ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পরিবহনে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের উদ্যোগ ॥ আসছে হাইস্পীড ট্রেন

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪

পরিবহনে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের উদ্যোগ ॥ আসছে হাইস্পীড ট্রেন

মশিউর রহমান খান ॥ দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রেল যোগাযোগ আরও আধুনিক করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে চালু করতে চায় হাইস্পীড ট্রেন বা দ্রুতগতিসম্পন্ন ট্রেন। বিশ্বের উন্নত দেশের ন্যায় দেশের দ্বিতীয় রাজধানী বা বাণিজ্যিক রাজধানী বলে খ্যাত অতি গুরুত্বপূর্ণ এ রুটে ট্রেনটি চলবে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের মোট ২৩২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ১ ঘণ্টার চেয়ে কিছু বেশি। দেশে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া এ ট্রেনের রুটটি চালু করতে নির্মাণ করা হবে আলাদা এলিভেটেড (উড়াল) বৈদ্যুতিক রেলপথ। এতে চলাচল করবে হাইস্পীড (দ্রুতগতি) ট্রেন। ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, দাউদকান্দি, মোহনপুর, ময়নামতি, লাকসাম, ফেনী, চিনকি আস্তানা, সীতাকু- হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত এ রেলপথ নির্মাণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেলকে আধুনিক, যুগোপযোগী ও উন্নত সেবামূলক বাহনে পরিণত করতে এ বিশেষ উদ্যোগ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেল সূত্র জানায়, সাধারণ রেললাইনের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা বিশেষ পদ্ধতির এ রেললাইন তৈরিতে ব্যয় হবে প্রায় ৩৮৭ কোটি ডলার বা ৩১ হাজার কোটি টাকা। নতুন পদ্ধতির এ ট্রেনটি চালু করা গেলে বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থায় এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ সৃষ্টি করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এটি চালু হলে সময় সাশ্রয় তো হবেই পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রামের দূরত্ব কমবে প্রায় ৮০ কিলোমিটার। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্বপ্নের এ প্রকল্প বাস্তবায়নে এরই মধ্যে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে চায়না রেলওয়ে এরিউয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি (সিআরইইজিসি)। নির্মাণের পর প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব উদ্যোগে ২০ বছর পরিচালনা করবে। এরপর হাইস্পীড এসব ট্রেন বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে হস্তান্তর করতে চায় ওই কোম্পানিটি। বিনিয়োগের অর্থ এই সময়ের মধ্যেই উঠিয়ে নেবে বিনিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ। রেলসূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পীড ট্রেন চালু করতে গত আগস্টে সিআরইইজিসির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এর ভিত্তিতে ইতোমধ্যে সিআরইইজিসি প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা সমীক্ষা যাচাই সম্পন্ন করেছে। সম্প্রতি রেলওয়ের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাভাবিকের চেয়ে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম হাইস্পীড এসব ট্রেন চালু করতে বিশেষ ধরনের রেলপথ দরকার। এ জন্য বিদ্যমান রুটের পরিবর্তে সরাসরি ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, দাউদকান্দি, মোহনপুর, ময়নামতি, লাকসাম, ফেনী, চিনকি আস্তানা, সীতাকু- হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ করতে হবে। জমি অধিগ্রহণ কমানো ও অধিক গতির জন্য উড়ালপথ নির্মাণ হবে সাশ্রয়ী। সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পীড ট্রেন প্রকল্পের আওতায় স্ট্যান্ডার্ড গেজ ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণ করা হবে। ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার। চতুর্মাত্রিক (ফোরডি) ট্রেন এ পথে চালানো হবে। দৈনিক ৮০ জোড়া ট্রেন চালানো যাবে এ পথে। ডিজেল ও বৈদ্যুতিক দুই ধরনের ব্যবস্থাই রাখা হবে এতে। তবে ডিজেল ট্রেনের গতি কিছুটা কম হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পীড ট্রেনে ভাড়া কিছুটা বেশি হবে। নন-এসি আসনে ভাড়া হবে ১ হাজার ২০০ টাকা, বর্তমানে যা ৩৩৪ টাকা আর এসি আসনের ভাড়া হবে ২ হাজার ৫০০ টাকা, বর্তমানে যা ৬৬০ টাকা। রেল সূত্রে জানা গেছে, দুই ধাপে ৩ বছরে এ রেলপথ নির্মাণ করা সম্ভব হবে। এর মধ্যে ঢাকা-লাকসাম রুটে প্রায় ১১১ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় হবে প্রায় ২০৬ কোটি ডলার। এ অংশে কয়েকটি বড় সেতু নির্মাণের প্রয়োজন হবে বিধায় ব্যয় তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি হবে আর বড় সেতু না থাকায় লাকসাম-চট্টগ্রাম রুটে ১২১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ব্যয় দাঁড়াবে ১৮১ কোটি ডলারের মতো। সব মিলিয়ে প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে ৩৮৭ কোটি ডলার। পুরো অর্থই বিনিয়োগ করতে চায় সিআরইইজিসি। উল্লেখ্য, বর্তমানে অনেকটা পথ ঘুরে ৩১২ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে হয়। এতে সময় লাগে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা। নতুন রেলপথ নির্মাণ হলে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার কমে যাবে। রেলওয়ের তথ্যমতে, আগামী ৫০ বছরে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের চাহিদা পূরণে হাইস্পীড ট্রেন পরিচালনা করা জরুরী হয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে বর্তমান রুটে পণ্যবাহী ট্রেন এবং বিভিন্ন মেইল ও লোকাল ট্রেন চালানো হবে আর যাত্রী পরিবহন করা হবে দ্রুতগতির এসব ট্রেনে। সংশ্লিষ্টদের মতে, আন্তঃনগর ট্রেনের চেয়ে অত্যাধুনিক ও গতিসম্পন্ন এ ট্রেনের ভাড়া তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি হওয়ায় যাত্রীর সংখ্যা কেমন হবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এ ট্রেনের ভাড়া আর বিমানের ভাড়া প্রায় কাছাকাছি হবে বিধায় হাইস্পীড এ ট্রেনে একমাত্র অবস্থাসম্পন্ন ও তুলনামূলক উচ্চবিত্ত ও আরামপ্রিয় যাত্রীরাই কেবল চলাচল করতে পারবে। এতে সাধারণ যাত্রীগণ এসব ট্রেনে চড়ার সুযোগ পাবেন না। তাছাড়া গত জোট সরকারের আমল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আধুনিক পদ্ধতির এসব ট্রেন চালুর কথা বলা হলেও দীর্ঘ বছর পার হলেও আজও এসব উদ্যোগ স্বপ্নেই রয়ে গেছে। তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০ বছরের পরিকল্পনা মাথায় রেখে এ পরিকল্পনা করা হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বছরে ১২ জোড়া ট্রেনের মাধ্যমে প্রায় ৩৫ লাখ যাত্রী যাতায়াত করে। আগামী ১০ বছরে এ রুটে যাত্রীসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৭৯ লাখ। তখন কমপক্ষে ২৮ জোড়া ট্রেন চালাতে হবে আর ২০ বছর পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করবে ১ কোটি ৫ লাখ যাত্রী। সে সময় দৈনিক ৪২ জোড়া ট্রেন চালাতে হবে। বিদ্যমান রেলপথ ও ট্রেনে এ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। এ জন্য হাইস্পীড ট্রেন চালু করা জরুরী। যাত্রীর পাশাপাশি এ পথে বছরে ১ কোটি ৫০ লাখ টন পণ্য পরিবহন করাও সম্ভব হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আশানুরূপ যাত্রী পেতে ঢাকা-চট্টগ্রামের পরিবর্তে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে হাইস্পীড ট্রেন চালু করা প্রয়োজন। এতে পর্যটকরা দেড় ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছতে পারবে। ফলে যাত্রীসংখ্যা অনেক বেশি হবে। রেল কর্তৃপক্ষ ও পর্যটন খাত দ্রুত লাভবান হবে। ভারত ও চীনের সঙ্গে রেল সংযোগ উন্নয়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পীড ট্রেন প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক করিডর বিশেষত বিসিআইএম, আসিয়ান ও ট্রান্স-এশিয়ান রেলপথে যুক্ত হতে এটি অবদান রাখবে। এ জন্য রেলপথটি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমার সীমান্ত পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে হবে। তাছাড়া ট্রান্স এশিয়ান রেলপথে যুক্ত হতে চাইলে এ রুটটিকে কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা অতি জরুরী। এ লাইনটি নির্মাণের পর হাইস্পীড ট্রেন সংগ্রহ করবে সিআরইইজিসি। প্রতিষ্ঠানটি ২০ বছর তা পরিচালনার মাধ্যমে বিনিয়োগকৃত সম্পূর্ণ অর্থ তুলে নেবে। এ সময়ের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠান সকল আয় ব্যয় বহন করবে বলে জানা গেছে। চুক্তিকৃত সময়ের পর রেলওয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে এসব হাইস্পীড ট্রেন। এরপর রেল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ট্রেনগুলো পরিচালনা করা হবে। সূত্র জানায়, রেলওয়ের ২০ বছর মেয়াদি মাস্টারপ্ল্যানে দেশের অন্যান্য রুটের তুলনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। রেলওয়েকে লাভজনক করতে এ রুটে পণ্য পরিবহন বাড়ানোসহ নানা সুপারিশ করা হয়। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম বৈদ্যুতিক রেলপথ নির্মাণের প্রকল্প মাস্টারপ্ল্যানে রাখা হয়। তবে সংশ্লিষ্টরা উন্নত দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বর্তমানের চেয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এ উদ্দেশ্যেই এ রুটে হাইস্পীড ট্রেন চালুর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তুলনা করলে রেলের উন্নয়নে হাইস্পীডের বিকল্প নেই। সবচেয়ে বেশি যাত্রী চাহিদা থাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটটি এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ আরও দু-তিনটি রুটে পরবর্তীতে হাইস্পীড ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিতে হবে। যাতে রাজধানী থেকে ব্যবসায়ী, পর্যটক, দেশী বা বিদেশী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ যে কোন দিন ও সময় অত্যন্ত কম সময়ে নিশ্চিন্তে যাওয়া আসা করতে পারেন। এতে বিশ্বের অনেক দেশের মতো রেলপথ উন্নত করার মাধ্যমে দেশের বর্তমান ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করা সম্ভব হবে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এ রুটে হাইস্পীড ট্রেনের এ প্রকল্পটি চালু করলে দেশের অর্থনীতিতে বর্তমানের চেয়ে আরও গতি আসবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলপথমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক জনকণ্ঠকে বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থাকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় রেলকে আধুনিকীকরণের জন্য নেয়া ২০ বছর মেয়াদী মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে হাইস্পীড ট্রেন চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিশেষ এ ট্রেন চালুর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি রয়েছে। চীনের প্রস্তাবনা নিয়ে সমঝোতা স্মারক সই করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। এ রুটে পরিচালনা করা হবে চতুর্মাত্রিক (ফোরডি) ট্রেন। এমওইউ অনুযায়ী এই রুটে চলা ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার। ট্রেনটি বিদ্যুত ও ডিজেল উভয় পদ্ধতিতে চালানো যাবে। অতি ব্যয়বহুল এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ট্রেন পরিচালনার জন্য তৈরি করা হবে নতুন স্ট্যান্ডার্ড গেজ ডাবল লাইন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে-উড়াল সড়ক। এ ট্রেন চালু করার জন্য প্রচুর পরিমাণ বিদেশী অর্থের প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে চীন এ অর্থ বিনিয়োগ করতে রাজি হয়েছে। ইতোমধ্যে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরইইজিসি রুটটি চালুর প্রাথমিক সমীক্ষা কাজ সম্পন্ন করেছে। সমীক্ষা অনুযায়ী প্রকল্পে সর্বমোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ হাজার কোটি টাকা। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আধুনিক পদ্ধতির দ্রুতগতিসম্পন্ন এসব ট্রেন চালু করা গেলে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন বিপ্লব সাধিত হবে ও অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হবে। পাশাপাশি রেলের বর্তমান চেহারা পাল্টে যাবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির এসব ট্রেন চালু করা জরুরী।
×