ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০২:৫৬, ৬ ডিসেম্বর ২০১৪

সম্পাদক সমীপে

২৫ মার্চ, ১৯৭১ সালের পর নওগাঁ শহরের উকিলপাড়ার মোঃ সিরাজুল হক (পাকসেনাদের হাতে শহীদ), তৎকালীন থানা ফ্যামিলি প্ল্যানিং অফিসারকে আহ্বায়ক করে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী থানার থানা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ৩ মে, সামছুল আলমের নেতৃত্বে রুহিয়া, ঠাকুরগাঁওয়ের ১১ যুবক, তিনি, তাঁর পিতা তৎকালীন পুলিশ অফিসার আব্দুল আলী, ইপিয়ারের হাবিলদার দীন মোহাম্মদ, নায়েক বেল্লালসহ ৩ জন ইপিআর সদস্য অর্থাৎ মোট ১৭ জন ৭৮ বিএসএফের ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার থোকরাবাড়ি, থানা ইসরমপুর জেলা পশ্চিম দিনাজপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতে পঞ্চগড়ের এমএনএ এ্যাডভোকেট মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও বিএসএফের অফিসার ক্যাপ্টেন সুভাষের তত্ত্বাবধানে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প স্থাপনের কাজ শুরু করি। ১ জানয়ারি, ১৯৭২ তারিখে আমাকে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় এবং সাবসেক্টর কমান্ডারের পক্ষে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত সনদ দেয়া লাভ করি। ১৯৮১ সালে সাবসেক্টর কমান্ডারের মূল সনদ, রিলিজ অর্ডারের মূল কপি ও জেনারেল ওসমানীর মূল সনদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলে জমা রেখে (সংসদ থেকে পরবর্তীতে লাপাত্তা) গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংসদের চেযারম্যান লে. কর্নেল কাজী নুরুজ্জামানের স্বাক্ষর ও প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনী প্রধান লে. জেনারেল এইচ এম এরশাদের প্রতি স্বাক্ষরিত সনদ দেয়া হয়। ১৯৮০-৮১ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জাতীয় কমিটি কর্তৃক থানা জেলা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাক্ষাতকার ও যাচাই বাছাই করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করা হয়। যা জাতীয় তালিকা নামে পরিচিত ও সরকার কর্তৃক স্বীকৃত তালিকা। জাতীয় তালিকায় আমার ক্রমিক নং ৩৬০। পানিঘাটা ট্রেনিং ক্যাম্পে ট্রেনিংপ্রাপ্ত এফএফের তালিকা বাংলাদেশে না আসায় ভারতীয় কল্যাণ ট্রাস্ট তালিকায় তিনিসহ প্রায় ৮-১০ হাজার এফএফের নাম নেই। বৈধ সনদ ও জাতীয় তালিকায় নাম থাকায় এবং সকল মূল সনদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলে জমা থাকায় স্বাভাবিকভাবেই পরবর্তী তালিকায় আমার নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা। তাই ১৯৯৮ সালে ও ২০০৪ সালে নতুন করে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য আমি আবেদন করিননি। বর্তমানে বলবত ২০১০ সালে ৫নং আইনের ২/৪এ (৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘এই সেকশনের অধীনে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রাপ্য যে কোন সুযোগ-সুবিধার জন্য সরকারী কর্মচারী মুক্তিযোদ্ধা সনদ আইডেন্টিটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় যাচাই করবে। তবে একজন সরকারী কর্মচারী, যিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে প্রবেশ করছেন তিনি ওই রূপ যাচাই থেকে অব্যাহতি পাবেন। