ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীলঙ্কায় ২৫ হাজার টন চাল রফতানির চুক্তি

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ৪ ডিসেম্বর ২০১৪

শ্রীলঙ্কায় ২৫ হাজার টন চাল রফতানির চুক্তি

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সরকার ৫০ হাজার টন চাল রফতানির অনুমোদন দিলেও প্রাথমিকভাবে এর অর্ধেক আমদানি করছে শ্রীলঙ্কা। ৪৫০ ডলার দরে ২৫ হাজার মেট্রিক টন চাল রফতানির বিষয়ে বুধবার সচিবালয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দুটি জাহাজে করে চাল রফতানি শুরু হবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ সারওয়ার খান এবং শ্রীলঙ্কার পক্ষে লংকা সাথোসা লিমিটেডের চেয়ারম্যান নালীন ফারনান্ডো এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্য ঘাটতি পুরণ করার পর আমরা চাল রফতানি করতে যাচ্ছি। ৪৫০ ডলার মূল্যে চাল রফতানি করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের পর গত ২৭ অক্টোবর সরকার শ্রীলঙ্কায় সিদ্ধ চাল রফতানির চূড়ান্ত অনুমতি দেয়। রফতানির চালের পরিমাণ কমার কারণ জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, শ্রীলঙ্কায় এখন অনাকাক্সিক্ষত বৃষ্টির মৌসুম চলছে, এ সময় জাহাজ থেকে মালামাল খালাস করতে সমস্যা হয়। আপাতত তারা ২৫ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করবে, পরে বাকিটা নেবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে সাড়ে ১২ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে, এর মধ্যে ১১ লাখ মেট্রিক টন চাল। এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি চাল রফতানির জন্য প্রস্তুত রয়েছি। যে কোন সময় এ চাল রফতানি করতে পারব। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল এর আগে জানিয়েছিলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিমেট্রিক টন চালের মূল্য ৪০০ থেকে ৪২০ ডলার। শ্রীলঙ্কায় যে চাল রফতানি করা হবে তার উৎপাদন খরচ ৪৩৬ ডলার। এ হিসাবে প্রতি মেট্রিক টনে ১৪ ডলার লাভ থাকবে। বাংলাদেশ প্রতিবছর স্বল্প পরিমাণে সুগন্ধি চাল রফতানি করলেও সরকারীভাবে বড় পরিসরে সিদ্ধ চাল রফতানি এই প্রথম। ফিলিপিন্সও সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে চাল ও আলু আমদানির আগ্রহের কথা জানিয়েছে। খাদ্য সচিব মুশফেকা ইকফাৎসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
×