ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ড. আরএম দেবনাথ

চীনা ব্যাংকিং ব্যবস্থা আমাদের শিক্ষা

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১২ ডিসেম্বর ২০১৪

চীনা ব্যাংকিং ব্যবস্থা আমাদের শিক্ষা

চীনের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং সম্পর্কে আমি কেন, আমাদের দেশের অনেকেরই সম্ভবত ধারণা ছিল ভাসাভাসা। বিশেষ করে ব্যাংকিং সম্পর্কে। এর কারণ অনেক। ইদানীং চীন সম্পর্কে অনেক বেশি জানা যাচ্ছে মিডিয়ার কারণে। সংবাদপত্র ও টিলিভিশনে চীনের ওপর আজকাল খবর থাকেই। বস্তুত এটা অনেকদিন থেকেই। চীন জাগছে, চীনের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হার দুই অঙ্কের ওপরে। চীনের রফতানি শনৈঃ শনৈঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চীনের মাল সারাবিশ্বের বাজার দখল করে ফেলেছে। চীন যুক্তরাষ্ট্রের বড় ঋণদাতা। চীনারা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা প্রভৃতি দেশে সহায়-সম্পদ কিনছে। শুধুই উত্থানের খবর। সঙ্গে সঙ্গে চীনা ‘মাসল পাওয়ার’র খবর। চীনারা আফ্রিকায় যাচ্ছে। ভারতকে ঘিরে ফেলছে। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের বঙ্গোপসাগরে চীনারা বন্দর বানাচ্ছে। বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রে তারা গ্যাস তুলতে আসবে। খবর শুধু চীনা অর্থনীতির, পাশাপাশি তাদের কূটনৈতিক তৎপরতার। এর পাশাপাশি আমি খুঁজি ব্যাংকিং জগতের খবর। পাই কিছু, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাই না। যা চাই, তা পাই না। চীনা ব্যাংকিংয়ের পুঁজির অবস্থা কী, চীনা ব্যাংকিং খাতের ঋণের পরিস্থিতি কী, তাদের শ্রেণীবিন্যাসিত ঋণের পরিমাণ কত? ব্যাংকগুলো পরিচালিত হচ্ছে কিভাবে? সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, তাদের ব্যাংকিং কাঠামোটা কী? এসব খোঁজার কারণ একটা। বোঝার চেষ্টা করা, আমাদের সঙ্গে তাদের মিল কোথায়, অমিল কোথায়? আমাদের ব্যাংকগুলোর অবস্থা খারাপ এ কথা মিডিয়া সমানে বলে যাচ্ছে। চলে যাচ্ছে কিছু পরিচিত ব্যক্তি। মাঝে মাঝে অবশ্য বলেন সরকারী পদে আসীন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও। এই প্রেক্ষাপটে চীনের ব্যাংকিং সম্পর্কে জানতে গিয়ে পেয়ে যাই ভারতের ব্যাংকিংয়ের অবস্থার একটা চিত্র। আমার ধারণা ছিল, ভারতীয় ব্যাংকিংয়ের চিত্র আমাদের চেয়ে ভাল। কারণ, তারা গণতান্ত্রিক দেশ, প্রতি কয়েক বছর পর পর তারা নির্বাচন করে। জবাবদিহিতা আছে, ট্রান্সপারেন্সি আছে, আছে শক্তিশালী মিডিয়া। এমতাবস্থায় তাদের ব্যাংকিং খাত আমাদের চেয়ে নিশ্চয়ই ভাল। কিন্তু দেখলাম, আমাদের যা অবস্থা তাদের অবস্থাও প্রায় একই। চিত্রটি অবশ্য শ্রেণীবিন্যাসিত ঋণের (ক্লাসিফাইড); অর্থাৎ খেলাপী ঋণের। এর ওপর আমি সপ্তাহদুয়েক আগে লিখেছি। চেষ্টা ছিল চীনা ব্যাংকিংয়ের ওপর তথ্য পাওয়ার। যা পেয়েছি তার ওপর পাঠকদের একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করছি। আলোচনাটা শুরু করছি চীনা অর্থনীতি দিয়ে। কারণ অর্থনীতি ও ব্যবসার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ব্যাংকিং। সব দেশের সঙ্গেই