ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পণ্যের দরে বিস্তর ফারাক

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১২ ডিসেম্বর ২০১৪

চট্টগ্রামে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পণ্যের দরে বিস্তর ফারাক

মহসিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম অফিস ॥ গত কয়েকদিনে উল্লেখযোগ্যভাবে খাতুনগঞ্জের আড়তে দাম কমেছে পেঁয়াজ, রসুন এবং আদার। কিন্তু এর প্রভাব নেই খুচরাবাজারে। দামে অনেক পার্থক্য খুচরা এবং আড়তে। বাজার নিয়ে দীর্ঘদিন মনিটরিং বন্ধ থাকায় এ অবস্থা। প্রশাসনের কোন মহল রমজানের পর খুচরাবাজার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়নি। এতে পাইকারি বাজারের অন্তত ২৫ ভাগ বেশি আবার দ্বিগুণ দামেও বিক্রির রেকর্ড রয়েছে। চট্টগ্রামে দুই বাজারের মধ্যে এমন পার্থক্যে প্রতিদিন সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে অসাধু ব্যবসায়ীরা হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ। খাতুনগঞ্জের পচনশীল আমদানি করা পণ্যের আড়তদাররা জানিয়েছেন, দেশের উত্তরবঙ্গে কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজ উত্তোলন শুরু হয়েছে। এখনও পেঁয়াজ উত্তোলনের ভরা মওসুম শুরু হয়নি। মাঝেমধ্যে সামান্য পেঁয়াজ আসছে দেশী মোকাম থেকে। দেশীয় পেঁয়াজ নেমে এসেছে কেজিপ্রতি ১৬Ñ১৭ টাকায়। আর ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আড়তে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৮ টাকায়। আড়তে পেঁয়াজের কেজি এ দরে বিক্রি হচ্ছে গত কয়েকদিন ধরে। বাজার অনেকটা স্থিতিশীল। সরবরাহও স্বাভাবিক। কিন্তু খুচরা বাজারে এর কোন প্রভাব নেই। ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। অথচ, আড়তের দর থেকে ২৫ থেকে ৫০ ভাগ বেশি দরে বিক্রির রেকর্ড হচ্ছে। একই অবস্থা রসুনের ক্ষেত্রেও। খাতুনগঞ্জে আড়তে দর কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১শ’ টাকায়। আদার ক্ষেত্রে আরও ব্যতিক্রম। ৫৫ টাকার আদা এখনও খুচরা বাজারে ১শ’ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদার বাজার বেশ কিছুদিন চড়া ছিল। বিদেশ থেকে আদা আমাদনির হার কমে যায়। দেশীয় আদা এখন বাজারে এসেছে। আড়তে আদার দর গত পনেরো দিন ধরেই স্বাভাবিক। কিন্তু ২শ’ টাকার আদা ব্যবসায়ীরা সহজে কমিয়ে আনছে না।
×