ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আবাহনী ও কলাবাগান সিএর টানা ষষ্ঠ জয়

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ৮ ডিসেম্বর ২০১৪

আবাহনী ও কলাবাগান সিএর টানা ষষ্ঠ জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দেশ স্বাধীনের পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে দেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান আহসান জহিরের মৃত্যুর শোকে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ নীরবতা পালনের মধ্য দিয়েই ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে রবিবারের ম্যাচগুলো শুরু হয়। তিনটি খেলা হয়। কিন্তু ওল্ড ডিওএইচএস সেই একই স্বাদ নেয়। সেই স্বাদ কী? এতদিনে সবারই জানা হয়ে গেছে, হার। নবম রাউন্ডে এসেও দলটি জয়ের চেহারা দেখতে পারল না। টানা নবম হারের শিকার হলো! এদিন ভিক্টোরিয়ার কাছে ৬ উইকেটে হারল। এই জয়ে ভিক্টোরিয়াও সুপার লীগে খেলার আশা জিইয়ে রাখল। একই দিনে আবাহনী ও কলবাগান ক্রিকেট একাডেমি (সিএ) টানা ষষ্ঠ জয় তুলে নিয়েছে। ব্রাদার্সকে ৬৯ রানে হারিয়েছে আবাহনী। আর দুই কলাবাগানের লড়াইয়ে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে (কেসি) ৩৭ রানে হারিয়ে আবাহনীর সঙ্গে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে কলাবাগান সিএ। সুপার লীগে ওঠার পথে এগিয়ে রয়েছে আবাহনী ও কলাবাগান। ফতুল্লায় বোলার নাসির ঝলক ॥ এমনিতেই অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। তবে ফতুল্লায় রবিবার যেন বোলার নাসিরকেই খুঁজে পাওয়া গেল। কুয়াশার জন্য ম্যাচ দেরিতে শুরু হয়। খেলাও হয় ৪২ ওভার করে। আবাহনী আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৯১ রান করে। নাসির অবশ্য ব্যাট হাতেও ২৬ রান করেন। তবে বোলিংয়ে যেন নাসির আরও দুর্দান্ত হয়ে ওঠেন। ৩ উইকেট নিয়ে নেন। তাও ৮ ওভার বল করে ২ মেডেনসহ মাত্র ১৫ রান দিয়ে এমন বোলিং ঝলক দেখান নাসির। আর তার এ নৈপুণ্যে ব্রাদার্সও ৪১.২ ওভারে ১২২ রান করতেই অলআউট হয়ে যায়। অলরাউন্ড নৈপুণ্যের জন্য ম্যাচসেরা হন নাসির। মিরপুরে সাব্বির ঝড় ॥ জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতেই সাব্বির রহমান রুম্মন কী ঝড় দেখিয়েছিলেন, তা সবার চোখে এখনও জ্বলজ্বল করে। সেই সাব্বির রবিবার মিরপুরে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষেও ঝড় তুললেন। ৬৭ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৭৩ রান করলেন। তার এ ব্যাটিং নৈপুণ্যের কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমিও ৪৯.২ ওভারে ২১৫ রান করে অলআউট হওয়ার পরও জয় তুলে নিয়েছে। কলাবাগান কেসিকে যে ১৭৮ রানেই অলআউট করে দেয়া গেছে। রবিবারের খেলাগুলোও একটি মাত্র দলই ২০০ রানের বেশি করতে পারে। সেই দলটি কলাবাগান সিএ। আর তারা সাব্বিরের এমন ইনিংসেই এ রান করে। মাহবুবুল জেতালেন ভিক্টোরিয়াকে ॥ ওল্ড ডিওএইচএস যে এবার কী খেলছে, তারা নিজেরাই জানে। একের পর এক ম্যাচ হারছে। টানা নবম হার হয়েছে। লজ্জাজনক ফল। কুয়াশার জন্য ম্যাচ হয় ৩৪ ওভারের। আগে ব্যাট করে ১৫৯ রান করে ওল্ড ডিওএইচএস। এ রান ২৮.৩ ওভারে ১৬১ করেই জিতে যায় ভিক্টোরিয়া। মাহবুবুল করিম একাই ৬৮ রান করেন। মাহবুবুলের এ ব্যাটিং নৈপুণ্যে অনায়াসেই জয় পেয়ে যায় ভিক্টোরিয়া। স্কোর ॥ আবাহনী ইনিংস ১৯১/৯; ৪২ ওভার (লিটন ৪০, মজিদ ৩৭, সাকলায়েন ৩১*, নাসির ২৬, অপু ২২; লিয়াম ৩/১৯)। ব্রাদার্স ইনিংস ১২২/১০; ৪১.২ ওভার (অভিষেক ২৫, আসিফ ২১, লিয়াম ১৯; নাসির ৩/১৫, সাকলায়েন ২/২০)। ফল ॥ আবাহনী ৬৯ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ নাসির হোসেন (আবাহনী)। কলাবাগান সিএ ইনিংস ২১৫/১০; ৪৯.২ ওভার (সাব্বির ৭৩, মেহেদী ৩১, মাহমুদুল ২১; নাসুম ৩/৩৬, রাজ্জাক ৩/৪০)। কলাবাগান কেসি ইনিংস ১৭৮/১০; তাসামুল ৬০*, নাসিরুদ্দিন ৩২, রাজ্জাক ২৪; ইমতিয়াজ ৩/২৪)। ফল ॥ কলাবাগান সিএ ৩৭ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ সাব্বির রহমান রুম্মন (কলাবাগান সিএ)। ওল্ড ডিওএইচএস ইনিংস ১৫৯/৬; ৩৪ ওভার (নেহাদ ৫৪*, আহসানুল ৩৫, ইমন ২২; হায়দার ২/২৬, মারজান ২/২৭)। ভিক্টোরিয়া ইনিংস ১৬১/৪; ২৮.৩ ওভার (মাহবুবুল ৬৮, জসিম ৪৮, ইমরুল ১৭; ইমন ২/১৪)। ফল ॥ ভিক্টোরিয়া ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ মাহবুবুল করিম (ভিক্টোরিয়া)।
×