ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খালেদার সঙ্গে বৈঠক করা যুগ্মসচিব জাহাঙ্গীর বাধ্যতামূলক অবসরে

প্রকাশিত: ০৫:১০, ১২ ডিসেম্বর ২০১৪

খালেদার সঙ্গে বৈঠক করা যুগ্মসচিব জাহাঙ্গীর বাধ্যতামূলক অবসরে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বেগম জিয়ার সঙ্গে গোপন বৈঠক করা সেই যুগ্ম সচিব এ কে এম জাহাঙ্গীরকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, জাহাঙ্গীরের চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় ‘জনস্বার্থে’ তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। তিনি বিধি মোতাবেক অবসরজনিত সুবিধা পাবেন। বিগত বিএনপি সরকারের সময় জাহাঙ্গীর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি (এ্যাপয়েন্টমেন্ট, পোস্টিং, ডেপুটেশন) অনুবিভাগের যুগ্ম-সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। এই বিভাগ থেকে সরকারী কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নের বিষয়টি দেখা হয়। এ পদে সাধারণত সরকারের আস্থাভাজনদের পদায়ন করা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ‘নন-ক্যাডার’ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, যেসব নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারী ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন তাদের প্রথমে সাময়িক বরখাস্ত করে কারণ দর্শাও নোটিস দেয়া হবে। নোটিসের জবাব পাওয়ার পর তা সন্তোষজনক না হলে তাদের চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হবে। গত ৪ ডিসেম্বর রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে একদল সরকারী কর্মকর্তার বৈঠকের খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হলেও একে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয় বিএনপি। তবে ওই ঘটনাকে হাল্কাভাবে নেয়া হবে না জানিয়ে তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা আগেই বলেছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক। গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শনাক্ত করার কথা গত রবিবার তিনি সাংবাদিকদের জানান। গত ৪ ডিসেম্বর রাতে কয়েকটি টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদপত্রে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে একটি বৈঠক চলার খবর প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়, যাতে প্রশাসনের একদল কর্মকর্তাও রয়েছেন বলে জানানো হয়। এর পর রাতেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই খবরটি আদৌ সত্য নয়, এর কোন সত্যতা নেই। ফখরুল বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই সংবাদটি জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য প্রচার করা হচ্ছে। তবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক কয়েক আমলাকে রাতে তার কার্যালয়ে দেখা যায়। এর অধিকাংশই অবসরপ্রাপ্ত সরকরী কর্মকর্তা। ওই দিন খালেদা জিয়া রাত সোয়া ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গুলশানের কার্যালয়ে ছিলেন। কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় ফখরুল সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কোন সরকারী কর্মকর্তাই বৈঠকে ছিলেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের অনেকেই সাবেক সচিব।
×