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী দফতরের ০৭-১১-২০১০ তারিখের পত্র অনুযায়ী চাকরিতে প্রবেশের সময় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে থাকলে আমি মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারী হিসেবে বিবেচিত হবেন। সে অনুযায়ী তিনি আইনগত ও সরকারীভাবে স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারী। গেজেটভুক্তির জন্য ২০০৯ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে আবেদন করার পর ২০১০ সালে উপজেলা ও জেলার যাচাই বাছাই হয়। কিন্তু ২০১৩ সালে মন্ত্রণালয় ওই কার্যক্রম স্থগিত করে দেয় এবং ২০১৪ সালে পুনরায় অনলাইনে আবেদনপত্র চাওয়া হয়। বিস্মকর যে ১৯৯৭-২০০১ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান ও প্রধান উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত ও প্রতিস্বাক্ষারিত মুক্তিযোদ্ধা সনদ বর্তমানেও সরকারীভাবে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে। কিন্তু ১৯৭৭ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কর্তৃক ইস্যুকরা ওই রূপ সনদ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মন্ত্রণালয় ও সরকার বিবেচনায় নিচ্ছে না। অথচ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী সংসদের চেযারম্যন ও প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষরিত ও প্রতিস্বাক্ষরিত সনদ দিয়ে ১৯৭৭ থেকে পরবর্তীকালে মুক্তিযোদ্ধারা সরকারী চাকরিতে প্রবেশ করি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১৩-০২-১৯৮৯ তারিখের পরিচয়পত্র অনুযায়ী তা বৈধ মুক্তিযোদ্ধা সনদ। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই সনদের বিপরীতে গেজেট প্রকাশ করে নতুন সনদ ইস্যু করতে পারবেন। নতুন করে যাচাইকালে অসম্পূর্ণ ভারতীয় তালিকা ও বিতর্কিত মুক্তিবার্তা (যা মুক্তিযুদ্ধের ২৮ বছর পর প্রণীত হয়েছে) এর সঙ্গে সঙ্গে মাত্র ৯ বছর পর প্রণীত জাতীয় তালিকাকেও অগ্রাধিকার দেয়া আবশ্যক। আমরা এই বিড়ম্বনা থেকে বর্তমানে মুক্তি চাই। কেননা বর্তমানে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল ক্ষমতায় আছে। তাই আমাদের আশা করা স্বাভাবিক। মোঃ খোরশেদ আলম অবসরপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারী টাঙ্গাইল। সড়ক দুর্ঘটনা রোধ দক্ষিণ এশিয়াসহ গোটা বিশ্বের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার দিক থেকে বাংলাদেশ এখন প্রথম অবস্থানে। আমাদের দেশ এবং জাতির জন্য যা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা আর প্রাণ হারাতে হচ্ছে অনেককেই। দেশে প্রতিবছর ১২ থেকে ২০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনায়। কিছু বেপোরয়া গাড়িচালকদের জন্য দুর্ঘটনা ঘটে। সড়ক দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো এবং ওভারটেকিং করা। চালকদের একটু অসাবধানতা এবং অমনোযেগিতায় বয়ে আনতে পারে একটি দুর্ঘটনা। তবে, এক্ষেত্রে রাস্তার বেহাল অবস্থা ও দায়ী করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া লক্ষ্য করা যায় এবং এমন কিছু বাসচালক আছেন যারা অতিরিক্ত যাত্রী নিতে বাসের ফ্লোরে বসার জন্য মোড়ার ব্যবস্থা রাখেন। এক্ষেত্রে তারা বাড়তি টাকা আয় করতে পারবে ঠিকই কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটলে যারা প্রাণ হারাবে তাদের প্রাণ কী আর ফিরে পাবে? অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া যে সড়ক দুর্ঘটনার একটি বিশেষ কারণ এটা অজানারা এখন জানলেন আশা