ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

গয়েশ্বরের শঙ্কা

যে কোন মুহূর্তে খালেদা জিয়া গ্রেফতার হতে পারেন

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ৭ ডিসেম্বর ২০১৪

যে কোন মুহূর্তে খালেদা জিয়া গ্রেফতার হতে পারেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যে কোন মুহূর্তে খালেদা জিয়া গ্রেফতার হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত থাকুন। সরকার যেভাবে ছক তৈরি করছে তাতে যে কোন মুহূর্তে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করতে পারে। স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দেশনেত্রী পরিষদ’ নামক একটি সংগঠন আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গয়েশ্বর বলেন, বিএনপির কথা ও কাজে ফাঁক থাকায় জনগণ মাঠে নামছে না। আর আওয়ামী লীগ জামায়াতকে মুখে যুদ্ধাপরাধী বলে, কিন্তু জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করার জন্য তলে তলে জুতার তলা ক্ষয় করেছে। তিনি বলেন, নির্বাচন এলে জামায়াত এবং এরশাদকে নিয়ে টানাটানি শুরু হয়। আমরা এরশাদকে যত বেশি ঘৃণা করি, রাজনৈতিক প্রয়োজনে তার চেয়ে বেশি স্মরণ করি। স্বৈরাচার এরশাদের আমলের প্রায় ৭৫ ভাগ এমপি মন্ত্রী এখন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে অবস্থান করছেন। তাই স্বৈরাচারের পারিষদবর্গকে দলে রেখে স্বৈরাচার পতন দিবস পালন কতটুকু যুক্তিসঙ্গত সেটি আমাদের ভেবে দেখতে হবে। গয়েশ্বর বলেন, জনগণের কাছে বর্তমান সরকার নর্দমার চেয়েও দুর্গন্ধময়। আওয়ামী লীগ দেখলেই জনগণ এখন নাকে রুমাল দেয়। কিন্তু তার মানে এই নয়, জনগণ বিএনপিকে খুব পছন্দ করে। আমাদের কথা ও কাজে ফাঁক থাকায় ও কমিটমেন্ট না থাকায় জনগণ আন্দোলনে সাড়া দিয়ে মাঠে নামছে না। দলের বড় বড় পদ নেয়ার ব্যাপারে আমরা আগ্রহ দেখাই, কিন্তু পদ নেয়ার পর আমাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। ১৯৮১ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত বিএনপির অবস্থা আজকের মতো এত শক্ত ছিল না। দেশব্যাপী এত জনসমর্থনও ছিল না। কেবল খালেদা জিয়ার আপোসহীন নেতৃত্ব, যুব ও ছাত্রসংগঠনের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলে এরশাদের পতন হয়েছিল। কিন্তু কী এমন প্রয়োজন হলো যে গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেই এরশাদকে নিয়েই আমাদের আন্দোলন করতে হলো? গয়েশ্বর বলেন, ১৭৫৭ সালের মীর জাফর, ১৯৭১ সালের রাজাকার, ১৯৭৫ সালের বাকশাল, ১৯৮১ সালের স্বৈরাচার এবং ওয়ান ইলেভেনের সংস্কারপন্থী এই পাঁচটি শব্দ আমাদের অভিধানে নিকৃষ্ট শব্দ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়া ও থাকার প্রয়োজনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি উভয় দলই মীর জাফর, রাজাকার, স্বৈরাচার, বাকশাল এবং সংস্কারপন্থীদের বুকে টেনে নিয়েছে, কোলাকুলি ও মোলাকাত করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার হবে- দুদু ॥ বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে বিচার করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু। শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সনদ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শাস্তির দাবিতে লেবার পার্টি আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ বলেন। লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল প্রমুখ। বিএনপি অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ২ ॥ নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে ২ দফা ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জন পথচারী আহত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় একটি এবং দেড়টায় আরেকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেল বিস্ফোরণের কারণে মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি করলে পুরো ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতরা হলেন সাইফুল, কাইয়ূম ও মঈন। কারা এর সঙ্গে জড়িত তা শনাক্ত করতে পারেনি ওই এলাকায় দায়িত্ব পালনরত পুলিশ। ঘটনার পর আহতদের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলম সাংবাদিকদের জানান, বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
×