ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি অফিসের সামনে আবারও ককটেল বিস্ফোরণ

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ৮ ডিসেম্বর ২০১৪

বিএনপি অফিসের সামনে আবারও ককটেল বিস্ফোরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অছাত্র আদুভাই, খুনী ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত ছাত্রদলের নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে আবারও বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে পদবঞ্চিতরা। রবিবার বিকেল পৌনে ৪টায় তারা সেখানে পর পর ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ করে দ্রুত কেটে পড়ে। ওই ঘটনায় একজন আহত হয়েছে তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ের আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ককটেল বিস্ফোরণের পর ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতাকর্মীরা সেখানে এসে ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত এক যুবককে ধাওয়া করে। তবে তাকে ধরতে পারেনি। পরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সেøাগান দিয়ে মিছিল বের করে। ১৪ অক্টোবর ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের পরদিন থেকেই ছাত্রদলের পদবঞ্চিতরা নয়াপল্টন এলাকায় দফায় দফায় বোমা বিস্ফোরণসহ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভাংচুর চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেইটে থাকা জিয়াউর রহমানের মুর‌্যালও ভেঙ্গেছে এবং চতুর্থ তলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের বেশ ক’জন নেতাকে নাজেহাল করেছে। ছাত্রদলের কমিটি গঠনের সঙ্গে জড়িত বিএনপি নেতা শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর কুশপুত্তলিকাও দাহ করেছে পদবঞ্চিতরা। এমনকি একদিন বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে গিয়েও তারা ছাত্রদলের নতুন কমিটি বাতিল ও বিএনপি থেকে শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পদত্যাগ দাবি করে মিছিল করেছে। বেশ ক’দিন বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নির্দেশে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ কতিপয় নেতার অনুরোধে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচী স্থগিত করেন। ৭ নবেম্বর শেরেবাংলানগর জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাবার পথে বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর গাড়িতে হামলা করে ছাত্রদলের পদবঞ্চিতরা। এ কারণে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত ৩ নেতাকে বহিষ্কার ও ৫ নেতাকে কারণ দর্শাও নোটিস দেয়া হয় বিএনপির পক্ষ থেকে। এ ঘটনার পরদিন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে কারণ দর্শাও নোটিসপ্রাপ্ত ছাত্রদলের পদবঞ্চিত ৫ নেতা বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে কারণ দর্শাও নোটিসের জবাব দেন। সেই সঙ্গে তারা রিজভীকে জানিয়ে আসেন পদবঞ্চিত ৩ নেতার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার ও ছাত্রদলের নতুন কমিটি পুনর্গঠন না করা হলে আবারও তারা আন্দোলন শুরু করবেন। এরপর ১৫ নবেম্বর বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চতুর্থতলায় ছাত্রদল কার্যালয়ে যান পদবঞ্চিতরা। তারা সেখানে বসেই ১৬ নবেম্বর থেকে আবার আন্দোলন শুরু করার ঘোষণা দেন।
×