ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপি বিব্রত

আমলাদের সঙ্গে খালেদার গোপন বৈঠক নিয়ে তোলপাড়

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৬ ডিসেম্বর ২০১৪

আমলাদের সঙ্গে খালেদার গোপন বৈঠক নিয়ে তোলপাড়

শরীফুল ইসলাম ॥ খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকারী আমলাদের বৈঠক নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় চলছে। হঠাৎ কেন আমলারা খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করলেন তা এখন টক অব দ্যা কান্ট্রি। আর এ গোপন বৈঠকের খবর দেশের সর্বস্তরের মানুষ জেনে ফেলায় বিএনপি হাইকমান্ড বিব্রত হয়েছে। এ কারণেই দলের পক্ষ থেকে এ বৈঠকের কথা অস্বীকার করা হচ্ছে। আর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গভীর রাতে আমলাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক উত্তরা ষড়যন্ত্রের মতো এ সরকারের বিরুদ্ধে আরেকটি ষড়যন্ত্রের অংশ। জানা যায়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় এবার ভিন্ন আঙ্গিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের কৌশল নিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এ জন্য তিনি ঢাকার বাইরে জনসভা করার পাশাপাশি হাঁকডাক না করে গোপনে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের সঙ্গে বৈঠক চালিয়ে পরবর্তী আন্দোলন সফলের ব্যাপারে তাদের সংগঠিত করতে যাচ্ছিলেন। এভাবে গোপনে চূড়ান্ত আন্দোলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে হঠাৎ একদিন কঠোর আন্দোলনের ডাক দিয়ে রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউন করে সফলতা অর্জনের মাধ্যমে চমক দেখাতে চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু সরকারী আমলাদের নিয়ে গোপন বৈঠকের খবর জানাজানি হওয়ায় এ যাত্রায় পরিকল্পনামাফিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের হোঁচট খেয়েছেন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে। সূত্র মতে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজা হচ্ছে এমনটিই ধরে নিচ্ছে বিএনপি। তাদের বিরুদ্ধে সাজা হয়ে গেলে বিএনপি রাজনৈতিকভাবে চরম বেকায়দায় পড়ে যাবে। দলের নেতাকর্মীরা এখনই যেভাবে দ্বিধাবিভক্ত এবং পরস্পরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত। এ পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজা হলে দলে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। আর এ বিষয়টি ভেবেই বিএনপি হাইকমান্ড মামলার রায়ের আগেই গোপনে একটি কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি জোরদার করতে থাকে। এরই অংশ হিসেবে সরকারী আমলাদের নিয়ে খালেদা জিয়া তার কার্যালয়ে গোপন বৈঠক করেন। বৈঠকটির কথা ফাঁস না হলে উচ্চ পর্যায়ের আমলাদের নিয়ে আরও একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল বলেও সূত্র জানায়। জনতার মঞ্চের আদলে আবারও দেশে সরকারী আমলাদের দিয়ে একটি বৃহত্তর আন্দোলন করার পরিকল্পনা ছিল বলেও কোন কোন মহল মনে করছে। তবে আগেই সব ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এখন আর এ কৌশল কাজে আসবে না বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠনের পর থেকেই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ দলের সিনিয়র নেতারা বলে আসছিলেন শীঘ্রই এ সরকারের পতন হবে। দলের কোন কোন সিনিয়র নেতা আগামী বছর মার্চ-এপ্রিলের মধ্যেই সরকারের পতন হবে বলে মন্তব্য করেছেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকারী আমলাদের বৈঠকের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন< আরেকটি ধাক্কার মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। বিএনপির থিঙ্কট্যাংক বলে পরিচিত প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রেডিও তেহরানে সাক্ষাতকার দিয়ে বলেছেন, যে কোন মুহূর্তে গণআন্দোলনে এ সরকারের পতন হবে। উল্লেখ্য, ৪ ডিসেম্বর রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী প্রায় ২০ বর্তমান ও সাবেক সরকারী কর্মকর্তা। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, তারা বর্তমান সরকারকে দ্রুত ক্ষমতাচ্যুত করতে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ বৈঠক করেছেন। বৈঠকে অংশগ্রহণকারীর কয়েকজন ছিলেন উত্তরা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে সাবেক এপিডি ও বর্তমানে ওএসডি যুগ্ম সচিব একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইব্রাহিম মিয়াজি উত্তরা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়া অন্য সরকারী কর্মকর্তার মধ্যে ছিলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সিনিয়র সহকারী সচিব এহসানুল কবীর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম, এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান ও একেএম হুমায়ুন কবীর, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বদিউল কবীর, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ক্যাশিয়ার সরকার তোহা, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী শহিদুল হক প্রমুখ। এ ছাড়া বৈঠকে সাবেক সচিবদের মধ্যে ছিলেন শমসের মবিন চৌধুরী, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, এম এ কাইয়ুম, সাবেক কেবিনেট সচিব এম এ হালিম। সূত্র মতে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়া সরকারী কর্মকর্তারা সচিবালয়ে নিয়মিত বিএনপি-জামায়াতপন্থী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতেন। তারা জনতার মঞ্চের আদলে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এর আগে তারাই সচিবালয়ে সরকারবিরোধী লিফলেট ছেড়েছিলেন। জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বৈঠকে অংশ নেয়া সরকারী কর্মকর্তাদের বলেছেন, সময় হলে আপনাদের মূল্যায়ন করা হবে। আপনারা যথাসময়ে আমাদের সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে ন্যায়সঙ্গত সাড়া দেবেন। এ সময় সরকারী কর্মকর্তারাও তাদের সাধ্যমতো সরকারবিরোধী আন্দোলন কর্মসূচীতে সহায়তা করার আশ্বাস দেন। বৈঠকে খালেদা জিয়া তাদের সরকারবিরোধী আন্দোলনের জন্য সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভেতরে ভেতরে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে। অতীতে সরকারী কর্মকর্তারা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এবারও তিনি