ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আজ হানাদারমুক্ত

প্রকাশিত: ০৭:২৫, ৭ ডিসেম্বর ২০১৪

আজ হানাদারমুক্ত

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ আজ রবিবার, সাত ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে সাতক্ষীরা, মাগুরা, গাইবান্ধা, চুয়াডাঙ্গা, কালকিনি ও শেরপুর হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার, নিজস্ব সংবাদদাতা ও সংবাদদাতাদের পাঠানোÑ সাতক্ষীরা ॥ একাত্তরের আগুনঝরা এইদিনে (৭ ডিসেম্বর) পাক হানাদার মুক্ত হয় সাতক্ষীরা জেলা। স্বাধীন দেশের পতাকা উড়ে সাতক্ষীরা কালেকটরেট ভবনে। পাকবাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞে ক্ষত-বিক্ষত সাতক্ষীরা মুক্তিকামী মানুষের উল্লাসে মুখরিত হয়। দিনটি উদযাপনে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচী। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ড দিনটি উদযাপনে র‌্যালি, আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নিয়েছে নানা কর্মসূচী। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডারের পক্ষে পৃথকভাবে দিনটি পালনের জন্য কর্মসূচী ঘোষণা করে শহরে মাইকিং করেছে। মাগুরা ॥ আজ রবিবার ৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর মাগুরা পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিল। দিবসটি পালন উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ড বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা জনতার বিজয় র‌্যালি, আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও প্রতিভোজ প্রভৃতি। দিবসটি মাগুরাবাসীর কাছে আনন্দের ও গর্বের। গাইবান্ধা ॥ আজ ৭ ডিসেম্বর গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস। এ দিনে কোম্পানী কমান্ডার মাহবুব এলাহী রঞ্জু (বীর প্রতীক)-এর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের কালাসোনার চর থেকে বালাসী ঘাট হয়ে গাইবান্ধা শহরে প্রবেশ করে। তাদের আগমণের সংবাদ পেয়ে আগের রাতেই গাইবান্ধা শহরের স্টেডিয়ামে অবস্থিত পাক সেনা ক্যাম্পের সৈনিকরা তাদের তল্পিতল্পা গুটিয়ে রংপুর ক্যান্টনমেন্টের উদ্দেশে পালিয়ে যায়। চুয়াডাঙ্গা ॥ ৭ ডিসেম্ব^র চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে চুয়াডাঙ্গা শত্রুমুক্ত হয়। ডিসেম্ব^রের প্রথম থেকেই চুয়াডাঙ্গার সীমান্ত এলাকার সাব-সেক্টর ও একশন ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর ওপর আক্রমণ তীব্রতর করে। লালবাজার সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন এ আর আজম চৌধুরীর নেতৃত্বে মেহেরপুর এলাকায়, শিকারপুর সাব-সেক্টর কমান্ডার তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে আলমডাঙ্গা থানা এলাকায় এবং বানপুর সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে জীবননগর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ করলে পাকবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। কালকিনি (মাদারীপুর) ॥ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে বিজয়ের এ মাসে ৭ ডিসেম্বর মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে লড়াই-সংগ্রামে এ উপজেলা শত্রুমুক্ত করেছিল। সেই থেকে এ দিনটিকে উপজেলায় মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হয়। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে আলোচনাসভা ও র‌্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। শেরপুর ॥ আজ শেরপুর পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সহায়তায় বাংলার সূর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা শেরপুর অঞ্চলকে শত্রুমুক্ত করে। এদিন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার ও মিত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা হেলিকপ্টারযোগে শেরপুর শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্ক মাঠে অবতরণ করেন। এ সময় শেরপুরের মুক্তিকামী ছাত্রজনতা জেনারেল অরোরাকে এক সংবর্ধনা দেন। তিনি সংবর্ধনা সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেরপুরকে হানাদারমুক্ত বলে ঘোষণা দেন।
×