তা। চীনে তা আরও বেশি। কারণ, চীন অনুসরণ করছে ‘ব্যাংক শেড গ্রোথ’; অর্থাৎ ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরশীল উন্নয়ন। ইদানীং অবশ্য তারা নীতি বদলানোর চেষ্টা করছে। চেষ্টা করছে ভোক্তা-নির্ভরশীল উন্নয়নের জন্য। অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ বাজারের ওপর তারা নির্ভরতা বাড়াতে চাইছে। এতে রফতানি নির্ভরতার ওপর গুরুত্ব হ্রাস পাওয়ার কথা। বলা যায় এটা চীনা অর্থনীতির ক্রান্তিকাল। প্রায় দুই দশকব্যাপী দুই অঙ্কের হারে ‘জিডিপি’ প্রবৃদ্ধি হচ্ছিল চীনে। আমাদের দেশের যাঁরাই চীন গিয়েছেন গত এক দশকের মধ্যে, গিয়েছেন সাংহাই, বেজিং প্রভৃতি শহরে; পরিদর্শন করেছেন চীনের দক্ষিণাঞ্চল তারাই ছিলেন চীনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। চীনের রাস্তাঘাট, অবকাঠামো, বাজার, মল, বড় বড় শহর, শিল্পাঞ্চল, বিনোদন কেন্দ্র ইত্যাদি দেখে আমাদের বন্ধুদের চক্ষু ছানাবড়া। তাঁরা বলতেন নিজের চোখে না দেখলে চীনের উন্নয়ন, অগ্রগতি বিশ্বাস করা যাবে না। এ কথা শুনতে শুনতেই এসে গেল ৫-৭ বছর আগের বিশ্বমন্দা, যার ধকল এখনও চীনসহ অনেক দেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি। বিশ্বমন্দা এখনও চলছে। ‘জিডিপি’ প্রবৃদ্ধির হার সারাবিশ্বেই কম। চীনেও কম। যেখানে চীন ১০-১২ শতাংশ হারে এমনকি আরও বেশি হারে ‘জিডিপি’ প্রবৃদ্ধি করেছে সেখানে তাদের প্রবৃদ্ধির হার এখন নেমেছে সাত শতাংশে। সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, তাদের রফতানি আয়ে টান পড়েছে। আমদানির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে। চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। গত বছরে চীনে রফতানির হার বেড়েছে মাত্র সাড়ে চার শতাংশ হারে। গত মাসে চীনের আমদানি হ্রাস পেয়েছে প্রায় সাত শতাংশ হারে। মিডিয়া যে খবর দিচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে, চীনা অর্থনীতি এখন প্রধান তিনটি সমস্যায় আক্রান্ত। প্রথম সমস্যাটি শিল্প সংক্রান্ত। শিল্পগুলো রুগ্ন হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, গৃহ-সম্পদ, বাড়িঘর, সহায়-সম্পত্তির মূল্য হ্রাস পাচ্ছে। তৃতীয় সমস্যা হচ্ছে চীনের বড় বড় কোম্পানি এবং স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের মাত্রা সহ্যসীমার অনেক বাইরে। গত মন্দার সময় চীনে বেকারত্ব দেখা যায়। লাখ লাখ শ্রমিক চাকরি হারাতে শুরু করে। চীন সরকার তখন ‘ব্যাংক ফিন্যান্স’ দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালায়। অবকাঠামো গঠন/নির্মাণে ঢালাওভাবে অর্থ যোগান দেয়া হয়। আবাসন খাতে টাকা যোগান দেয়া হয়। নতুন নতুন শিল্পাঞ্চল, শহর, উপশহর গড়ে তোলা হয় জায়গায় জায়গায়। এতে অর্থনীতি পুনর্জাগরিত না হোক; যে ধস নামতে পারত সেই ধস ঠেকানো যায় অনেকাংশে। