ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্বৈরাচার পতন দিবস আজ

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৬ ডিসেম্বর ২০১৪

স্বৈরাচার পতন দিবস আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজ স্বৈরাচার পতন দিবস। ১৯৯০ সালের এইদিনে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনতার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে নয় বছরের স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতন ঘটে। মুক্তি পায় গণতন্ত্র। সংগ্রামী ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে ছিনিয়ে আনে বিজয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণীতে এই দিনে এক বাণীতে বলেছেন, “এ মহান দিনে গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী সংগ্রামী দেশবাসীকে জানাই অভিনন্দন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইতিহাসে এ এক তাৎপর্যপূর্ণ দিন।” প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, নব্বই পরবর্তী দুই দশকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও উল্লেখ করেন ষড়যন্ত্রকারী ঘাতকরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করে অসাংবিধানিক এবং অবৈধ সরকারকে দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে। তারা জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেছে, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ ধ্বংস করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন অবৈধ, অসাংবিধানিক সরকার মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস বিকৃত করে দেশে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এই দিনে স্বৈরাচারী শাসন উৎখাত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার বীরত্ব স্মরণ করে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী। গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করতে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের কল্যাণে সকলকে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণতন্ত্র এখন শঙ্কামুক্ত নয়Ñ খালেদা ॥ এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র এখন শঙ্কামুক্ত নয়। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর আচরণে কর্তৃত্ববাদী এক দলীয় শাসনের চরিত্র ফুটে উঠছে। বাকশালী চেতনার দল ও আশির দশকের গণতন্ত্র হত্যাকারী স্বৈরাচার একত্রিত হয়ে দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রমান্বয়ে ধ্বংস্তূপে পরিণত করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন । শুক্রবার স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়া বলেন, ৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৯০ সালের এ দিনে দীর্ঘ নয় বছরের অগ্নিঝরা আন্দোলনের পর পতন ঘটেছিল সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের। যে স্বৈরশাসক এরশাদ ‘৮২’র ২৪ মার্চ পেশাগত বিশ্বস্ততা ও শপথ ভেঙ্গে বন্দুকের নলের মুখে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ও বিচারপতি সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সাংবিধানিক রাজনীতি স্তব্ধ করেছিল। খালেদা জিয়া বলেন, যে সাংবিধানিক রাজনীতি ছিল বহুপাক্ষিক ও বহুদলীয়। যার পুন:প্রবর্তন করেছিলেন, স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। স্বৈরাচারী এরশাদ একে একে সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশকে করেছিল বাধাগ্রস্ত। কিন্তু ছাত্র-জনতার মিলিত সংগ্রামে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে এ দিনে মুক্ত হয়েছিল গণতন্ত্র।
×