ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার ফেলে দেয়ার নামে শুধুই হাঁকডাক

প্রকাশিত: ০৫:১১, ১১ ডিসেম্বর ২০১৪

সরকার ফেলে দেয়ার নামে শুধুই হাঁকডাক

শরীফুল ইসলাম ॥ ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের আন্দোলনের কথা ভাবলেও এখনও এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে পারেনি বিএনপি। দলের নেতারা জানুয়ারিতে আন্দোলন শুরু এবং মার্চ থেকে জুনের মধ্যেই বর্তমান সরকারের পতন ঘটাবে- ধারাবাহিকভাবে এমন হাঁকডাক দিয়ে যাচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দলের হতাশ নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতেই সরকারকে হটানোর হুমকিতে রাখার কৌশল নিয়েছে বিএনপি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে শোডাউন করতে চায় বিএনপি। এ জন্য হয় সারাদেশে রাজপথে কালো পতাকা মিছিল না হয় রাজধানীতে মহাসমাবেশ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি হাইকমান্ড। এ ছাড়া জানুয়ারিতে দু’একদিন হরতাল পালনের কথাও ভাবছে তারা। তবে এ ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে পারেনি। আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ে দলের কমিটি নিয়ে নেতাকর্মীদের বিরোধ, খালেদা জিয়াসহ সিনিয়র নেতাদের মাথার ওপর মামলার খড়গ, সিনিয়র নেতাদের প্রতি খালেদা জিয়ার আস্থাহীনতা এবং এখনই কঠোর আন্দোলনে না যাওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের চাপে বিএনপি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে বড় কোন কর্মসূচী পালন করা যায় কি না সে বিষয়ে ২০ দলীয় জোটের শরিকদের মতামত জানতে সম্প্রতি নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে মহাসচিব পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বৈঠকে জামায়াতসহ জোটের বেশ ক’টি শরিক দল বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছে আগপাছ চিন্তা করে আন্দোলন কর্মসূচী ঠিক করতে হবে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের মতো সবাইকে মাঠে নামিয়ে দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠে থাকবেন না এমন আন্দোলন হলে সে আন্দোলনে কেউ যাবে না। তাই আন্দোলনে নামার আগে বিএনপিকেই কৌশল ঠিক করে নিতে হবে। তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নতুন উদ্যমে আন্দোলনে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে শরিক দলের মহাসচিবদের বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত এ সরকারকে জোর করে ক্ষমতায় বসে থাকতে দেয়া যায় না। তাই শীঘ্রই সরকার পতনে আন্দোলনের কঠোর কর্মসূচী দেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে একযোগে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এদিকে ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ইতোমধ্যেই দলের স্থায়ী কমিটিসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাদের মতামত নিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি ২০ দলীয় জোটের শরিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিদের মতামত নিয়েছেন। ১৮ ডিসেম্বর তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের সঙ্গে এবং ২১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এর আগে ১০ জেলায় জনসভা করেছেন তিনি। এমনকি তিনি সরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গেও গোপন বৈঠক করেছেন। তবে এ বৈঠকটি করতে গিয়ে তিনি বড় রকমের হোঁচট খেয়েছেন। সরকার ইতোমধ্যেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়া সরকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকারী কর্মকর্তাদের বৈঠক নিয়ে নানা মহলে বিরূপ সমালোচনা হওয়ায় ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের যে প্রস্তুতি ছিল তাতেও ভাটা পড়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন দলীয় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, আসম হান্নান শাহ, শামসুজ্জামান দুদুসহ ক’জন সিনিয়র নেতা আগামী মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে বর্তমান সরকারের পতন হবে বলে তাদের অভিমত প্রকাশ করেছেন। আর এক অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আরেকটি ধাক্কা দিলেই এ সরকারের পতন হবে। সর্বশেষ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ যতই অপকৌশল করুক না কেন তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। জনগণের আন্দোলনের চাপে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য হবে। বিএনপি নেতাদের এসব হুমকিকে আমলে নিয়ে সরকারের তরফ থেকেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। আর এ কারণেই সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকারী কর্মকর্তারা গোপন বৈঠকে মিলিত হলেও সঙ্গে সঙ্গেই তা প্রচার হয়ে যায়। এভাবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে আরও কিছু বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা পরে ভেস্তে যায়। সূত্র মতে, পরিকল্পনামাফিক জানুয়ারি থেকে আন্দোলন জোরদার করতে পারলে আসছে মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিতে চেয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে সে অবস্থান থেকে তিনি সরে এসেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি নিজের বেশ ক’টিসহ নেতাকর্মীদের ওপর ঝুলে থাকা অসংখ্য মামলা, দেশব্যাপী দলে বিশৃঙ্খলা, সিনিয়র নেতাদের অসহযোগিতা ও বিদেশী চাপকে আমলে নিয়েছেন। তবে দলের নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে সরকারকে হুমকিকে রাখার কৌশল নিয়েছেন তিনি। জানা যায়, দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে সর্বস্তরে দলের নেতৃত্বে চরম দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে। এ ছাড়া চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের অনেক নেতা তাদের মামলা মোকাবেলা করতেই হিমশিম খাচ্ছে। এ অবস্থায় দলের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে নেয়াই যেখানে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে কি করে দলটি কঠোর আন্দোলনে নামবে তা নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর জাতীয় কাউন্সিলের পর ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি ৩৮৬ সদস্যের জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠনের পর থেকেই বিএনপিতে কোন্দল বিরাজমান ছিল। ২০১১ সালের ১৬ মার্চ মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মারা যাবার পর সংস্কারপন্থী কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় কোন্দল চাঙ্গা হয়ে ওঠে। আর এর ঢেউ যেন লাগে সারাদেশের সকল স্তরে। এ কারণে ওই বছর মে থেকে শুরু করে বিএনপি যে ক’টি আন্দোলন কর্মসূচী পালন করে তার প্রতিটিই কার্যত ফ্লপ হয়। বর্তমানে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বিরাজমান দ্বন্দ্ব জেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ায় অবস্থা আরও নাজুক হয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিটি সাংগঠনিক জেলায়ই দলের একাধিক কমিটি রয়েছে। এ পরিস্থতিতে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করলে তা যে সফল হবে না তা দলের সাধারণ নেতাকর্মী ও সমর্থকরাও বুঝতে পারছে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেন, আন্দোলন সফল করতে হলে আগে দলে ঐক্য প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে দলের যে নাজুক পরিস্থিতি তা ঠিক করতে না পারলে কি করে আন্দোলন চাঙ্গা হবে তা আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। তবে দলের নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে ও সরকারকে চাপে রাখতে দলের নেতারা কঠোর আন্দোলনের কথা বলে থাকে। এর সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিলই নেই। তিনি আরও বলেন, বিএনপির কোন কোন নেতা সরকারের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে ব্যবসাবাণিজ্য করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এসব নেতা প্রকাশ্যে হাঁকডাক দিলেও বাস্তবে সরকারবিরোধী আন্দোলনে মাঠে নামবে না। দলের হাইকমান্ডকে এ বিষয়টি মাথায় রেখে আন্দোলনের কর্মসূচী না দিলে আবার মার্চ ফর ডেমোক্রেসির মতোই ব্যর্থ হবে। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ একটি বড় অংশ এখন আর চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সহযোগিতা করেন না। আর খালেদা জিয়ারও তাদের প্রতি আস্থা নেই। এ ছাড়া খালেদা জিয়াকে ঘিরে থাকা বিএনপির কিছু নেতা সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করে দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। খালেদা জিয়ার বিশ্বস্ত দলের দুই প্রভাবশালী নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দুদকের মামলায় ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যুদ্ধাপরাধের দায়ে কারাবন্দী। ২ ছেলে আরাফাত রহমান কোকা ও তারেক রহমান বিদেশে। ছাত্রদল, যুবদল ও শ্রমিক দলসহ বিএনপির ১১ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নিষ্ক্রিয়। এ অবস্থায় কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী দিলেও যে সফল হবে না তা খালেদা জিয়া ভাল করেই বোঝেন। জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জড়িয়ে বিএনপিকে বড় ধরনের সংকটের মুখে ফেলেছেন চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। শীঘ্রই এ মামলার রায় হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন এ মামলার রায়ের পর খালেদা জিয়ার গ্রেফতারের আশঙ্কা রয়েছে। আর খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে একই মামলার আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও গ্রেফতার এড়াতে দেশে আসতে চাইবেন না। তখন বিভিন্ন মামলার আসামি দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাও গা বাঁচিয়ে চলতে শুরু করবেন। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে দেনদরবার করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে দেশে আরেকটি নির্বাচনের ব্যাপারে কোন কুলকিনারা করতে না পারায় বিএনপি শিবিরে এখন হতাশা নেমে এসেছে। এমনকি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর আন্দোলনের ব্যাপারেও বিদেশীদের সায় পাচ্ছে না বিএনপি। এ বিষয়টি দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ভাবিয়ে তুলছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, এর আগে বিদেশীদের পরামর্শে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নির্বাচন বর্জন করলেও আওয়ামী লীগ সমমনা দলগুলোকে নিয়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে সরকার গঠন করে ফেলে। আবার নির্বাচনের পর বিশ্বের অধিকাংশ দেশই বর্তমান সরকারকে সমর্থন দেয়। অপরদিকে একে একে বিএনপির সঙ্গ ত্যাগ করে চলে যাচ্ছে ২০ দলীয় জোটের শরিকরা। কোন শরিক দল জোট ত্যাগ করার পর ডামি নেতা দিয়ে পাল্টা কমিটি গঠন করার কৌশলে নিয়েও জোটের ঐক্য ধরে রাখতে পারছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বরং বিএনপি জোটের বিভিন্ন শরিক দলের মধ্যে চলছে একে অপরকে বহিষ্কার-পাল্টা বহিষ্কার। শীঘ্রই বিএনপি জোট ক্ষমতায় যেতে পারবে না ভেবেই ক্ষমতালোভী শরিক দলগুলো জোট ছেড়ে চলে যাচ্ছে। বিএনপির জন্য এটা খারাপ ইংগিত বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, সরকারবিরোধী কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী পালনের ব্যাপারে আলোচনা হলেও কখন থেকে তা শুরু করা হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে যখন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় তখন সবাই জানতে পারবে। তিনি বলেন, এ সরকার গণতান্ত্রিক নয়। তাই বিএনপিকে রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করতে দিচ্ছে না। নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এ ছাড়া দেশের মানষের ওপর চলছে খুন, গুম, অত্যাচার-নির্যাতন। এ অবস্থায় আন্দোলন ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ৫ জানুয়ারিকে সামনে রেখে বিএনপি এখনও কোন আন্দোলন কর্মসূচী চূড়ান্ত করেনি। যদি আন্দোলন কর্মসূচী চূড়ান্ত হবে তখন চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া অথবা ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হবে।
×