করি। মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন উদ্যোগ, আইন নিয়েছেন এটা খুবই আশানুরূপ পদক্ষেপ। কিন্তু আইনগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না করলে সড়ক দুর্ঘটনার মারাত্মক ছোবল থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না। সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস করার জন্য আরও একটি মাত্রা যোগ করে বলতে চাই, বাসে পরিমাপের থেকে অধিক যাত্রী যাতে না নেয়া হয় এ ব্যাপারে কঠোর শাস্তিমূলক আইন করে তা প্রয়োগ করার জন্য ‘মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর’ নিকট দুষ্টি আকর্ষণ করছি। ফারহা নূর বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী। বুড়িগঙ্গার আবর্জনা অত্যন্ত ক্ষোভ ও পরিতাপের বিষয়, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে বর্জ্য-আবর্জনা ফেলার একটি প্রত্যহ পলিথিন ব্যাগে ভরে বর্জ্য-আবর্জনা বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলা হচ্ছে। প্রতিটি লঞ্চ থেকে দৈনিক গড়ে ১৫ (পনর) কেজি বর্জ্য-আবর্জনা ফেলা হয়। এ হিসেবে এইসব লঞ থেকে দৈনিক কয়েক টন বর্জ্য-আবর্জনার পলিথিন ব্যাগ নদীতে ফেলা হয়। লঞ্চ কর্মচারীদের এরূপ দায়িত্বহীন কাজের ফলে নদী দূষণের বিষয়টি সহজেইে অনুমেয়। অতএব, এ অপকর্ম রোধে পরিবেম অধিদফতরকে কঠোর আইন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। মোঃ আলমগীর ৬২ বেগম বাজার রোড, ঢাকা। ‘নিশা দেশাই বিসওয়ালের সফর’ লেখা প্রসঙ্গে ‘মস্তিষ্ক বাক্যালাপ’ বাক্যটি উল্লেখ করেছেন মাসুদা ভাট্টি তাঁর ০২/১২/২০১৪-এ প্রকাশিত দৈনিক জনকণ্ঠের উপ-সম্পাদকীয় পাতায় ‘নিশা দেশাই বিসওয়ালের সফর’ কলামের চতুর্থ প্যারায় ৩৪ নম্বর লাইনে। বাক্যটির প্রতি আমার প্রবল আপত্তি থাকায় প্রথমে জনকণ্ঠে ফোন করে মাসুদা ভাট্টির সেলফোন নাম্বার চেয়ে (উদ্দেশ্য সরাসরি তাঁর সঙ্গে আলাপ করে সমালোচনা করা) না পেয়ে বেশ কিছুদিন পর আবার লিখতে বাধ্য হলাম (বেশ কিছুদিন পরের ব্যাখ্যায় বলতে হচ্ছে যে, ইতোপূর্বে আমার তিনটি লেখা জনকণ্ঠ ছাপায়নি, যার জন্য এই বিরতি)। কেননা আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বড় হয়েছি, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাওয়া স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রকৃতই ভালবাসি, বাংলাদেশের ভাল চাই তারা অবশ্যই মাসুদা ভাট্টির এই উক্তিটি তার নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত বাক্যালাপ বলে মেনে নিতে পারি না। কেননা তাঁর এই প্রতিবেদনটির প্রতিটি শব্দ বা বাক্য রূঢ় বাস্তব সত্য। এটি অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বড় হয়েছি এবং অদ্যাবধি লালিত হচ্ছি তাদের সকলেরই এটি জানা এবং মনের কথা। এটিকে তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত বাক্যালাপ বললে পুরো বিষয়টিকেই হালকা করে দেখা হয় নয় কী? জানিনা তাঁর সঙ্গে ফোনে বা বাস্তবে আলাপ করতে পারব কিনা। তবে অনেক দিন যাবৎ তাঁর লেখা পড়ে এটুকু অন্তত বুঝতে সক্ষম হয়েছি যে, তাঁর মতো বাস্তববাদী, দেশপ্রেমী সাংবাদিক, কলামিস্ট বা লেখক বাংলাদেশে হাতেগোনা কয়েকজনই আছেন। তাই তো কিছুদিন পূর্বে যখন তাঁকে ৭১ টিভিতে ৭১ সকালে উপস্থাপক হিসেবে দেখতে পেয়ে ৭১ সকালে সুস্বাগতম বলে জনকণ্ঠে লিখেছিলাম। