ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মার্কিন গ্র্যান্ডজুরির সিদ্ধান্ত

গার্নার হত্যায়ও বিচার হবে না শ্বেতাঙ্গ পুলিশের

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৫ ডিসেম্বর ২০১৪

গার্নার হত্যায়ও বিচার হবে না শ্বেতাঙ্গ পুলিশের

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের গ্র্যান্ডজুরি বুধবার নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় জড়িত শ্বেতাঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর কয়েক হাজার কৃষ্ণাঙ্গ তাৎক্ষণিকভাবে টাইমস স্কোয়ারে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখায়। এ সময় ৩০ বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। খবর এএফপির। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, এই ঘটনা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে বড় ধরনের সমস্যারই বহির্প্রকাশ। তবে ওই ঘটনায় নাগরিক অধিকারের লঙ্ঘন হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্তের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন এ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডার। গত ১৭ জুলাই নিউইয়র্কের রাস্তায় অবৈধভাবে সিগারেট বিক্রির অভিযোগে ছয় সন্তানের বাবা এরিক গার্নারকে (৪৩) আটক করে পুলিশ। কয়েক পুলিশ সদস্য তাকে জোর করে রাস্তায় ফেলে চেপে ধরলে শ্বাসরোধে ওই কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যু হয়। যার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ সেই পুলিশ কর্মকর্তা ড্যানিয়েল প্যান্টালিও দাবি করেন, গার্নার গ্রেফতারে বাধা দেয়ায় তাদের ওই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ওই ঘটনাকে হত্যা হিসেবে উল্লেখ করা হলে বিষয়টি গ্র্যান্ডজুরিতে যায়। মাত্র নয়দিন আগে মিসৌরির ফার্গুসনেও একটি গ্র্যান্ডজুরি একই ধরনের একটি রায় দেয়। যাতে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ মাইকেল ব্রাউনকে (১৮) গুলি করে হত্যার ঘটনায় শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ড্যারেন উইলসনের বিচার না করার সিদ্ধান্ত দেয়। গ্র্যান্ডজুরির ওই রায়ের পর তাৎক্ষণিকভাবে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয় ফার্গুসনে। সহিংস প্রতিবাদকারীরা দোকানপাট ও যানবাহন ভাংচুর করে। এতে এক পুলিশ গুলিবিদ্ধ হয়। নিউইয়র্কের ঘটনায় পুলিশের হাতে এরিক গার্নারের মৃত্যুর দৃশ্য ঘটনাক্রমে একব্যক্তি ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন। ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বেছে বেছে প্রয়োজন না থাকলেও কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষেত্রে বল প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েক পুলিশ সদস্য গার্নারকে রাস্তায় ফেলে চেপে ধরেছেন। এর মধ্যে একজন পেঁচিয়ে ধরেছেন তার গলা। শ্বাসকষ্টের রোগী গার্নারকে এ সময় চিৎকার করে বলতে শোনা যায় তার দম বন্ধ হয়ে আসছে। গ্র্যান্ডজুরির সিদ্ধান্তের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, আইনের আওতায় কেউ সমঅধিকার থেকে বঞ্চিত হলে সেটি একটি বড় সমস্যা। আর প্রেসিডেন্ট হিসেবে এর সমাধানে সহযোগিতা করা আমার দায়িত্ব।
×