ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীতে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে প্রাক-বড়দিন পুনর্মিলনী উদযাপন

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ৭ ডিসেম্বর ২০১৪

রাজধানীতে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে প্রাক-বড়দিন পুনর্মিলনী উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আনন্দময় ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীরপূর্ণ পরিবেশে শনিবার প্রাক-বড়দিন পুনর্মিলনী উদযাপন করেছে রাজধানীতে বসবাসরত খ্রীস্টান সম্প্রদায়। আগামী ২৫ ডিসেম্বর পালিত হবে বড়দিন (ক্রিস্টমাস)। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ খ্রীস্টান এ্যাসোসিয়েশন। দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালিত হয়। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল প্রার্থনানুষ্ঠান, বিভিন্ন খেলাধুলা, সঙ্কীর্তন, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পাঁচ শতাধিক খ্রীস্টভক্তের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মোহাম্মদপুরের সিবিসিবি সেন্টার। দুপুরে আয়োজন করা হয় মিলনভোজের। প্রার্থনানুষ্ঠানে বিশ্বশান্তি কামনা করা হয়। বড়দিনের আগাম শুভেচ্ছা বিনিময় চলে। এক পর্যায়ে নাচেগানে মেতে ওঠে সকলে। শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ক্যাথলিক বিশপস কনফারেন্স অব বাংলাদেশ(সিবিসিবি) সেন্টারে প্রাক-বড়দিন পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ খ্রীস্টান এ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান, আগামী ২৫ ডিসেম্বর সারাবিশ্বে পালিত হবে শুভ বড়দিন (ক্রিসমাস)। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। আজ থেকে ২ হাজারেরও বেশি বছর আগে ওই শুভদিনে পৃথিবীকে আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রীস্ট। বেথলেহেমের এক গোয়ালঘরে কুমারী মাতা মেরির কোলে জন্ম হয়েছিল যিশুর। খ্রীস্ট ধর্মানুসারীরা বিশ্বাস করেন, কোন পুরুষের সহবাস ছাড়াই যিশুখ্রীস্টের জন্ম। সেই অর্থে তিনি ঈশ্বরের পুত্র। সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমায় সেখান হতেই বিকশিত হয় মুক্তির এই আলোর দিশারী; যার স্পর্শে পাপের আবর্তে নিমজ্জিত থাকা মানুষের অন্তরে এনে দেয় শান্তির পরশ বলে জানান খ্রীস্টান নেতৃবৃন্দ। দিনব্যাপী কর্মসূচীর এক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা। বাংলাদেশ খ্রীস্টান এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন আর্চ বিশপ প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও, ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ, ভ্যাটিকান প্রতিনিধি মন্সিনিউর মাসিমো ক্যাটেরিন, জাতীয় চার্চ পরিষদের সভাপতি বিশপ পল শিশির সরকার, বাংলাদেশ ব্যাপ্টিস্ট চার্চ সংঘের সভাপতি জয়ন্ত অধিকারী, বাংলাদেশ খ্রীস্টান এ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্মল রোজারিও। অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন নেপালের সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, বিশপ নবারুন দাস, বাংলাদেশ খ্রীস্টান এ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা হিউবার্ট গমেজ ও এলবার্ট মানখিন, ভাইস-প্রেসিডেন্ট সুদিন ম-ল, বাবু মার্কুস গমেজ ও বিলাস দি গমেজ, অর্থ সচিব জেমস সুব্রত হাজরা, সাংগঠনিক সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার বাপ্পী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইগ্নেসিউজ হেমন্ত কোড়াইয়া, ধোবাউড়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডেভিড রানা চিসিম ও নির্বাহী সদস্য সৌরিন আরেং সেং।
×