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মতো শক্তিশালী মিডিয়ায় তাঁর মতো বাস্তববাদী উপস্থাপকের বড়ই অভাব। বাস্তববাদী উপস্থাপকরাই পারে দেশের কল্যাণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে। পরিশেষে এই বলে শেষ করতে চাই যে, বিনা আমন্ত্রণে নিশা দেশাইয়ের বাংলাদেশ সফরকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রিত ৬ জন সুশীলের নাম মাসুদা ভাট্টি উল্লেখ করেছেন। এখানেও আমার একটু আপত্তি রয়েছে। কেননা সুশীলের পূর্বে কথিত শব্দটি লেখা বাঞ্ছনীয় ছিল নয় কী? ওই মধ্যাহ্নভোজে ওই ৬ জন ছাড়া আর কারা আমন্ত্রিত হয়েছিলেন এটি জানতে পারলে নিশা দেশাই তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসল উদ্দেশ্য বুঝা যেত। তাছাড়া এ সকল প্রশ্নবিদ্ধ কূটনৈতিকদের ব্যাপারে সরকার তথা গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতা কী? কেননা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সারাবিশ্বে সম্পর্ক উন্নয়নে এটি তাৎপর্যপূর্ণ। মাসুদা ভাট্টিকে পরবর্তীতে এ ব্যাপারে বিষদ লেখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। শামছুল ইসলাম (সুমন) শেওড়াপাড়া, ঢাকা। সমুদ্র পথে মানব পাচার! অবৈধ পন্থায় চোরাই পথে বাংলাদেশ হতে প্রতিদিন অসংখ্য মানব পাচার হয়ে যাচ্ছে ভিনদেশে। টেকনাফের শাহপরী ও নারিকেল জিঞ্জিরা গভীর সমুদ্রবন্দর হতে ট্রলারের মাধ্যমে বা সমুদ্রযানের মাধ্যমে মানব পাচারকারী সিন্ডিকেট অতিসাধারণ অসহায় অজ্ঞ-অনভিজ্ঞ যুবক-যুবতী, নারী-শিশু, বয়স্ক ব্যক্তিদের লোভনীয় অফার দিয়ে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে গভীর সমুদ্রে যাবার পথে নানা অপকর্মের মাধ্যমে খুন ও হত্যা করে সাগরে ফেলে দেয়া হচ্ছে। মিয়ানমার ও মালয়েশিয়ার গভীর অরণ্যঘেরা বনাঞ্চলে ফেলে দেয়া হচ্ছে। উত্তাল সমুদ্রে জলযান ডুবে যাবার ফলে দীর্ঘ দিনে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সমুদ্র তীরে গভীর বনের ভেতরে কঙ্কালসার দেহ বিলিয়ে দিচ্ছে বাঘ ও সিংহকে। কাগজপত্র, নগদ অর্থ কেড়ে নিয়ে দালাল সিন্ডিকেট ভিনদেশে চাকরি পাবার আশা নিয়ে যাওয়া যাত্রীদের অচেনা অজানা দেশের গভীর বনাঞ্চলে পশুদের ক্ষুধা নিবারণের সমুদ্র তীরে নামিয়ে দিচ্ছে। আরাকানের আকিয়াব ও বেসিন হয়ে ভারতের আন্দামান দীপপুঞ্জের পূর্বধার দিয়ে থাইল্যান্ড ও অধিক দূরে মালয়েশিয়া পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যেতে যেতে অর্ধেক হ্রাস পায়। অবশিষ্টরা সবকিছু খুইয়ে একসময় দেশে ফিরে আসে। টেকনাফ ছোট্ট সীমান্ত শহর। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব বাহিনী ও সাগরে কোস্টগার্ড সবই রয়েছে এখানে। রয়েছে মানব পাচার, মাদক পাচার, অস্ত্র পাচার ও জলদস্যু সিন্ডিকেট। শিশু ও নারী পাচার বন্ধ নেই। বন্ধ নেই সোনালী ইলিশ পাচার। দীর্ঘ বছর যাবত পত্রিকায় লেখালেখি হলেও কোন বাহিনীকে গাফিলতির জন্য, দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য জবাবদিহি করতে হয় না উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট। অজানা কারণে চাকরি মজবুত হয়। বঙ্গোপসাগরে একটি ভাসমান সেনানিবাস স্থাপনা জরুরী হয়ে পড়েছে। এতে মানব পাচার, জেলেদের মুক্তিপণ আদায় ও হত্যা, মাদক, অস্ত্র, মৎস্য, নারী শিশু পাচার রোধ করা সম্ভব হবে। মেছের আলী শ্রীনগর। মোবাইল ফোনে বাংলা হরফ সারাদেশে যখন ডিজিটাল সেন্টার চালু হচ্ছে তখন আমাদের মোবাইল ফোনে সব সময়েই দেখছি যে এসএমএসগুলো মোবাইল ফোনে জনসাধরণের জন্য পাঠানো হচ্ছে তা সবই ইংরেজী হরফে বা রোমান হরফে বাংলা