যখন আন্দোলনের ডাক দেবেন তখন যেন তারা অতীতের মতো রাজপথে নেমে আসেন। ইয়াজউদ্দিন আহমেদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে উত্তরা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ২০০৬ সালের ২৪ নবেম্বর শুক্রবার রাতে রাজধানীর উত্তরার ১ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বর বাড়িতে সরকারী আমলাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়; যা দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। ওই বাড়ির মালিক ছিলেন চারদলীয় জোট সরকারের আমলের জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান। নির্বাচনকে সামনে রেখে আমলাদের এ ধরনের বৈঠককে যড়যন্ত্র এবং আবারও চারদলীয় জোটকে ক্ষমতায় বসানোর নীলনকশা হিসেবেই তখন চিহ্নিত করা হয়েছিল; যা উত্তরা কেলেঙ্কারি হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত। পরে দু’জন সচিবের নেতৃত্বে উত্তরা ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় সে কমিটি ১৩জনকে অভিযুক্ত করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়া ওএসডি যুগ্ম সচিব একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন এবং ইব্রাহিম মিয়াজিসহ একে একে ১৩জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ পরে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে ওই ১৩ জনের ২জন আমলা উপস্থিত থাকায় এ বৈঠককে সেই ষড়যন্ত্রের অংশ বলে বিভিন্ন মহল মনে করছে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমলাদের বৈঠকের ব্যাপারটি ছিল অত্যন্ত গোপনীয়। এজন্য ওইদিন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে কোন সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। বৈঠকটি সফল হলে উচ্চ পর্যায়ের আমলাদের নিয়ে পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরও একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এর পর বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কিছু গণমাধ্যমে প্রচারিত খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে সরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের খবরটি ভুয়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ সংবাদ প্রচার ও প্রকাশের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকারী কর্মকর্তাদের বৈঠক প্রসঙ্গে তার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল বলেন, বৈঠক নয়, ওনারা দেখা করতে এসেছিলেন। আর তারা তো আসতেই পারেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে জনতার মঞ্চে যাওয়া আমলারা দেখা করতে পারলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকারী কর্মকর্তারা দেখা করতে পারবেন না কেন? শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমান সরকারকে স্বৈরাচার আখ্যায়িত করে বলেন, কোনভাবেই এ সরকারকে আর ছাড় দেয়া হবে না। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকারী কর্মকর্তাদের কোন বৈঠক হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার কথায় কথায় ষড়যন্ত্র খোঁজে। কারণ তারা বিএনপির আন্দোলনকে ভয় পায়। তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। বর্তমান সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে। তাই তারা প্রতিমুহূর্তে দুঃস্বপ্ন দেখে, কখন তাদের প্রাসাদ ভেঙ্গে যায়। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকারী কর্মকর্তাদের বৈঠক প্রসঙ্গে শুক্রবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগেও উত্তরা ষড়যন্ত্র হয়েছে। গভীর রাতে তাদের খালেদা জিয়ার কাছে যাতায়াত কেন? আইন আপন গতিতে চলবে। সরকারী কর্মকর্তারা আইন লঙ্ঘন করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, সরকারী কর্মচারীদের বেতন-ভাতা আমরাই সবচেয়ে বেশি বাড়িয়েছি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তাদের এত সুযোগসুবিধা দেয়নি। এখন বিএনপি নেত্রী কেন গভীর রাতে চুপি চুপি সরকারী কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এতে তো সন্দেহ থেকেই যাবে। আর বিএনপি নেত্রী তো আমাকে হুমকি-ধমকি দিয়েই যাচ্ছে। কখনও আন্দোলনের ধাক্কা দিয়ে আমাকে ফেলে দিচ্ছে, আবার কখনও আমার চুল উড়িয়ে ফেলছে। বিএনপি নেত্রী দেশের শান্তি চান না। তাই এভাবে সরকারী কর্মচারীদের সঙ্গে গভীর রাতে বৈঠক করেছেন। আমি তাকে আহ্বান করব, এভাবে রাতের আনাগোনা বন্ধ করুন, এতে দেশের মঙ্গল হবে। শুক্রবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত অভিযোগ করেন, নিজ দলের নেতাদের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে এখন আমলাদের নিয়ে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে খালেদা জিয়া সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি বলেন, গুলশান ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। আর সরকারী আমালাদের ষড়যন্ত্রে উৎসাহিত করার জন্য খালেদা জিয়াও তাদের মতো সমান অপরাধী। তাই খালেদা জিয়াকে প্রধান আসামি করতে হবে। দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়ার উত্তরা ষড়যন্ত্রের মতো গুলশানের গভীর রাতের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে নয়, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। তার এই ষড়যন্ত্র কিছুতেই সফল হতে দেয়া হবে না। কারা কারা এই ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণ করেছিল তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুঁজে বের করবে এবং শাস্তির ব্যবস্থা করবে। এদিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত হওয়া সচিবালয়ের ৯ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চিহ্নিত করেছে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। ওই ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী হলেন যুগ্ম সচিব (ওএসডি) এ কে এম জাহাঙ্গীর হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইব্রাহিম মিয়াজি, সিনিয়র সহকারী সচিব (ওএসডি) এহসানুল হক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বাদিউল কবির, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের নুরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আব্দুল মান্নান ও এ কে এম হুমায়ুন কবীর, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী শহীদুল হক ও এজি অফিসের কর্মচারী আব্দুল মান্নান।
×