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। অভ্যন্তরীণ চাহিদা হ্রাস পায়। বিদেশে চীনা মালের চাহিদা হ্রাস পায়। পোশাক শিল্প চীনে ছিল অগ্রগামী। সেই শিল্প ইদানীং চাপের মুখে। শ্রমিকরা এখন অনেক ক্ষেত্রে চাপের মুখে, অনেক ক্ষেত্রেই চাকরি হারাচ্ছে। অনেক শিল্পাঞ্চল এখন কর্মচাঞ্চল্যহীন। অনেক শহর ভুতুড়ে শহরে পরিণত হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে মন্দা, মূল্যস্ফীতিও হ্রাস পাচ্ছে। বিদেশী ঋণ ও বিনিয়োগের গতি শ্লথ হয়ে পড়েছে। চীনের বড় বড় শিল্পকারখানা এখন পুরো উৎপাদন ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না। এই যে অথনৈতিক চিত্র উপরে তুলে ধরা হলো তারই একটা প্রতিফলন পাওয়া যাচ্ছে ব্যাকিং খাতে। চীনের ব্যাংকিং খাত ঠিক আমাদের মতো নয়। বাংলাদেশের মতো চীনের ব্যাংকিং ব্যবসা এখনও উদারীকরণের আওতায় সেভাবে আসেনি। কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যাংকগুলো নিয়ন্ত্রিত এখনও। ব্যাংকের মালিকানাও সরকারের হাতে। বড় বড় চারটি ব্যাংকই ব্যাংকিং লাভের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। এগুলো হচ্ছে : ব্যাংক অব চায়না, চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক, এ্যাগ্রিকালচারাল ব্যাংক অব চায়না এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না। চারটি ব্যাংক চার ধরনের ব্যবসায় বিশেষায়িত। এরপরে রয়েছে তিনটি ‘পলিসি ব্যাংক’। ১৯৯৪ সালের দিকে গঠিত এই তিনটি ব্যাংক অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ব্যবসা উন্নয়ন এবং রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের অর্থ যোগানের দায়িত্বপ্রাপ্ত। এই দুই ধরনের ব্যাংকের পর দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে ছোট ছোট বাণিজ্যিক ব্যাংক। এরা সরকারী চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের অতিরিক্ত। তৃতীয় গ্রুপে রয়েছে আরেক ধরনের ব্যাংক, যাদের ‘সিটি কমার্শিয়াল ব্যাংক’ বলা হয়। এরা শহরাঞ্চলে সমবায় হিসেবে কাজ করে এবং ঋণের যোগান দেয়। এ ধরনের সমবায় ঋণ-ব্যাংকের সংখ্যাই হবে শতাধিক। এছাড়া রয়েছে ট্রাস্ট এবং ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন। চীনের ব্যাংকিং ও অর্থ ব্যবস্থার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে ‘শেডো ব্যাংকিং’। এখানে রয়েছে ট্রাস্ট কোম্পানি, ছোট ছোট ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান এবং অনানুষ্ঠানিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান। এই মুহূর্তে চীনের ব্যাংকিং খাতের সমস্যার জন্ম হচ্ছে তিনটি খাত থেকে। প্রথমত, ‘শেডো ব্যাংকি’ খাত, দ্বিতীয়ত, আবাসন খাত, তৃতীয়ত, ব্যাংকের ঋণের স্ট্যান্ডার্ড বা মান। বলা বাহুল্য, এই তিনটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এতেই ঝুঁকির সৃষ্টি হচ্ছে। এবং মজা হচ্ছে, এই ঝুঁকি তথ্যে উদঘাটিত হয় না। যেমন চীন বলছে, তাদের বড় বড় ব্যাংকের শ্রেণীবিন্যাসিত ঋণের পরিমাণ মোট ঋণের এক শতাংশের মতো। কিন্তু এই তথ্য নির্ভরশীল নয়। প্রথমত, ব্যাংকগুলো তথ্য গোপন করে, অনেক সময় তথ্যই দেয় না। দ্বিতীয়ত, শ্রেণীবিন্যাসিত ঋণের পরিমাণ কম দেখাচ্ছে দুটো প্রধান কারণে। চীনা বড় বড় ব্যাংক খেলাপী ঋণ বিক্রি করে দিচ্ছে ‘এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলো’র কাছে। দ্বিতীয়ত, ঋণের পরিমাণ তাদের অফুরন্ত। তারা