লিখা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের জন্য এই এসএমএসগুলো বোঝা বেশ কষ্টসাধ্য। অধিকাংশ মানুষই এই এসএমএসগুলো বোঝতে পারে না। মোবাইলে প্রেরণকৃত এসএমএসগুলো কি বাংলা লিপিতে লেখা যায় না? বাংলাদেশে সরকারী ব্যবস্থায় কি বাংলা ভাষায় বা বাংলা লিপিতে লিখবার কোন পরিকল্পনা আছে? যদি থাকে তাহলে বাংলাতে লিখা হচ্ছে না কেন? অনেক দেশেই তো স্থানীয় ভাষায় লিখার ব্যবস্থা আছে। বাংলা ভাষায় নিজস্ব কিবোর্ড তো তৈরি হয়েছে। সেটা হচ্ছে বিজয় কিবোর্ড। তবে কেন লিখা হচ্ছে না? মোবাইল কোম্পানিগুলো কি বাংলা ভাষা ব্যবহার করতে চাইছে না। অথচ আমাদের প্রধানমন্ত্রী তো ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চাইছেন। এটা তো সবাই জানেন। ইন্টারনেটে বাংলা ভাষা কি চালু হয়নি? যেখানে বাংলা ভাষার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে সেখানে বাংলা ভাষার প্রতি কেন এ অবহেলা। যাহোক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অশোক কুমার সাহা কুমারখালী, কুষ্টিয়া। রাজধানীর পাবলিক টয়লেট রাজধানীতে পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেটের অভাবে জনস্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে নতুন করে পাবলিক টয়লেট হয়নি দীর্ঘ দিনেও। পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট না থাকায় তযত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। মলমূত্রের দুর্গন্ধে রাজধানীর অনেক জায়গায় মানুষ চলাচল দুষ্কর হয়ে উঠেছে নাকে-মুখে হাত বা রুমাল চেপে দ্রুতস্থান ত্যাগ করতে হয়। এসব স্থান থেকে রাজধানী কমলাপুর রেলস্টেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাইকোর্ট মাজারের পাশের এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে, ফুটপাথ ও খোলাস্থানে মলমূত্র ত্যাগ করছেন অনেকে। রাজধানীর বেশকিছু সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। রাজধানীর কমলাপুর মসজিদের পশ্চিম পাশের সড়ক ও ফুটপাথ, কমলাপুর আইসিডির বিশাল এলাকার ফুটপাথ ও সড়ক এবং ওভারব্রিজে দুই পাশে ওঠার স্থানের আশপাশে মলমূত্রের উপর দিয়ে মানুষ চলাচল করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাথে মূলমূত্রের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির পেছনের অংশ। হাকিম চত্বরের গুরুদোয়ার নানক শাহীর সামনের ফুটপাথে, টিএসসির পশ্চিম পাশের সড়কের জগন্নাথ হলের শিববাড়ির মোড় সংলগ্ন সড়ক ও ফুটপাথের, মহসিন হল, মাঠের এফ রহমান হল সংলগ্ন সড়ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিম পাশের সড়ক ও ফুটপাথ এলাকার মলমূত্রের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। সরেজমিন দেখা গেছে এসব এলাকায় নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্টে পায় প্রতিদিনই মানুষের মলমূত্র থাকে। আগারগাঁও তালতলার বাসস্ট্যান্ডের উল্টোপাশে, আইডিবি ভবনের উল্টোপাশে, তালতলা থেকে আগারগাঁও সড়কের জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড এলাকার পশ্চিম পাশের ফুটপাথ ও সড়ক মিরপুর ডেলটা ক্যান্সার হাসপাতালের পূর্ব পাশের ফুটপাথে জজকোর্ট সংলগ্ন সড়ক তাঁতিবাজার নৈসর্গিক সৌন্দর্য ভাস্কর্যের পাশের রাস্তায় প্রায় সব সময় মলমূত্রের দুর্গন্ধ ছাড়ায়, মানিকনগর কলোনির পূর্ব পাশে ও উত্তরা স্টেশনের পাশে রাস্তায় প্রায় সব সময় মানুষের মলমূত্রে দুর্গন্ধ ছড়ায়। জানা গেছে, রাজধানীতে