ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

স্থলবন্দর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৭:২০, ৭ ডিসেম্বর ২০১৪

স্থলবন্দর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (বাস্থবক)-এর চেয়ারম্যান মোঃ মোয়েজ্জউদ্দীন আহমেদের অনিয়ম কর্মকা- সম্পর্কে আরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগ দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনপোলসহ অন্য অনেক বন্দরকেন্দ্রিক। এসব অনিয়মের মধ্যে প্রশাসনিক অনিয়ম ছাড়াও ঠিকাদার নিয়োগ, নির্মাণ কার্যাদেশ প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত এসব অনিয়মের কোন সুরাহা না হওয়ায় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সামগ্রিক কার্যক্রমে গতিহীনতা ও পশ্চাদমুখিতা তীব্রভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। বন্দরসংশ্লিষ্ট একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রের অভিযোগে এসব তথ্য জানা গেছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, বাস্থবক-এর চেয়ারম্যান হিসেবে বিগত প্রায় ২ বছর সময়ে তিনি সততার মুখোশ ধারণ করে এসব কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এ রকম পন্থায় তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। এ কাজে তিনি প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান আলীকে সর্বদাই কাজে লাগান বলে অভিযোগ রয়েছে। তাকে হাত করে অন্যায়ভাবে তার মনোনীত ঠিকাদারকে কাজ দিয়ে তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করেছেন। শুধুমাত্র নির্বাহী প্রকৌশলীকে কিছু অংশ দিয়ে নিম্নমানের কাজ করে ঠিকাদারের কাছ থেকে গ্রহণ করেছেন মোটা অঙ্কের টাকা। তার ভ্রমণসঙ্গী হিসেবেও তিনি সর্বত্র নির্বাহী প্রকৌশলীকে সঙ্গে রাখেন। পিএস,পিও, সদস্য ও পরিচালকগণ কাউকেই তিনি বন্দর পরিদর্শনে সফরসঙ্গী করেন না। অভিযোগে জানা গেছে, ভোমরা স্থলবন্দরে পণ্য বোঝাই ভারতীয় গাড়িপ্রতি ৬ হাজার টাকা অতিরিক্ত মাসুল রসিদ ছাড়াই আদায় করা হয়। প্রতিদিন এখন এই বন্দরে কমপক্ষে ৫ শতাধিক ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক ঢোকে। অবৈধ মাসুল আদায়ের পরিমাণ তাহলে দিনে কত?। এই বিপুল টাকার একটা মোটা অংশ তার এজেন্ট ওয়্যারহাউস সুপারিনটেনডেন্ট মহিউদ্দিন হাওলাদার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী জোয়র্দ্দারের মাধ্যমে তার পকেটেই চলে যায়। বাকি অর্থ ভোমরায় কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ভাগাভাগি করে নেয়। বিষয়টি এই বন্দর ব্যবহারকারী সংশ্লিষ্ট সকল মহলেই এখন ওপেন সিক্রেট। এসব অভিযোগের ব্যাপারে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (বাস্থবক)-এর চেয়ারম্যান মোঃ মোয়েজ্জউদ্দীন আহমেদের কাছে শনিবার বিকেল ৫ টায় জানতে চাইলে তিনি সেলফোনটা কেটে দেন এবং পরে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
×