ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিপাকে পাঁচ শতাধিক ইটভাঁটি মালিক

বরিশালে কয়লা সঙ্কটে ॥ ইট পোড়ানো বন্ধ

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ১০ ডিসেম্বর ২০১৪

বরিশালে কয়লা সঙ্কটে ॥ ইট পোড়ানো বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় পাঁচ শতাধিক ইটভাঁটির মালিকে ইট তৈরির মৌসুম শুরু হওয়ার প্রাক্কালেই আকস্মিকভাবে কয়লা সঙ্কটে পড়েছেন। কয়লার অভাবে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের সিংহভাগ ইটভাঁটিতে ইট পোড়ানোর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিকে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। নগরীর আলী ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী আলী হোসেন জানান, ভারত থেকে রফতানি বন্ধ থাকায় দেশের বাজারে কয়লার দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ফলে একমাত্র কয়লা সঙ্কটের কারণে মৌসুম শুরু হওয়ার একমাস অতিবাহিত হলেও ইট পোড়ানোর কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। সিগমা ব্রিকসের মালিক দীলিপ দাস গুপ্ত জানান, ১৫ দিন ধরে কোনো মোকামেই কয়লা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে প্রতি টন কয়লার দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। তিনি আরো জানান, আগে এক টন কয়লার দাম ছিল আট হাজার টাকা। অথচ কয়েক দিন আগে সাড়ে ১২ হাজার টাকা দরে কিনেছেন। বরিশাল ইটভাঁটি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আহম্মেদ রোমান জানান, সারাদেশেই কয়লা সঙ্কট চলছে। প্রতিটি ইটভাঁটিতে কয়েক’শ করে শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। ইট পোড়ানো শুরু করতে না পারায় ওইসব শ্রমিক মানবেতর জীবনযাপন করছে। গণপূর্ত বিভাগের ঠিকাদার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান জানান, কয়লার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আসন্ন মৌসুমে ইটের দাম দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় গণপূর্ত অধিদফতরের অধীনে উন্নয়নকাজে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশংকা রয়েছে। ইটের মূল্যবৃদ্ধি রোধে জরুরী ভিত্তিতে কয়লা সঙ্কটের সমাধান করার জন্য তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বরিশাল পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক সুকুমার বিশ্বাস কয়লা সঙ্কটের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দেশেই ২শ’ থেকে ৩শ’ টন কয়লার মজুদ রয়েছে। ইটপোড়ানো মৌসুম শুরু হওয়ায় কয়লার আমদানিকারকেরা কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ সুযোগে ইটভাঁটির মালিকেরা কাঠ পোড়ানোর পাঁয়তারা শুরু করেছেন। তবে ইটভাঁটিতে কোনোভাবেই কাঠ পোড়ানোর সুযোগ দেয়া হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
×