সরকারী প্রতিষ্ঠানে ঢালাওভাবে এবং সস্তায় ঋণ সরবরাহ করছে। চীনারা মনে করে এতে কোন ঝুঁকি নেই। বলা বাহুল্য, ঋণের পরিমাণ বেশি বেশি বাড়লে শতাংশের হিসেবে শ্রেণীবিন্যাসিত ঋণের পরিমাণ হ্রাস পায়। এমতাবস্থায় বড় বড় ব্যাংকের ঋণের মান প্রশ্নবিদ্ধ। দ্বিতীয়ত, আবাসন খাত। আবাসন খাতের উন্নয়নটি দেখা যাচ্ছে ছিল কৃত্রিম। এখন এর ক্রেতা নেই। দাম হ্রাস পাচ্ছে। ফলে ব্যাংকের ঋণের টাকা ফেরত আসছে না। ব্যাংকগুলো বিপুল পরিমাণ ঋণ খেলাপের সম্মুখীন। উল্লেখ্য, পুঁজিভরণের যে অভিযোগে আমাদের সরকারী ব্যাংকগুলো সমালোচনার সম্মুখীন সেই সমস্যায় চীনের ব্যাংকও পীড়িত। আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে চীন সরকার ৬৫০ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ পুঁজি সরবরাহ করেছে সরকারী ব্যাংকগুলোতে। ২০০২ সালের দিকে চারটি বড় ব্যাংকে নন-পারফর্মিং লোনের পরিমাণ ছিল মোট ঋণের ২৬ শতাংশ। সেসব ঋণ বিক্রি করা হয়েছে এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কাছে। এতে শ্রেণীবিন্যাসিত ঋণের পরিমাণ এখন প্রায় শূন্যের কোটায় খাতা-কলমে। দেখা যাচ্ছে, ১০টি বড় ব্যাংকে ২০১৩ সালে ‘ওভারডিউ’ লোন ছিল ৯৪ বিলিয়ন ডলার। বৃদ্ধির পরিমাণ এক বছরে ২১ শতাংশ। চীনা ব্যাংকিংয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন ট্রাস্ট কোম্পানি উদ্ভূত। সঙ্গে রয়েছে ‘শেডো ব্যাংকিং’ তৎপরতা। ট্রাস্ট কোম্পানিগুলো ঋণ দেয়। তারা সাধারণ আমানতকারীকে উচ্চ সুদ দিয়ে ফান্ড যোগাড় করে। সেই ফান্ড কোম্পানিগুলোকে ঋণ হিসেবে দেয় উচ্চ সুদে। অনেক বড় সরকারী কোম্পানি কম সুদে সরকারী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সেই টাকা ট্রাস্ট কোম্পানিতে রাখে উচ্চ সুদে। একই অবস্থা শেডো ব্যাংকিংয়ের যাকে অনানুষ্ঠানিক ঋণদাতা বলা যায়। এদের ওপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। এই জটিল কর্মকা-ে এখন আমানতকারীরা সন্ত্রস্ত ও ভীত হয়ে পড়ছে। যে কোন মুহূর্তে পুরো ব্যাংক ও আর্থিক ব্যবস্থাটি ধসে পড়তে পারে। ছোট একটি ব্যাংকে লালবাতি জ্বলেছিল কিছুদিন আগে। অজ্ঞাত সূত্রের ফান্ড থেকে আমানতকারীদের টাকা পরিশোধ করা হয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে চীন এখন ভাবছে ‘আমানত বীমার’। উল্লেখ্য, চীনের ব্যাংকের আমানত বীমাকৃত নয়। নতুন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাধারণ আমানতকারীর অবস্থা বজায় রাখতে চীন বিশাল আমানত বীমার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর অধীনে ৯৮ শতাংশ আমানত বীমার অধীনে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক কথায় বলা যায়, অর্থনৈতিক মন্দা চীনকে বিপদে ফেলে দিয়েছে। সস্তা ঋণ, ব্যবসায়িক বিবেচনাবহির্ভূত ঋণ, অনিয়ন্ত্রিত ব্যাংক ব্যবস্থা, বিশাল পরিমাণের নন-পারফর্মিং লোন, এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলোর অদক্ষতা, সরকারকে প্রদত্ত ঋণের অনাদায়যোগ্যতা ইত্যাদি চীনের ব্যাংকিংকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ছে। রক্ষা, ব্যাংকগুলো সরকারি খাতে! লেখক : সাবেক প্রফেসর, বিআইবিএম
×