অবস্থানকারী হাজার হাজার ভাসমান মানুষ যারা সন্ধ্যার পর থেকে রাতে মলমূত্র ত্যাগ করেন। রাজধানী রাস্তা ফুটপাথ ও খোলাস্থানে অবস্থানকারী, ভাসমান মানুষ ফকির, পাগল, ভবঘুরে, কুলিমজুর, রিকশাওয়ালাদের অনেকেই রাতের আঁধারে তারা এসব কাজ করেন। তাই বিভিন্ন মোড়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করার জন্য রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনের কাছে জনগণের পক্ষ থেকে আকুল আবেদন জানাচ্ছি। মোঃ রুহুল আমিন (দুলাল) চৌধুরীপাড়া মাটির মসজিদ, খিলগাঁও, ঢাকা ১২১৯। কাইয়ুম স্যার ও দেশী দশ যে সব বুটিক ও ফ্যাশন হাউস দেশীয় পোশাক ও পণ্য তৈরি ও বিপণন করে সে ধরনের ১০টি বুটিক হাউস একত্রিত হয়ে দেশী দশের প্রতিষ্ঠার কথা ভাবেন। সেই পরিকল্পনা অনুসারে বসুন্ধরা মার্কেটের ৭ তালায় ২০০৯ সালের সেপ্টেরে দেশী দশের যাত্রা শুরু। এক ছাদের নিচে দেশের ১০টি বুটিক হাউস একত্রে একসঙ্গে যাত্রা শুরুর বিষয়টি তখন ফ্যাশন সচেতন মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। দেশী দশের যাত্রা শুরুর আগে এক জমজমাট অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানে দেশের অনেক বরেণ্য ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছিলেন। শিল্পী, সাহিত্যিক, সঙ্গীতশিল্পী, বীরাঙ্গনা, অর্থনীতিবিদ, মডেল, অভিনেতা, সাংবাদিকসহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি সে দিন দেশী দশের দশটি বুটিক হাউসের পোশাক পরে মঞ্চে আসেন, দেশীয় পোশাক সম্পর্কে নিজম্ব মতামত তুলে ধরেন। সে দিন আলোকিত হয়ে উঠেছিল হোটেল শেরাটনের উইন্টার গার্ডেন হল রুম। প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছিলেন মাননীয় মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল দেশী দশকে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ও আধুনিক একটি প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠিত করা। প্রতিটি স্থানে রাখতে চেয়েছে নিজস্বতা। যে কোন প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি ঘটে তার লোগোর মাধ্যমে। দেশী দশের লোগোটির রূপকার ছিলেন সদ্যপ্রয়াত শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি তাঁর মনন মেধা আর চিন্তার রাজ্য থেকে যে লোগোটি তৈরি করেছিলেন তা আমাদের দেশী দশের সবারই পছন্দ হয়েছিল। দেশী দশের তৃতীয় বর্ষ পদাপর্ণ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছিলেন এবং দশ রেখাচিত্র দিয়ে মাত্র এক মিটিটেই একজন নারীর স্কেচ করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। তাঁর প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ। বেঙ্গলের উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের উৎসব থেকে তার এভাবে চলে যাওয়াটা জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি অধ্যাপনা, ছবি আঁকা, প্রচ্ছদ তৈরি করা, পেশাগত কাজ সব কিছু নিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকার পরও আমাদের দেশী দশের লোগোটি তৈরি করেছিলেন। এ জন্য তিনি আমাদের মণের মণিকোঠায় ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। আমরা যারা দেশী দশ প্রতিষ্ঠা করেছি তারা হয়ত একদিন থাকবে না। কিন্তু কাইয়ুম স্যারের লোগোটি থাকবে ততদিন, যতদিন থাকবে দেশী দশ। স্যারের প্রতি রইল আমাদের দেশী দশের পক্ষ থেকে আন্তরিক শ্রদ্ধা আর ভালবাসা। শাহীন আহম্মেদ কর্ণধার অঞ্জনস্ ও দেশী দশের একজন
×