ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়েছে ॥ তদন্ত করে ব্যবস্থা

মূল উদ্যোক্তাদের খুঁজছে সরকার ॥ বৈঠককারীরা শনাক্ত

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ৭ ডিসেম্বর ২০১৪

মূল উদ্যোক্তাদের খুঁজছে সরকার ॥ বৈঠককারীরা শনাক্ত

তপন বিশ্বাস ॥ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বৈঠককারী সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের সিসি টিভির ধারণকৃত ফুটেজ থেকে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। এ বৈঠকে সরকারী কর্মকর্তাদের মূল উদ্যোক্তাদের খুঁজছে সরকার। এ লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নেমে পড়েছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক সাংবাদিকদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে একদল সরকারী কর্মকর্তার বৈঠকের বিষয়টি তদন্ত করবে সরকার। এর সত্যতা পেলে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী জনকণ্ঠকে বলেন, দেখে পর্যালোচনা করে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে বেগম জিয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক বৈঠকে অংশ গ্রহণকারী সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শনাক্ত করতে আজ রবিবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পর তা পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, জামায়াত-বিএনপি পন্থী কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত কোন কোন কর্মকর্তা পর্দার আড়াল কলকাঠি নাড়ছেন। সরকার সমর্থক এই সকল কর্মকর্তার চরিত্র ধরা পড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন সময় তাদের দূরে ঠেলে দিয়েছে সরকার। কেউ কেউ ছিটকে পড়েছেন সরকারের আস্থা থেকে। চুক্তিভিত্তিক চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি না পাওয়া, ভাল পদায়ন না হওয়া, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ছিটকে পড়াসহ বিভিন্ন কারণে তারা সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান করছেন। সুযোগসন্ধানী এসব কর্মকর্তা গোপনে বিএনপির সঙ্গে আঁতাত করছেন। ‘টেস্ট কেস’ হিসেবে ফ্রন্টলাইনে না গিয়ে এ সকল কর্মকর্তা, এও, পিওসহ তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের ব্যবহার করছেন। সময়মতো তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালাবেন। সরকারের মধ্যে থাকা সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ওএসডি যুগ্ম সচিব একেএম জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে যোগদানকারী সদস্যের অধিকাংশই সচিবালয়ে কর্মরত দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী। ধানম-িতে বসবাসকারী এই আমলার নেতৃত্বে সরকারবিরোধী ২৫-৩০ জনের একটি গ্রুপ এর আগে সচিবালয় এলাকায় নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকায় তাদের কার্যক্রম ধোপে টেকেনি। আবার তাদের মধ্যেও রয়েছে নেতৃত্ব নিয়ে ঠেলাঠেলি। এ কারণেই বৈঠকে অনুপস্থিত অপর আরেকটি গ্রুপ সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ করে দেয়। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে একদল সরকারী কর্মকর্তার বৈঠকের বিষয়টি তদন্ত করবে সরকার। এর সত্যতা পেলে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, সরকার এটা হাল্কাভাবে নেবে না। এটা সার্ভিসের শৃঙ্খলার ব্যাপার। এ ব্যাপারে যা করার তাই করা হবে। জানা গেছে, বৈঠকে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ জনপ্রশাসনের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। আগামী দিনের আন্দোলনে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগিতা কামনা করেন খালেদা জিয়া। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে কোন আন্দোলনে তাদের অবস্থান থেকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে এ বৈঠকের খবরটি আদৌ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে সরকারী কর্মকর্তাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের খবরটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য অপপ্রচার করা হচ্ছে। রাজনৈতিক হীন উদ্দেশে এ সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের অসত্য খবর প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। এ ধরনের অপপ্রচারে সব গণমাধ্যম ও জনসাধারণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান ফখরুল। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন আগে থেকে সচিবালয়ে বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থার কড়া নজরদারির কারণে তা হয়ে ওঠেনি। এছাড়া সচিবালয়ে বিএনপিপন্থী কর্মকর্তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরাজমান দুটি গ্রুপের বিরোধ এখনও নিষ্পত্তি না হওয়ায় এ সাক্ষাত ব্যাহত হচ্ছিল। এ মুহূর্তে সহকারী সচিব আবদুল খালেকের নেতৃত্বাধীন গ্রুপটি সচিবালয়ে বেশ শক্তিশালী। অন্য গ্রুপটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী মোঃ তোহা। তোহার সঙ্গে সচিবালয়ের বিএনপি ও জামায়াতপন্থী একটি গ্রুপ সক্রিয়; যারা খালেকের বিরোধী। বৃহস্পতিবার রাতে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের চাকরিচ্যুত কর্মচারী মোঃ তোহা গ্রুপের ১৫-১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে আসেন। রাত ৯টার কিছু সময় পরে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন খালেদা জিয়া। সাড়ে ৯টার দিকে তাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ইবরাহিম মিয়াজী, মুজিবুল হক (আইএমইডি), মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, আজিমউদ্দিন, আবদুল মান্নান, তৌফিকুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, একেএম হুমায়ুন কবির, বাদিউল কবির, শহিদুল হক, মামুন উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়। এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক এপিডি (যুগ্ম-সচিব) একেএম জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সচিবালয়ে বিএনপিপন্থী সহকারী সচিব আবদুল খালেক ও প্রশাসনকি কর্মকর্তা বখতিয়ার গ্রুপকে বাদ দেয়ার কারণে বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। বখতিয়ার গ্রুপ সচিবালয়ে বিএনপিপন্থী সক্রিয় গ্রুপ হিসেবে পরিচিত। বৃহস্পতিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানাজানি হওয়ায় পরে একেএম জাহাঙ্গীর সেখানে যাননি। জনতার মঞ্চ ॥ সরকারী কর্মকর্তারা ১৯৯৬ সালে সর্বপ্রথম রাজনৈতিক আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের প্রশাসন তথা আমলাতন্ত্রের শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়ে। কিছু সরকারী কর্মকর্তা রাজনৈতিক দলগুলোর ঘোষিত কর্মসূচীতে সরাসরি অংশগ্রহণ করে। সরকারী চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে তারা রাস্তায় নেমে পড়েন। ২৩ মার্চ ঢাকা শহরের মেয়র ও আওয়ামী লীগের নেতা প্রেসক্লাবের সামনে ‘জনতার মঞ্চ’ নামে বিশাল এক মঞ্চ তৈরি করেন। সরকারী ও আধা সরকারী সংস্থাগুলোর কর্মচারীরা বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে মিলে আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে ‘জনতার মঞ্চে’ শামিল হতে থাকেন। বেসামরিক কর্মকর্তাদের নেয়া এই নজিরবিহীন পদক্ষেপ দেশের প্রশাসনিক শৃঙ্খলাকে ল-ভ- করে দেয়। বেসামরিক প্রশাসন তখন থেকেই কার্যত দলীয় ভিত্তিতে বিভাজিত হয়ে পড়ে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের পর ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রিত্বে ৪৭ সদস্যের একটি নয়া মন্ত্রিপরিষদ শপথ গ্রহণ করে। একই দিনে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন যে, সংবিধানে একটি উপযুক্ত সংশোধনী আনা হবে যাতে আগামী সাধারণ নির্বাচন একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি যখন বিরোধী দলের দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দেন তখন সংসদ ভবনের আশপাশের এলাকা এক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। রাজধানীতে নির্বিচারে যানবাহন, পেট্রলপাম্প, দোকানপাট ও সরকারী বাসভবনগুলোতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ১৯৯৬ সালের ২৫ মার্চ রাতভর আলোচনা শেষে ভোরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস এবং সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী গৃহীত হয়। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২৬ মার্চ সকাল ৬টায় জাতীয় সংসদে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাসের পর সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেন, আমি আমার প্রতিশ্রুতি পূরণ করলাম। ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর অধীনে সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রধান উপদেষ্টা ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে বঙ্গভবনে শপথ নেন। বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা উভয়েই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। উত্তরা ষড়যন্ত্র ॥ ২০০৬ সালের ২৪ নবেম্বর উত্তরায় মাহমুদুর রহমানের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ‘আর্টিসান সিরামিক’ পুলিশসহ জনপ্রশাসনের কয়েক কর্মকর্তা গোপনে বৈঠক করেন। উত্তরা ষড়ডন্ত্র হিসেবে পরিচিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা ও আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, পুলিশের সাবেক আইজি আবদুল কাইয়ুম, বিয়ামের সাবেক মহাপরিচালক শহিদুল আলম, তৎকালীন যুগ্ম সচিব আবদুস সবুরসহ ২০/২৫ কর্মকর্তা। খবর পেয়ে গণমাধ্যমের কর্মীরা সেখানে গেলে বৈঠকে যোগ দেয়া অনেক কর্মকর্তা মুখ ঢেকে ও দৌড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ দৃশ্য ওই রাতে বেসরকারী কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার করা হয়। এমনকি পরের দিন বিভিন্ন সংবাদপত্রে ওই ছবি প্রকাশিত হয়। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার কৃষি সচিব আবদুল আজিজের (তৎকালীন) নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির তদন্তে ১৩ জনকে দায়ী করে বলা হয়, উপস্থিত সরকারী কর্মকর্তারা সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত। তৎকালীন উপদেষ্টা পরিষদের সভায়ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। দীর্ঘদিন এ ব্যাপারে সরকার প্রায় নীরব থাকে। পরে মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। বিভাগীয় ব্যবস্থাও চলে ঢিমেতালে। কালক্ষেপণের পর অভিযুক্ত সকলকেই অব্যাহতি দেয়া হয়। এমনকি এদের কোন কোন কর্মকর্তাকে পদায়নের চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় তাদের আর পদায়ন করা হয় না। সেই উত্তরা ষড়যন্ত্রের এক হোতা এ কে এম জাহাঙ্গীর হোসেন সরকারী চাকরিতে থাকা অবস্থায় এবারও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক বৈঠক করেছেন; যা সরকারী কর্মকর্তাদের আচরণ বিধিমালা পরিপন্থী। কয়েকজনের প্রতিবাদ ॥ এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোঃ তাজুল ইসলাম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ নূরুল ইসলাম এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহিম মিয়াজী। একই ভাষায় একই ড্রাফটে পৃথকভাবে এই তিনজন বৈঠকে থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তারা ওই সভা সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে লিখিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন।
×