ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ২৫ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৫:০১, ৮ ডিসেম্বর ২০১৪

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ২৫ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মুনাফা তোলার প্রবণতার দিনে দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমেছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবারে বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়লেও মূলত বড় মূলধনী কোম্পানির দর কমার কারণে সূচকের পতন ঘটেছে। ব্যাংক বর্হিভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর প্রাধান্যের দিনে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক কমেছে ৩১ পয়েন্ট। বড় মূলধনী কোম্পানিগুলোর দর পতনের দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রবিবার ডিএসইতে ৩৮৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৫১৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এ হিসাবে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৩০ কোটি টাকার। ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক বা ডিএসই এক্স ৩১ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৩০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১৫১ পয়েন্টে। আর ডিএস-৩০ সূচক ২১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮২২ পয়েন্টে। ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৯৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৫টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির। আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টের প্রাত্যহিক বাজার পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার প্রবণতার কারণে উভয় বাজারেই সূচকের পতন ঘটেছে। ফলে দিনেশেষে শুধু বস্ত্র ও আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোর দর বেড়েছে বেশি। তবে দিনটিতে বস্ত্র খাতের বেশ কিছু ইতিবাচক খবর ও রফতানি বাড়ানোর ঘোষণাটি বেশি কাজে এসেছে। ফলে দিনশেষে খাতটির ছয়টি কোম্পানি দর বৃদ্ধির সেরা-১০ স্থান করে নিয়েছে। আর খাতভিত্তিক বস্ত্র খাতের দর বেড়েছে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং সার্বিক লেনদেনের ১৭ দশমিক ৫০ ভাগ দখল করেছে বস্ত্র খাতটি। এছাড়া ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার। এরপরে রয়েছে হামিদ ফেব্রিক্স, বেক্সিমকো, সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, এবি ব্যাংক, কেয়া কসমেটিকস, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, মেঘনা পেট্রোলিয়াম এবং যমুনা অয়েল। ডিএসইর দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : শাহজিবাজার পাওয়ার, সায়হাম টেক্সটাইল, বিআইএফসি, ফ্যামিলি টেক্স, প্রাইম টেক্সটাইল, জিএসপি ফাইন্যান্স, আর্গন ডেনিমস, হা-ওয়েল টেক্সটাইল, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স ও এইচআর টেক্সটাইল। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : মেঘনা পেট্রোলিয়াম, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, খান ব্রাদার্স, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, আনোয়ার গ্যালাভানাইজিং, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, এ্যাপেক্স স্পিনিং, বার্জার পেইন্টস, ফু-ওয়াং ফুড ও দেশবন্ধু। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৪৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ৭১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৫ হাজার ১৯৫ পয়েন্টে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২২৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৮টির, কমেছে ১০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : মাইডাস ফাইন্যান্স, হামিদ ফেব্রিক্স, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস, ফ্যামিলি টেক্স, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মা, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, এবি ব্যাংক ও বিকন ফার্মা।
×