ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে ইউপি সদস্য পেটালেন সচিবকে!

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৯ ডিসেম্বর ২০১৪

মুন্সীগঞ্জে ইউপি সদস্য পেটালেন সচিবকে!

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ চুরি করে ধরা খেয়ে ইউপি সদস্য মারধর করেছেন ইউপি সচিবকে। এ নিয়ে সোমবার লৌহজং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। সচিবের গায়ে হাত দেয়ায় লৌহজং উপজেলা প্রশাসনেও চলছে তোলপাড়। লৌহজং উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেট এলজিএসপি-২ এর স্কিম প্রকল্প বাস্তবায়ন আর্সেনিক মুক্ত নলকূপ স্থাপনে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। উত্তর হলদিয়ার স্বপন ঢালীর বাড়িতে আর্সেনিক মুক্ত নলকূপ স্থাপন দেখিয়ে বিল ভাউচার করে সরকারী খাত থেকে টাকা তুলে নেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শংকর চন্দ্র ঘোষ । ২০১৩-১৪ অর্থবছরের হিসাব নিরীক্ষায় বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে ওই টাকা ব্যাংকে ফেরত দিয়ে সেই যাত্রায় রক্ষা পান এই ইউপি সদস্য। জনসাধারণকে সম্পূর্ণ বিনা খরচে এ নলকূল স্থাপন করে দেয়ার কথা থাকলেও হলদিয়া ইউনিয়নের শংকর চন্দ্র ঘোষ প্রতিটি নলকূপ স্থাপন বাবদ জনসাধারণের কাছ থেকে ২১ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। হলদিয়া গ্রামের নূর জাহান মাস্টার ও এমারত আকনের বাড়িতে আর্সেনিকমুক্ত নলকূপের জন্য অতিরিক্ত এই টাকা গ্রহণ করেন। ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেট মোবাচ্ছের হোসেন প্রকল্প দুটি পরিদর্শন করতে গেলে স্থানীদের কাছ থেকে জানতে পারেন আর্সেনিকমুক্ত নলকূপ স্থাপনের নামে এই ইউপি সদস্য ২১ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। এ নিয়ে ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেট স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক মোঃ মাহবুবুর রহমানে কাছে অভিযোগ আকারে লিখিত প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদন পেয়ে উপযুক্ত বিষয় জানতে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, হলিদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্য শংকর চন্দ্র ঘোষকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে জবাব প্রদান এবং প্রকল্প দুটির মিস্ত্রির বিল প্রদান ও নলকূপের গোড়া পাকা করে প্রাপ্তি স্বীকার পত্রসহ দাখিলের নির্দেশ দেন। এ পত্র শংকর ঘোষের কাছে পৌঁছলে ক্ষেভে ফেটে পড়ে। কুড়িগ্রামে বধ্যভূমিতে অস্থায়ী স্মৃতিফলক স্থাপন স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের নিলুর খামার বধ্যভূমিতে অস্থায়ী স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কুড়িগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে কুড়িগ্রামের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে এ স্মৃতিফলক স্থাপন করেন। এ সময় স্থানীয় জনতার উপস্থিতিতে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম মঞ্জু ম-ল, প্রবীণ আইনজীবী এনামুল হক চৌধুরী চাদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কুড়িগ্রাম জেলা ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। ১৯৭১ সালের ১৭ নবেম্বর শব-ই-কদরের পবিত্র রাতে ইবাদতের সময় পাকবাহিনী অতর্কিত হামলা চালিয়ে এক ঘণ্টার ব্যবধানে নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের নিলুর খামার এলাকার এই বধ্যভূমিতে নিরীহ ৭৯ নারী-পুরুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর পুড়িয়ে ফেলে। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরও এ বধ্যভূমিতে সরকারী কিংবা বেসরকারী উদ্যোগে কোন স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়নি। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কুড়িগ্রাম উদ্যোগ নিয়ে রবিবার প্রাথমিকভাবে এই অস্থায়ী স্মৃতিফলক স্থাপন করে।
×