ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

আন্দোলনে ভয় পায় বলেই সরকার কথায় কথায় ষড়যন্ত্র খোঁজে ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ৬ ডিসেম্বর ২০১৪

আন্দোলনে ভয় পায় বলেই সরকার কথায় কথায় ষড়যন্ত্র খোঁজে ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আন্দোলনকে ভয় পায় বলেই সরকার কথায় কথায় ষড়যন্ত্র খোঁজে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতন্ত্র মুক্ত দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘নব্য স্বৈরাচার’ আখ্যায়িত করে ফখরুল ইসলাম বলেন, কোন মতেই এ স্বৈরাচারকে ছাড় দেব না। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে। তিনি বলেন, সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে আছে তারা। প্রতি মুহূর্তে দুঃস্বপ্ন দেখে, কখন তাদের প্রাসাদ ভেঙ্গে যায়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের মৌলিক চরিত্র ফ্যাসিবাদী চরিত্র। তারা মুখে এক কথা বলে কাজে অন্যটা করে। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষকে গুম ও হত্যা করছে। দেশ ভয়াবহ সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে মন্তব্য করে বলেন, আমেরিকায় একজন কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যুতে লাখ লাখ মানুষ মিছিল করেছে। অথচ শেখ হাসিনার সরকার হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করলেও জনগণ মাঠে নামছে না। আমাদের মাঠে নামতে হবে। আলোচনাসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন আলম, প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক হাবীব-উন নবী খান সোহেল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবীবুর রহমান হাবীব, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ছাত্র দলের সভাপতি রাজিব আহসান প্রমুখ। এর আগে সকালে ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম’ নামক সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে শেরে বাংলানগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার জনশক্তি রফতানিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, এ সরকার যত চুক্তি করেছে তা তারা জনসম্মুখে প্রকাশ করছে না। গোপনে চুক্তি করছে। আর মালয়েশিয়ায় লোক নেয়ার ব্যাপারে যে চুক্তির কথা বলা হচ্ছে তা আগেই ছিল। আমরা পত্র পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারছি তা একটা সাধারণ চুক্তি। আগে থেকেই দেশটা লোক নিত। পরে আবার বন্ধ করে। এখন আবার নতুন করে লোক নিলে তা দেশের জন্য ভাল। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম নামক সংগঠনের সভাপতি শ্যামা ওবায়েদসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
×